জনসনের ভ্যাকসিন নেওয়া ১০০ জনের শরীরে বিরল রোগ, বাড়াচ্ছে আতঙ্ক

Johnson & Johnson: আমেরিকার ড্রাগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা এফডিএর চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট। এই ভ্যাকসিন নিলে থাকতে পারে প্যারালিসিসের ঝুঁকি।

জনসনের ভ্যাকসিন নেওয়া ১০০ জনের শরীরে বিরল রোগ, বাড়াচ্ছে আতঙ্ক
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 13, 2021 | 6:15 PM

নয়া দিল্লি: করোনা অতিমারিকে পরাস্ত করতে বাজারে এসেছে বিভিন্ন সংস্থার ভ্যাকসিন। কোন ভ্যাকসিনের কেমন প্রভাব, তা জানতে নিরন্তর চলছে গবেষণা। জনসন অ্যান্ড জনসনের ভ্যাকসিন নিয়েও পর্যালোচনা করছেন গবেষকরা। ভারতের সঙ্গেও ওই সস্থার কথাবার্তা চলছে বলে সূত্রের খবর। তবে এরই মধ্যে উদ্বেগজনক রিপোর্ট প্রকাশ করল মার্কিন ড্রাগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ (এফডিএ)। আমেরিকার দাবি, এই ভ্যাকসিন নিলে দেখা দিতে পারে শারীরিক সমস্যা। এমনকি ভয়াবহ স্নায়ুরোগে প্যারালিসিস হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে।

এফডিএ-র রিপোর্ট বলছে, জনসনের অ্যান্ড জনসনের ভ্যাকসিনের জন্যই এই ধরনের শারীরিক সমস্যা হচ্ছে কি না, তা স্পষ্ট নয়। তবে, যাঁরা এই ভ্যাকসিন নিয়েছেন, তাঁদের রিপোর্ট খতিয়ে দেখে এই তথ্য সামনে এনেছে এফডিএ। বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই ভ্যাকসিন নিলে ‘গিলেন-ব্যারে সিনড্রোম’ নামে এক বিশেষ রোগের ঝুঁকি থেকে যায়, যাতে প্যারালিসিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এফডিএ-র তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে যে ফাইজার বা মডার্নার ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে সেই সম্ভাবনা নেই।

ভ্যাকসিন প্রাপ্তদের নিয়ে এই সমীক্ষা চালিয়েছিল এফডিএ। আর সেখানে দেখা গিয়েছে, ‘জ্যানসেন’ নামে এই ভ্যাকসিন নেওয়ার ৪২ দিনের মধ্যে স্নায়ুর সমস্যা দেখা দিচ্ছে অনেক ক্ষেত্রে। আমেরিকার ড্রাগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা এফডিএ জানিয়েছে, মোট ১ কোটি ২৮ লক্ষ মানুষকে জনসনের ভ্যাকসিন ‘জ্যানসেন’ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১০০ জনের ক্ষেত্রে গিলেন-ব্যারি সিনড্রোম দেখা গিয়েছে।

গিলেন-ব্যারি সিনড্রোম হল স্নায়ুর এক বিশেষ রোগ, যাতে স্নায়ুর কোষ নষ্ট হয়ে যায়, পেশী দুর্বল হয়ে যায়। ভ্যাকসিন নেওয়ার পর এই ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। হাতে বা পায়ে কোনও কোনও অস্বস্তি হলেই চিকিৎসকের কাছে যাওয়া জরুরি। এই রোগ হলে হাঁটা বা কথা বলার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিতে পারে, খাবার চিবোতে সমস্যা হয়।

এ দিকে জনসনের দাবি, দুটি ডোজ়েরও প্রয়োজন নেই, তাদের তৈরি করোনা টিকার প্রথম ডোজ়েই কাহিল হবে অতি সংক্রামক ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। প্রস্তুতকারক সংস্থার তরফে জানানো হয়, এই টিকা নেওয়ার পর মানবদেহে ডেল্টা সহ করোনার সমস্ত প্রজাতির বিরুদ্ধেই অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে। এটি করোনা সংক্রমণে বাকি ভ্যাকসিনের তুলনায় আরও বেশি সুরক্ষা দেয়। আরও পড়ুন: ভারতে প্রথম করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি, দ্বিতীয় তরঙ্গে সেই ছাত্রী ফের ‘কোভিড পজিটিভ’