দু’জনে মুখোমুখি! হাত মেলালেন বাইডেন-পুতিন, ইতিহাসের সাক্ষী হল জেনেভা
সম্পর্ক তলানিতে। সাইবার হামলা থেকে চিন, একাধিক ইস্যুতে রাশিয়ার প্রতি বিরোধী মনোভাব আমেরিকার।
জেনেভা: দুই দেশের সম্পর্ক কোনোদিনই খুব একটা সুখকর নয়। আমেরিকার নির্বাচনে রুশ গোয়েন্দারা নাক গলানোর চেষ্টা করেছিল বলে অভিযোগ ওঠে। আমেরিকার সাইবার হানাতেও রুশ হ্যাকারদের দায়ী করা হয়। চিন ইস্যুতে রাশিয়াকে সন্দেহের নজরেই দেখে ওয়াশিংটন। এ সবের মধ্যেই প্রথমবার কোনও সম্মেলনে মুখোমুখি হলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
সাম্প্রতিককালে দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছে। এরই মধ্যে বহু প্রতীক্ষিত সেই বৈঠক শুরু হয়েছে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায়। বুধবার শুরুর আগে হাত মেলালেন পুতিন ও বাইডেন। খুব বেশিক্ষণ ক্যামেরার সামনে না থাকলেও কার্যত ইতিহাসের সাক্ষী হয় জেনেভা। উপস্থিত ছিলেন সুইজারল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট গায় পারমেলিন। লা গ্রাঞ্জে ভিলায় এ দিন পঁচা ঘণ্টা বৈঠক হবে তাঁদের মধ্যে, থাকবে না কোনও বিরতি। সাইবার হামলা থেকে নির্বাচনে প্রভাব খাটানোর মতো প্রসঙ্গ উঠে আসতে পারে এ দিন, আলোচনা হতে পারে চিনের আগ্রাসন নীতি নিয়েও।
দুই দেশের পতাকাকে পাশে রেখে একে অপরের দিকে এগিয়ে আসেন দুই রাষ্ট্র প্রধান। কয়েক মিনিটের কথোপকথন হয় ক্যামেরার সামনে। বাইডেনকে এই বৈঠকের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান পুতিন। এরপরই সাংবাদিকদের ওই স্থান ছেড়ে বেরিয়ে যেতে বলা হয়।
আরও পড়ুন: ভিডিয়ো: চিনের ল্যাবে জীবন্ত বাদুড়, ভাইরাসের উৎস কি তাহলে হাতের মুঠোয়?
কয়েকদিন আগেই চিনের সঙ্গে ফের সংঘাত সামনে এসেছে আমেরিকার। তাইওয়ানে লগ্নির কথা ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়াও একাধিক বিষয়ে চিনের সমালোচনাও করা হয়েছে। এ দিনের বৈঠকেও একাধিক বিষয়ের মধ্যে আলোচনায় থাকতে পারে চিন। চিনের বিরুদ্ধে কী ভাবে জোট গঠন করা যায়, তা নিয়ে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আলোচনা করছেন বাইডেন। সম্প্রতি জি সেভএন এবং ন্যাটো বৈঠকেও বিষয়টি সামনে উঠে এসেছে। রাশিয়ার সঙ্গেও এ বিষয়ে কথা বলতে আগ্রহী অ্যামেরিকা। তবে বিশেষদজ্ঞদের ধারণা, সরাসরি চিনের নাম উল্লেখ করে বৈঠকে আলোচনা হবে না।