Russia-Ukraine War: ‘ইউক্রেনবাসী ঠান্ডায় জমে মারা যাবে…’, পশ্চিমী দেশগুলির কাছে আর্তি কিয়েভের মেয়রের

Russia Ukraine Conflict: কিয়েভের মেয়র ভিতালি ক্লিশকোর কাতর আর্তি, পশ্চিমী দেশগুলি যদি দ্রুত কম্বল ও জেনারেটর না পাঠায়, তাহলে এবারের শীতে ঠান্ডায় জমে মারা যাবেন ইউক্রেনবাসী।

Russia-Ukraine War: 'ইউক্রেনবাসী ঠান্ডায় জমে মারা যাবে...', পশ্চিমী দেশগুলির কাছে আর্তি কিয়েভের মেয়রের
কিয়েভে ব্ল্যাকআউট
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 29, 2022 | 4:46 PM

কিয়েভ: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia-Ukraine war) পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ ক্রমেই বাড়ছে। চলতি মাসে ইউক্রেনের একাধিক পাওয়ার প্ল্যান্টে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। আর তার জেরে নিয়মিতভাবে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ। এবারের শীতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কায় কিয়েভের মেয়র। মানুষজন ঠান্ডায় জমে মারা যাবে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি। কিয়েভের মেয়র ভিতালি ক্লিশকোর কাতর আর্তি, পশ্চিমী দেশগুলি যদি দ্রুত কম্বল ও জেনারেটর না পাঠায়, তাহলে এবারের শীতে ঠান্ডায় জমে মারা যাবেন ইউক্রেনবাসী।

ব্রিটেনের এক সংবাদমাধ্যমকে কিয়েভের মেয়র জানিয়েছেন, “আমাদের কম্বল ও জেনারেটর পাঠান, নাহলে আমরা ঠান্ডায় জমে মারা যাব। আমরা আমাদের নাগরিকদের জীবন বাঁচানোর জন্য যা কিছু সম্ভব, সব করছি। কিন্তু এবারের শীত আমাদের জন্য সত্যিই চ্যালেঞ্জের হতে চলেছে।” ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি ইতিপূর্বেই জানিয়েছিলেন, রাশিয়ান মিসাইল ও ড্রোন হামলায় সে দেশের বিদ্যুৎ পরিকাঠামোর প্রায় ৪০ শতাংশ ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।

কিয়েভের মেয়র ভিতালি ক্লিশকো জানিয়েছেন, তাঁরা ইতিমধ্যেই বেশ কিছু জেনারেটর কিনতে পেরেছেন। প্রায় এক হাজার ভ্রাম্যমান ‘হিটিং পয়েন্ট’ও তৈরি করা হয়েছে কিয়েভ শহরে। আগামী দিনে শীত আরও বাড়লে কিয়েভে রাতের তাপমাত্রা হু হু করে কমবে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি। এদিকে চলতি মাসের শুরুর দিকেই কিয়েভের বাসিন্দাদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল, বিদ্যুৎ পরিষেবা ভীষণভাবে ব্যাহত হতে পারে শহরে।

বিবিসিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্প্রতি যে এয়ার স্ট্রাইকগুলি হয়েছে, তার জেরে কিয়েভে বিদ্যুতের সমস্যা আরও তীব্র আকার নিতে পারে। ইতিমধ্যেই কিয়েভের বাইরেও ইউক্রেনের বেশ কিছু জায়গায় ব্ল্যাকআউটের সমস্যা দেখা দিতে শুরু করেছে। ডিপ্রো শহর সহ মধ্য ইউক্রেনের বেশ কিছু জায়গা ব্ল্যাকআউট হতে শুরু করেছে। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জানিয়েছেন, এর জেরে প্রায় ৪০ লাখ মানুষের সমস্যা হচ্ছে। সঙ্গে তিনি এও জানিয়েছেন, এভাবে শেলিং করে ইউক্রেনকে দমিয়ে দেওয়া যাবে না।