French Police: মাটিতে ফেলে দুই পায়ের ফাঁকে লাঠির বাড়ি পুলিশের, যুবকের যা অবস্থা হল…
France pension reform protests: এক অফিসার ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে দিয়েছিল। আরেক অফিসার তাঁর কুঁচকি লক্ষ্য করে চালিয়েছিল লাঠি।
প্যারিস: প্রতিবাদে অংশ নেওয়ার জেরে এক ফরাসী যুবকের বাবা হওয়া নিয়েই প্রশ্ন উঠে গেল। কারণ পুলিশ তাঁকে রাস্তায় ফেলে দুই পায়ের মাঝখানে এমন নৃশংসভাবে আঘাত করেছে যে, তাঁর অণ্ডকোষ কেটে ফেলতে হয়েছে। গত সপ্তাহে ফরাসী রাজধানী প্যারিসে পেনশন কাঠামোর সংস্কারের দাবিতে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ দেখান। সেখানেই অংশ নিয়েছিলেন ২৬ বছরের যুবক ইভান এস। অণ্ডকোষ খোয়ানোর পর, তিনি ফরাসি পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। তিনি বলেছেন, “আমিই প্রথম ব্যক্তি নই যে পুলিশের হিংসার শিকার। যাতে পুলিশি সন্ত্রাস বন্ধ হয়, তার জন্যই আমি এই মামলা করেছি।”
সোশ্যাল মিডিয়ায় গত বৃহস্পতিবারের ওই বিক্ষোভের যে ছবি এবং ভিডিয়ো ফুটেজগুলি ছড়িয়ে পড়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে ইভানকে মাটিতে ফেলে তার দুই পায়ের মাঝে আঘাত করছে ফরাসী পুলিশ। তারপর তাঁকে সেই অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যাচ্ছে। ২৬ বছরের যুবকটির হাতে ছিল একটি ক্যামেরা। জানা গিয়েছে, ওই বিক্ষোভেও তিনি সরাসরি অংশ নেননি। বিক্ষোভকারী এবং পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ছবি তুলছিলেন। সেই সময় এক পুলিশ অফিসার তাঁকে ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে দিয়েছিলেন। অন্য এক পুলিশ অফিসার ইভানের কুঁচকিতে লাঠির বাড়ি মেরেছিলেন বলে অভিযোগ। উল্লেখ্য, অবসরের বয়স বাড়ানোর সরকারি পরিকল্পনার বিরোধিতায়, গত বৃহস্পতিবার ফ্রান্স জুড়ে প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ মিছিল করেন।
ইভানের কাহিনি ফরাসী সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পরই প্যারিসের পুলিশ প্রধান লরেন্ট নুনেজ এই ঘটনার বিশদ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। ফরাসি পুলিশের বিরুদ্ধে অযৌক্তিক হিংসার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এই ঘটনা সেই অভিযোগের অন্যতম প্রমাণ হিসেবে উঠে এসেছে। ইভানের আইনজীবী জানিয়েছেন, ফরাসী পুলিশের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃত হিংসার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনি বলেছেন, “আঘাত এতটাই শক্তিশালী ছিল যে তাঁর একটি অণ্ডকোষ কেটে ফেলতে হয়েছে। আমার ক্লায়েন্ট এখনও হাসপাতালে আছেন। এই আঘাত আত্মরক্ষার জন্য বা প্রয়োজনে করা হয়নি। আমাদের কাছে যে ছবিগুলো আছে তাতে এর স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে। তাছাড়া তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়নি। তাঁকে যে কেন মারা হল, ইভান এখনও তা বুঝতে পারছেন না।”