Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

ভারতে প্রথম করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি, দ্বিতীয় তরঙ্গে সেই ছাত্রী ফের ‘কোভিড পজিটিভ’

COVID 19: উহান (Wuhan) থেকে ফিরে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ওই তরুণী। হাসপাতালে চিকিৎসার পর সুস্থ হন তিনি।

ভারতে প্রথম করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি, দ্বিতীয় তরঙ্গে সেই ছাত্রী ফের 'কোভিড পজিটিভ'
ছবি- টুইটার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 13, 2021 | 3:47 PM

তিরুবনন্তপুরম: ভারতে প্রথম করোনার ঢেউ শুরু হয়েছিল তিনি আক্রান্ত হওয়ার পরই। এ বার দ্বিতীয় তরঙ্গে ফের আক্রান্ত হলেন সেই ভারতীয়। কেরলের বাসিন্দা ওই তরুণী সম্প্রতি আবারও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁর আরটি পিসিআর টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। কিছুদিন আগেই দিল্লি ইউনিভার্সিটিতে একটি কাজে যাওয়ার জন্য আরটি পিসিআর টেস্ট করেন তিনি। আর তাতেই জানা যায় যে তিনি করোনা আক্রান্ত। চিনের উহান ইউনিভার্সিটিতে পড়তেন তিনি। সেখান থেকে ভারতে ফেরার পর তাঁর শরীরে ভাইরাসের হদিশ পাওয়া গিয়েছিল।

কেরলের থ্রিসুর জেলার মেডিক্যাল অফিসার ড. কেজে রীনা জানিয়েছেন, ‘ওই তরুণী আবারও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁর আরটি পিসিআর রিপোর্ট পজিটিভ ও অ্যান্টিজেন রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। আক্রান্ত তরুণীর কোনও উপসর্গ নেই। ওই তরুণী বাড়িতে আছেন এবং তাঁর কোনও শারীরিক অসুস্থতা নেই বলেই জানিয়েছেন ওই চিকিৎসক।

২০১৯-এর শেষের দিক থেকে চিনে করোনার দাপাদাপি প্রকট হলেও ভারতের মাটিতে তখনও আঁচ লাগেনি। ২০২০-র ৩০ জানুয়ারি প্রথম দুঃস্বপ্ন সত্যি হয়। ভারতেও ধরা পড়ে কোভিড ১৯ ভাইরাস। চিনের উহানে পাঠরত বছর ২০-র ওই ছাত্রী কেরলের বাড়িতে ফেরেন। সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই তাঁর শরীরে প্রথম ধরা পড়ে মারণ ভাইরাসের উপস্থিতি। সেমেস্টারের পর ছুটিতে বাড়ি ফিরেছিলেন তিনি। আক্রান্ত হওয়ার পর তাঁকে থ্রিসুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়েছিল। প্রায় সপ্তাহ দুয়েক চিকিৎসার পর তাঁর রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বর থেকে ভারতে তৈরি হবে রুশ টিকা, কাজ এগোচ্ছে সেরাম ইনস্টিটিউটে

করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গের কালে অনেকেই দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হয়েছেন। একবার এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। আর সেই অ্যান্টিবডি নতুন করে সংক্রমণ রুখতে সাহায্য করে। তবে বিশেষজ্ঞরা দেখেছেন, ওই অ্যান্টিবডির স্থায়ীত্ব খুব বেশিদিন হয় না। তাই, নতুন করে সংক্রামিত হওয়ার ঘটনা ঘটছে। তবে ঠিক কতজন এ ভাবে দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হয়েছেন, তার কোনও সঠিক পরিসংখ্যান নেই।