ভিডিয়ো: আফগানিস্তানে সন্ত্রাসের চেনা ছবি, সাদা গাড়ি লক্ষ্য করে লাগাতার গুলি বর্ষণ জঙ্গিদের

Taliban, ISIS-K, নতুন করে তালিবানের নয়া শত্রু হিসেবে সামনে উঠে আসে ইসলামিক স্টেট-খোরাসান বা আইএসকে-এর নাম। সম্প্রতি বিভিন্ন সোশ্যাল সাইটে একটি ভিডিয়ো প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু ভিডিয়োর দিনক্ষণ সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি।

ভিডিয়ো: আফগানিস্তানে সন্ত্রাসের চেনা ছবি, সাদা গাড়ি লক্ষ্য করে লাগাতার গুলি বর্ষণ জঙ্গিদের
তালিবানকে সমর্থন পাকিস্তানের (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 02, 2021 | 6:27 PM

কাবুল: আফগানিস্তান রয়েছে আফগানিস্তানেই। চলতি বছরের ১৫ অগাস্ট আসরফ গণি সরকারকে উৎখাত করে আফগান মসনদে বসে তালিবান (Taliban)। ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পর মানবাধিকার বিঘ্নিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও সাধারণ আফগান জনগণ ভেবেছিল এবার হয়ত লাগাতার বোমা গুলির আওয়াজ থেকে নিস্তার মিলবে। দুর্ভাগ্যবশত সেটা হয়নি।

তালিবান কাবুল দখল করার কয়েকদিনের মধ্যে ঘটে যায় সেই ভয়াবহ বিস্ফোরণ। কাবুল বিমানবন্দরে (Kabul Airport) তখন অপেক্ষা করছেন হাজার হাজার মানুষ। মার্কিন সেনাবাহিনীর (US Army) তত্ত্বাবধানে আফগানদের বিমানে ওঠার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আচমকাই ভয়াবহ বিস্ফোরণে প্রাণ হারান বহু মানুষ। শতাধিক মৃত্যুর ঘটনায় নতুন করে আতঙ্ক ছড়ায় কাবুলের বুকে। একাধিক মার্কিন সেনারও মৃত্যু হয়। আর সেই ঘটনার পরই জানা যায় যে আত্মঘাতী হামলার নেপথ্যে রয়েছে ইসলামিক স্টেট-খোরাসান।

নতুন করে তালিবানের নয়া শত্রু হিসেবে সামনে উঠে আসে ইসলামিক স্টেট-খোরাসান বা আইএসকে-এর নাম। সম্প্রতি বিভিন্ন সোশ্যাল সাইটে একটি ভিডিয়ো প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু ভিডিয়োর দিনক্ষণ সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে তিন জন সশস্ত্র জঙ্গি একটি তিন চাকা গাড়িতে চড়ে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ করেই মাঝ রাস্তায় থেমে যায় গাড়ি। গাড়ি থেকে নেমে একটি সাদা রঙয়েক সেডান গাড়ি লক্ষ্য করে অবিরাম গুলি চালাতে থাকে জঙ্গিরা। গুলি চালানোর ভিডিয়ো দেখে বোঝা যাচ্ছে সাদা রঙয়ের ওই সেডান গাড়ির যাত্রীদের বেঁচে থাকা প্রায় অসম্ভব। স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই গুলি চালনার সঙ্গে ইসলামিক স্টেট-খোরাসান জঙ্গিরা জড়িত রয়েছে। ওই গাড়িতে করে তালিবান সদস্যরা কোথাও যাচ্ছিলেন। যেভাবে গুলি চালানো হয় সেটা দেখে মনে হচ্ছে এই হামলা পূর্বপরিকল্পিত।

দেখে নিন ভিডিয়ো

তালিবানের হাতে শাসনভার যাওয়ার পর থেকই আফগানিস্তানের বিভিন্ন স্থানে একের পর এক বিস্ফোরণের ঘটনা সামনে আসে সব কটি ঘটনার সঙ্গেই এই আইএস-কে জঙ্গিদের যোগ রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, তালিবান কাবুলের মাটিতে পা রাখার পরই আফগানিস্তান ছেড়ে পালিয়েছিলেন আশরফ গনি। ভেঙে পড়েছিল গোটা প্রশাসনিক ব্যবস্থা। আর এই পরিস্থিতিতে আফগানিস্তানের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা গনি সরকারের গুপ্তচরেরা পড়ে যায় বিপাকে। চারিদিকে তাদের খোঁজ করছিল তালিব যোদ্ধারা। প্রাণ বাঁচাতে তাই অনেক আফগান গুপ্তচরই ভিড়ে যায় আইএস-কে জঙ্গিদের দলে। ফলে বোঝাই যাচ্ছে শাসনে এসেও শান্তিতে নেই তালিবান। একে আন্তর্জাতিক স্তরে তালিবান সরকার এখনও স্বীকৃতি পায়নি অন্যদিকে, দেশে লাগাতার আইএস-কে জঙ্গিদের আক্রমণে সমস্যা বাড়ছে। আগামি দিনে তালিবান-আইএস-কে লড়াই কোনদিকে যায় সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আরও পড়ুন Samantha Ruth Prabhu: “আমি পারফেক্ট নই…”, সাম্প্রতিক ইনস্টা স্টোরিতে কেন এমন কথা লিখলেন সামান্থা?