Rishi Sunak: ‘হিন্দু হিসাবে এসেছি’, রামকথা শুনতে কেমব্রিজে হাজির প্রধানমন্ত্রী সুনক, করলেন আরতিও

British PM: ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঋষি সুনকের আরতি করার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। সেখানে তাঁকে 'জয় সিয়া রাম' ধ্বনি দিতেও শোনা যায়।

Rishi Sunak: 'হিন্দু হিসাবে এসেছি', রামকথা শুনতে কেমব্রিজে হাজির প্রধানমন্ত্রী সুনক, করলেন আরতিও
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক।Image Credit source: ANI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 16, 2023 | 7:15 AM

লন্ডন: জন্ম, বেড়ে ওঠা বিদেশের মাটিতেই, তবুও ভোলেননি শিকড়কে। ভারতের সঙ্গে আত্মিক টানের প্রমাণ আবারও দিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক। নিজের দেশে বসেই ‘রাম কথা’ শুনলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্বরে আয়োজন করা হয়েছিল রামকথার। সেই অনুষ্ঠানেই যোগ দেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নয়, বরং একজন হিন্দু হিসাবে তিনি এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন।

কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত রামকথায় যোগ দিতে এসে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জানান, তাঁর কাছে বিশ্বাস অত্যন্ত ব্যক্তিগত একটি বিষয় এবং জীবনদর্শনের প্রতিটি পদে তা পথ প্রদর্শন করে। তিনি বলেন, “ভারতের স্বাধীনতা দিবসে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে মোরারি বাপুর রাম কথা শুনতে পেরে আমি অত্যন্ত খুশি ও গর্বিত। আজ আমি এখানে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নয়, হিন্দু হিসাবে এসেছি।”

ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঋষি সুনকের আরতি করার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। সেখানে তাঁকে ‘জয় সিয়া রাম’ ধ্বনি দিতেও শোনা যায়। হনুমানজির ছবি দেখে তাতে প্রণাম করে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী সুনক বলেন, “ঠিক যেমনভাবে বাপুর পিছনে সোনালি রঙের হনুমানজি রয়েছেন, ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে আমার ডেস্কও আলো করে বসে রয়েছেন সোনালি রঙের গণেশ।”

ঋষি সুনক জানান, তিনি যেমন ব্রিটিশ হিসাবে গর্বিত, তেমনই হিন্দু হিসাবেও গর্বিত। শৈশবের স্মৃতি রোমন্থন করে তিনি জানান, সাউথ হ্যাম্পটনে থাকাকালীন তিনি প্রায়সময়ই ভাইবোনেদের সঙ্গে এলাকার মন্দিরগুলিতে যেতেন।

বিদায়ী সম্ভাষণে প্রধানমন্ত্রী সুনক আরও বলেন, “আমি এখান থেকে রামায়ণ, ভগবত গীতা ও হনুমান চালিশার পাঠ স্মৃতি হিসাবে নিয়ে যাচ্ছি। আমার কাছে শ্রী রাম সবসময় অনুপ্রেরণামূলক ব্যক্তিত্ব, যিনি দেখিয়েছেন কীভাবে সাহসের সঙ্গে জীবনের প্রতিবন্ধকতার সঙ্গে লড়তে হয়, কীভাবে মানবতা ছড়িয়ে দিতে হয় এবং নিঃস্বার্থভাবে কাজ করতে হয়।”