Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

HR-এর আজব খেল! ৮ বছর ধরে বেতন নিচ্ছে ২২ জন, অথচ অফিসে দেখেইনি কেউ…

Stealing: ২০১৪ সাল থেকে তাঁর এই প্রতারণা শুরু হয়। ২০২২ সাল পর্যন্ত তিনি এভাবে ২২ জন ভুয়ো কর্মীর রেকর্ড তৈরি করেন এবং তাদের নামে বেতন নিতে থাকেন।

HR-এর আজব খেল! ৮ বছর ধরে বেতন নিচ্ছে ২২ জন, অথচ অফিসে দেখেইনি কেউ...
প্রতীকী চিত্র।Image Credit source: Pixabay
Follow Us:
| Updated on: Mar 15, 2025 | 1:12 PM

বেজিং: মাসে মাসে বেতন পাচ্ছে কর্মী, এদিকে তাদের কোনওদিন অফিসেই দেখা যায় না। একদিন-দুদিন নয়, বিগত আট বছরেও কোনওদিন কেউ ওই কর্মীকে দেখেননি। এদিকে, তাঁর অ্যাটেনডেন্স তো ১০০ শতাংশ। প্রতি মাসে বেতনও পাচ্ছেন। তাহলে কি ভূতে মাইনে পাচ্ছে? কোম্পানি তদন্তে নামতেই কেঁচো খুড়তে বেরল কেউটে। দেখা গেল, সর্ষের ভিতরেই ভূত! মানব সম্পদ বা হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজারই ভুয়ো কর্মী বানিয়ে বেতন নিচ্ছিলেন এতদিন ধরে।

ঘটনাটি চিনের। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইয়াং নামক ওই এইচআর ম্যানেজার বিরাট দুর্নীতি করেছেন। কর্মীদের নিয়োগ ও বেতনের দায়িত্ব তাঁর উপরই ছিল। আর সেই ক্ষমতারই অপব্যবহার করে তিনি ২২ জন ভুয়ো কর্মী তৈরি করেন। তাদের নিয়োগ করে, মাসে মাসে বেতনও নিতেন। এভাবেই তিনি ১৬ মিলিয়ন ইউয়ান, ভারতীয় মুদ্রায় যার অঙ্ক ১৮ কোটি টাকা হাতিয়ে নেন।

সাংহাইয়ের  একটি লেবার সার্ভিস কোম্পানিতে কাজ করতেন ওই যুবক। তিনি প্রথমে ‘সুন’ নামে এক ভুয়ো কর্মী তৈরি করেন এবং তার নামে বেতন নিতে থাকেন অন্য একটি অ্যাকাউন্টে। ২০১৪ সাল থেকে তাঁর এই প্রতারণা শুরু হয়। ২০২২ সাল পর্যন্ত তিনি এভাবে ২২ জন ভুয়ো কর্মীর রেকর্ড তৈরি করেন এবং তাদের নামে বেতন নিতে থাকেন।

তাঁর কর্মকাণ্ডে যাতে সন্দেহ না হয়, তার জন্য ওই ভুয়ো কর্মীরা  আবার চাকরিও ছেড়ে দিত। সংস্থাকে যে সেভেরেন্স পে (চাকরি ছাড়ার সময় যে বকেয়া টাকা পাওয়া যায়) দিতে হত, তাও ওই ব্যক্তির অ্যাকাউন্টেই যেত।

২০২২ সালে যখন একটি প্রযুক্তি কোম্পানির ফিন্যান্স বিভাগ লক্ষ্য করে যে সুন নামক কর্মীর ১০০ শতাংশ অ্যাটেনডেন্স থাকলেও, তাকে কখনও অফিসে দেখা যায়নি। এরপরই তদন্ত শুরু হয়, তখন ওই এইচআরের কর্মকাণ্ড ফাঁস হয়।

গ্রেফতার করা হয় ওই কর্মীকে। তাঁকে ১০ বছর ২ মাসের কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছে। ১.২ কোটি টাকা ফেরত দিতে বলা হয়েছে।