তাইওয়ানের আকাশসীমায় পরপর উড়ল ২৮টি চিনা যুদ্ধবিমান, সাম্প্রতিককালে নজিরবিহীন
চিনের দাবি, তাইওয়ান ইস্যুতে বাইরের কোনও দেশের নাক গলানো তারা পছন্দ করছে না। চিনের বিরুদ্ধে অশুভ আঁতাত চলছে বলেও মন্তব্য করা হয়েছে।
তাইপেই: শুধু ভারতে সীমান্তে নয়, চিনের আগ্রাসী নীতি নিয়ে সমালোচনা চলছে বিশ্বের অনেক দেশেই। সম্প্রতি ব্রাসেলসে একটি সম্মেলনে ন্যাটোও দাবি করেছে যে চিনের সামরিক শক্তির বিস্তার খুব একটা সুবিধার নয়। আর তাইওয়ানকে অধিকারে রাখতে বরাবরই উদ্যোগী চিন। তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে বিদেশি শক্তির সঙ্গে সংঘাতও রয়েছে বেজিং-এর। এর মধ্যে তাইওয়ানের আকাশ সীমায় পরপর ওড়ানো হয়ল ২৮ টি যুদ্ধবিমান। একসঙ্গে এতগুলি যুদ্ধবিমান ওড়ানোর নজির চিনের সাম্প্রতিককালে নেই।
গত কাল, তাইওয়ানের আকাশসীমার মধ্যে উড়ে যায় একের পর এক যুদ্ধবিমান, যার মধ্যে অনেকগুলি বোমারু বিমানও ছিল। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষামন্ত্রক জানিয়েছে অন্তত ২৮ টি চিনা বিমান উড়েছে ওই এলাকায়। রাজধানী তাইপ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, অনুপ্রবেশ করা যুদ্ধবিমানগুলোর মধ্যে ছিল ১৪টি জে-১৬, ছয়টি জে-১১ যুদ্ধবিমান এবং পরমাণু বোমা নিক্ষেপে সক্ষম এইচ-৬ বোমারু বিমান। এই ঘটনার পর চিনের দাবি, তাইওয়ান ইস্যুতে বাইরের কোনও দেশের নাক গলানো তারা পছন্দ করছে না। চিনের বিরুদ্ধে অশুভ আঁতাত চলছে বলেও মন্তব্য করা হয়েছে।
চিন তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করে। সেই কারণে দীর্ঘদিন ধরেই একে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালিয়ে আসছে। কিন্তু তাইওয়ান নিজেদের স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র বলেই দাবি করে। আর এই ইস্যুতেই সংঘাত দুই দেশের। মঙ্গলবার চিনের যুদ্ধবিমানগুলোকে তাইওয়ানের দক্ষিণ অংশের চারপাশে এবং প্রেটাস দ্বীপের কাছের আকাশসীমায় প্রবেশ করতে দেখা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ষষ্ঠীর দিন সংসার করতে চেয়ে ধরনা বিজেপি নেতার স্ত্রী’র, স্বামী বললেন, ‘ডিভোর্স চাই’
অন্যদিকে, ন্যাটোর দাবি, চিন ক্রমাগত নিজের পারমাণবিক শক্তির বিস্তার ঘটাচ্ছে। সেই সঙ্গে রাশিয়ার সঙ্গে সামরিক সহযোগিতার পথে বেজিং হাঁটছে বলেও উল্লেখ করেছে ন্যাটো। ন্যাটো প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ সতর্ক করে বলেছেন, তাঁরা চিনের সঙ্গে কোনও ঠাণ্ডা যুদ্ধের পথে হাঁটতে চাইছে না। আমেরিকার নেতৃত্বাধীন এই সামরিক জোটের দাবি, সামরিক ক্ষেত্রে ও প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে ন্যাটোকে ছুঁয়ে ফেলেছে চিন। প্রথমবার ন্যাটো-র শীর্ষ বৈঠকে ‘আলোচনা’র কেন্দ্রে চলে এল চিন। বৈঠকে প্রকাশ্যে আসার পরেই মঙ্গলবার প্রতিক্রিয়া দিয়েছে বেজিং। সে দেশের বিদেশ দফতরের তরফ থেকে এক বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।