PM Modi: রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা দিয়েছেন মোদী, রকেটের গতিতে ঘটছে বিকাশ, দাবি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের
Political stability under PM Modi: ব্রিটেনের 'টেলিগ্রাফ' পত্রিকার সাম্প্রতিক এক নিবন্ধে লেখা হয়েছে, ভারতের সম্ভাবনা যেমন উজ্জ্বল, তেমনই বৃদ্ধির পথে কিছু সমস্যাও রয়েছে। তবে, প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বে, ভারত লক্ষ্যের দিকে দৃঢ় পদক্ষেপে এগিয়ে চলেছে।।
নয়া দিল্লি: কয়েক দশক ধরে ভারতে চলছিল রাজনৈতিক অস্থিরতায়। কোনও দলই সংখ্যাগরিষ্ঠের আস্থা অর্জন করতে পারেনি। খণ্ডিত জনাদেশের পাঁকে আটকে গিয়েছিল প্রগতি। কিন্তু, বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অধীনে ভারত রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার মধ্য দিয়ে চলেছে। যার ফলে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় আইনী সংস্কার, সামাজিক কল্যাণমূলক প্রকল্প এবং বিস্তৃত ক্ষেত্রে দেশের পরিকাঠামোর উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। ব্রিটেনের টেলিগ্রাফ পত্রিকায় লেখা সাম্প্রতিক এক নিবন্ধে এমনটাই লেখা হয়েছে। নিবন্ধে বলা হয়েছে, ভারতের সম্ভাবনা যেমন উজ্জ্বল, তেমনই বৃদ্ধির পথে কিছু সমস্যাও রয়েছে। তবে, প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বে, ভারত লক্ষ্যের দিকে দৃঢ় পদক্ষেপে এগিয়ে চলেছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের নিবন্ধে বলা হয়েছে, ভারত বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র। ৬০০টিরও বেশি রাজনৈতিক দল রয়েছে। ঐতিহাসিকভাবেই ভারতে জোটের রাজনীতি রয়েছে। বিবিধ জনমত রয়েছে। তবে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারতীয় জনতা পার্টি টানা দুবার সংসদীয় নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। আগামী মে মাসের নির্বাচনে হ্যাটট্রিক করতে পারে তারা। কংগ্রেস দল ক্রমে শক্তি হারিয়েছে। সেই জায়গায় বিজেপি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা দিয়েছে। এর ফলে গত কয়েক বছরে প্রয়োজনীয় আইনী সংস্কার, সামাজিক কল্যাণমূলক ব্যবস্থাগুলির উন্নতি এবং দেশের পরিকাঠামোর ব্যাপক উন্নতি করতে পেরেছে সরকার।
নিবন্ধে আরও বলা হয়েছে, বর্তমান অর্থনৈতিক অনুমান অনুযায়ী, আগামী চার বছরের মধ্যেই ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হতে চলেছে। বর্তমানে, কর্মক্ষম জনসংখ্যার নিরিখে বিশ্বের এক নম্বর দেশ চিন। সেই দেশের প্রায় সাড়ে ২৩ কোটি মানুষ এই তালিকায় রয়েছে। যা পাকিস্তানের জনসংখ্যারও বেশি। কিন্তু, আগামী ৭ বছরের মধ্য়েই কর্মক্ষম জনসংখ্যায় চিনকে ছাপিয়ে যাবে ভারত। এর সরাসরি প্রভাব পড়বে দেশিয় উৎপাদন অর্থাৎ, জিডিপির উপর। অর্থনৈচিক অনুমান অনুসারে আগামী ১০ বছরে ভারতের জিডিপি দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে ৮.৫ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলার হতে চলেছে। এই সকল অর্থনৈতিক অনুমান ভারতের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের ইঙ্গিতবাহী। তাছাড়া, কোভিড মহামারির পর বিশ্বায়নের গতি বিপরীতমুখী হয়েছে। এই পরিস্থিতিও ভারতের পক্ষে যাওয়া উচিত।
তবে, সময় দ্রুত চলে যাচ্ছে বলে এই নিবন্ধে সতর্কও করা হয়েছে। অর্থনীতিবিদদের মতে, সাধারণত দীর্ঘ সময়ের মধ্যে কোনও দেশ একবারই উন্নতির রকেটে সামিল হওয়ার সুযোগ পায়। এমন এক সময় আসে, যখন সব কিছু সেই দেশের পক্ষে চলে। ভারতে বর্তমানে সেই রকম এক সময়ের মধ্য দিয়ে চলেছে। বর্তমানে, গোটা বিশ্বে কর্মক্ষম সম্প্রদায়ের প্রতি চারজনের মধ্যে একজনই ভারতীয়। কিন্তু, বয়স তো আর থেমে থাকে না। আগামী কয়েক দশকে দেশের বয়স্ক জনসংখ্যা ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে পূর্বাভাস রয়েছে। কাজেই, সময় থাকতে খাকতেই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি যথাসম্ভব বাড়াতে হবে ভারতকে। সিটিগ্রুপ ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কের চিফ ইন্ডিয়া ইকোনমিস্ট সমীরণ চক্রবর্তীর ভাষায়, না-হলে ‘ধনী হওয়ার আগেই বুড়ো হয়ে যাবে’ দেশ।