Inter-Parliamentary Union: ‘লেকচার না দিয়ে বন্ধ করুন জঙ্গি তৈরির কারখানা’

Inter-Parliamentary Union: রবিবার (২৪ মার্চ), সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের ১৪৮তম অধিবেশনে, ফের সন্ত্রাসবাদের প্রশ্নে পাকিস্তানকে বিদ্ধ করল ভারত। ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়নে ভারতীয় প্রতিনিধি হিসেবে ছিলেন রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান, হরিবংশ নারায়ণ সিং। তিনি বলেন, পাকিস্তান যে সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয় দেয়, সহায়তা করে এবং সক্রিয়ভাবে সমর্থন করে, তা প্রতিষ্ঠিত সত্য। এমন যে দেশের ইতিহাস, তাদের মানবাধিকার নিয়ে কোনও মন্তব্য করার অধিকার নেই।

Inter-Parliamentary Union: 'লেকচার না দিয়ে বন্ধ করুন জঙ্গি তৈরির কারখানা'
প্রতীকী ছবিImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Updated on: Mar 25, 2024 | 2:19 PM

জেনেভা: লেকচার না দিয়ে সন্ত্রাসবাদের কারখানা বন্ধ করার চেষ্টা করুন। রবিবার (২৪ মার্চ), সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের ১৪৮তম অধিবেশনে, ফের সন্ত্রাসবাদের প্রশ্নে পাকিস্তানকে বিদ্ধ করল ভারত। ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়নে ভারতীয় প্রতিনিধি হিসেবে ছিলেন রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান, হরিবংশ নারায়ণ সিং। তিনি বলেন, পাকিস্তান যে সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয় দেয়, সহায়তা করে এবং সক্রিয়ভাবে সমর্থন করে, তা প্রতিষ্ঠিত সত্য। এমন যে দেশের ইতিহাস, তাদের মানবাধিকার নিয়ে কোনও মন্তব্য করার অধিকার নেই। এই আন্তর্জাতিক মঞ্চে ফের একবার ভারত স্পষ্ট করে দিয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।

ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়নে, জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ সম্পর্কে ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তান ভুড়ি ভুড়ি অভিযোগ করেছে। এই এলাকাগুলিতে ভারত সরকার মানবিধাকার লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ করেছিল ইসলামাবাদ। তবে, পাকিস্তানকে একতরফা আক্রমণ করতে দেননি হরিবংশ সিং। ভারতের উত্তর দেওয়ার অধিকার ব্যবহার করে তিনি বলেন, “ভারত বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র, এবং অনেক দেশই ভারতীয় গণতন্ত্রকে অনুকরণ করতে চায়। যে দেশের গণতন্ত্রের ট্র্যাক রেকর্ড অত্যন্ত খারাপ, তাদের মুখে মানববাধিকার নিয়ে বক্তৃতা, হাস্যকর। পাকিস্তান যদি এই ধরনের অযৌক্তিক অভিযোগ এবং মিথ্যা আখ্যান দিয়ে ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের মতো একটি প্ল্যাটফর্মের গুরুত্বকে ক্ষুণ্ন না করত, তাহলেই ভাল হত।”

জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে জানিয়ে, রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান বলেন, “জম্মু ও কাশ্মীরে সীমান্ত পেরিয়ে এসে অগণিত সন্ত্রাসবাদী হামলা চলছে। পাকিস্তানে জঙ্গি তৈরির কারখানা রয়েছে। সেখান থেকেই আসছে এই জঙ্গিরা। এরপর, পাকিস্তানের নিজেকে মানবাধিকারের রক্ষক হিসেবে দাবি করাটা প্রহসন। গোটা বিশ্বে সন্ত্রাসবাদের মুখ ছিলেন আল-কায়েদা সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেন। সেই লাদেনকেও পাকিস্তানেই পাওয়া গিয়েছিল। রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের নিষিদ্ধের তালিকায় থাকা সবথেকে বেশি সংখ্যক সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয় দিয়েছে পাকিস্তানই।”