Bangladesh: হাড় থেকে মাংস ছাড়িয়ে মাখানো হয়েছিল মশলা! মিলবে না বাংলাদেশি এমপি-র লাশ

Bangladeshi MP murder case: কলকাতায় খুন হওয়া বাংলাদেশি সাংসদ, আনোয়ারুল আজীমের লাশ পাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার জানিয়েছেন, যেভাবে তার লাশ গুম করার চেষ্টা করেছিল হত্যাকারীরা, তাতে দেহাংশ বিশেষ ছাড়া কিছু পাওয়ার সম্ভাবনা নেই।

Bangladesh: হাড় থেকে মাংস ছাড়িয়ে মাখানো হয়েছিল মশলা! মিলবে না বাংলাদেশি এমপি-র লাশ
রান্নার মাংসের মতো করে গুম করা হয়েছিল বাংলাদেশি সাংসদের দেহImage Credit source: Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 23, 2024 | 8:42 PM

ঢাকা: খুন হওয়া বাংলাদেশি সাংসদ, আনোয়ারুল আজীমের লাশ পাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। বৃহস্পতিবার (২৩ মে), এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার তথা গোয়েন্দা শাখার প্রধান মহম্মদ হারুন অর রশীদ। তিনি জানিয়েছেন, যেভাবে তাঁর লাশ গায়েব করার চেষ্টা করা হয়েছিল, তাতে আনোয়ারুল আজীম আনারের মরদেহ পাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে, দেহাংশ বিশেষ পাওয়া যেতে পারে। এই বিষয়ে ভারতের পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে বাংলাদেশি পুলিশ।

বাংলাদেশি পুলিশ জানিয়েছে, হত্যাকারীরা এমনভাবে মরদেহ গুম করে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। এর জন্য হাড় থেকে মাংস আলাদা করে, ভিন্ন ভিন্ন ট্রলিতে করে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল দেহাংশগুলি। লাশের টুকরো নিয়ে যাওয়ার সময়, ওই মাংসের টুকরোগুলিতে মশলা মেশানো হয়েছিল। যাতে সকলে মনে করে, ওই মাংস রান্নার জন্য নিযে যাওয়া হচ্ছে। লাশের অংশগুলি সরাতে একটি সাদা রঙের গাড়ি ব্যবহার করা হয়েছিল। ৩০ এপ্রিল অনলাইন রেন্টালের মাধ্যমে ওই গাড়িটি ভাড়া করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার ভোরে গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

এদিকে কলকাতায় সিআইডির হাতে আটক হয়েছে সিয়াম নামে এক বাংলাদেশি যুবক। ১৩ মে হত্যাকাণ্ডের দিন, নিউটাউনের সঞ্জীবা গার্ডেনের ওই ফ্ল্যাটে উপস্থিত ছিল সে। এছাড়া এই ঘটনায় সঙ্গে জড়িত সনদেহে জুবের নামে এক ট্যাক্সি চালককেও আটক করা হয়েছে। তাদের জেরা করা হচ্ছে।

এদিকে, নিহত আনোয়ারুল আজীম আনার চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত ছিলেন কিনা, সেই প্রশ্নও উঠছে। আওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, নিহত সাংসদ কোনও অপরাধের সঙ্গে জড়িত কিনা, তদন্তেই তা জানা যাবে। তিনি আরও বলেন, কারও বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হলে, সে দলের লোক হলেও, শেখ হাসিনা তাকে ছাড়েন না। এই বিষয়ে হাসিনার ‘শূন্য সহনশীলতা নীতি’ রয়েছে।