Imran Khan: অপেক্ষা করলেন না ভোটের ফলের, মধ্যরাতেই তল্পিতল্পা গুটিয়ে কোথায় গেলেন ইমরান?
Imran Khan: ভোটের ফল ঘোষণা অবধি অপেক্ষা করেননি ৬৯ বছরের প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার। সরকারি বাসভবন থেকে বিতাড়িত করার আগেই স্বেচ্ছায় তিনি চলে যান।
ইসলামাবাদ: আস্থা ভোটে হার নিশ্চিত, তা জানতেন আগেই। সেই কারণেই সংসদের গণ্ডিতেও পা রাখেননি ইমরান(Imran Khan)। তবে ভোট হওয়ার আগেই তল্পিতল্পাও গোটাতে শুরু করেছিলেন তিনি, তা আস্থাভোটের ফল প্রকাশের পরই জানা গেল। তাঁর দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (Pakistan Tehrik-e-Insaf) দলের এক নেতাই জানালেন, জাতীয় সংসদে আস্থা ভোট শেষ হওয়ার কয়েক মিনিট আগেই প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ছেড়ে চলে যান ইমরান খান। শোনা গিয়েছে, মধ্যরাতেই হেলিকপ্টারের করে ইসলামাবাদ ছেড়েও চলে গিয়েছেন তিনি। বর্তমানে কোথায় রয়েছেন, তা জানেন না কেউই।
ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব ঘিরে বিগত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে নাটক চলছিল। গত ২৮ মার্চই পাকিস্তানের জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিল বিরোধীরা। গত ৩ এপ্রিল ভোটাভুটি হওয়ার কথা ছিল। অনাস্থা প্রস্তাব আনার পরই ইমরান খান জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি হার মানতে শেখেননি, শেষ বল অবধি খেলবেন।
কথা মতোই, ৩ এপ্রিল অধিবেশন শুরু হতেই যখন বিরোধীরা ভোটদানের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল, সেই সময়ই সংসদের ডেপুটি স্পিকার জানান, প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব সংবিধানবিরোধী। জাতীয় নিরাপত্তায় ঝুঁকি তৈরি হতে পারে, এই সাফাই দিয়ে খারিজ করে দেওয়া হয় অনাস্থা প্রস্তাব। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে ইমরান খান জানান, তিনি প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভিকে সংসদ ভেঙে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন। দেশবাসীকে নির্বাচনের জন্য় প্রস্তুতি নিতেও বলেন। ইমরানের আর্জি মতোই সংসদ ভেঙে দেন প্রেসিডেন্ট। ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার ঘোষণা করে সরকার।
Just saw off Prime Minister Imran Khan from Prime Minister House. He walked out gracefully and didn't bow down. He has lifted the entire Nation. Feeling proud to be a Pakistani and blessed to have a leader like him. Pakistan Khan – Imran Khan
— Faisal Javed Khan (@FaisalJavedKhan) April 9, 2022
তবে হার মানার পাত্র নয় বিরোধীরাও। তারা প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। গত ৭ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের তরফে প্রেসিডেন্টের অনাস্থা প্রস্তাব খারিজের নির্দেশকে বাতিল করে দেওয়া হয় এবং আস্থা ভোট করানোরই নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর গতকালই মধ্যরাতে লেখা হয় ইমরানের ভাগ্য। প্রধানমন্ত্রীর গদি হারানোর পর এবার দুর্নীতির অভিযোগে তাঁকে জেলে হবে কি না, এই উত্তরই খুঁজছেন পাকিস্তানের বাসিন্দারা।
এদিকে, শনিবার মধ্যরাতে পাক সংসদের স্পিকার আসাদ কোয়াসের পাকিস্তান মুসলিম নিগ নওয়াজের সদস্য আয়াজ সাদিকের হাতে সংসদের দায়িত্বভার তুলে দেওয়ার পরই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল এবার পদ ছাড়তে হবে ইমরানকে। তবে ভোটের ফল ঘোষণা অবধি অপেক্ষা করেননি ৬৯ বছরের প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার। সরকারি বাসভবন থেকে বিতাড়িত করার আগেই স্বেচ্ছায় তিনি চলে যান। পিটিআইয়ের সদস্য ফইজল জাভেদ খান টুইট করে দাবি করেন, তিনি ইমরান খানকে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ছেড়ে চলে যেতে দেখেছেন। সূত্রের খবর, মধ্যরাতেই তিনি হেলিকপ্টারে করে ইসলামাবাদ ছেড়েছেন।