Libiya flood: লিবিয়ায় ভয়াবহ বন্যা, মৃত ২০ হাজার, এটা কী ‘ম্যানমেড’?
Flood: তাসের মতো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে বহুতলগুলি। মৃতদেহের পাহাড় জমেছে। পরিস্থিতি এমন যে, মৃতদের শনাক্ত করা বা শেষকৃত্য করার মতো বহু পরিবারে কেউ বেঁচে নেই। ফলে গণকবর দেওয়া হচ্ছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে প্রশাসনের আশঙ্কা। মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে ডারনা।
ডারনা: যেন মড়ক নেমে এসেছে এই মহাদেশের একের পর এক দেশে! মরক্কোর পর এবার মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে লিবিয়া (Libiya)। ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যাগুলির (Flood) মধ্যে একটি হয়ে দাঁড়াল উত্তর আফ্রিকার এই দেশের এবারের বন্যা। ভয়াবহ বন্যায় লিবিয়ার ডারনা শহরের প্রায় অর্ধেকাংশ ধ্বংসপুরীতে পরিণত হয়েছে। বন্যার পর এবার খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে শহরে। ইতিমধ্যে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে প্রায় ২০ হাজারে। এবার মহামারীর আশঙ্কা প্রকাশ করছেন ডারনা শহরের মেয়র আব্দুলমেনাম আল-গাইথি।
ডারনা শহর প্রায় ধ্বংস
গত ১০ সেপ্টেম্বর লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলে আছড়ে পড়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েল। তার জেরে প্রচণ্ড ঝড়ের সঙ্গে হয় অতিরিক্ত বৃষ্টি। সাগরের জল উপচে শহরের ভিতর ঢুকে গিয়েছে। ভেসে গিয়েছে ঘর-বাড়ি, রাস্তাঘাট। ঘটনার পর ৫ দিন পেরিয়ে গেলেও শহরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। বরং জল ধীরে-ধীরে সরতে শুরু করায় ভেসে আসতে শুরু করেছে একের পর এক দেহ। ডারনা শহরের মেয়র জানান, শহরে ভয়াবহ বন্যায় প্রায় ২০ হাজারের মৃত্যু হয়েছে। ইতিমধ্যে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। এবার শহরের ভিতর জলের মধ্যে ভাসছে মৃতদেহ। ফলে রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা হচ্ছে। যদিও জরুরি ভিত্তিতে লিবিয়াকে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)।
লিবিয়ার আবহাওয়া দফতর সক্রিয় নয়
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (WMO)-র মতে, লিবিয়ার আবহাওয়া দফতর সক্রিয় ছিল না। যদি এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের ব্যাপারে আগাম সতর্কতা জারি করত, বিপজ্জনক এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরানো সম্ভব হত। তাহলে মৃতের সংখ্যা কিছুটা কমত। যদিও ৭২ ঘণ্টা আগে ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল এবং অনেককে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে বলে দাবি লিবিয়ার আবহাওয়া দফতরের। তাহলে কেন পরিস্থিতি কিছুটা আটকানো গেল না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
বিশেষজ্ঞদের অনেকের মতে, ডারনা শহরে বাঁধ তৈরির ব্যাপারে বহুবার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, লিবিয়া সরকার কর্ণপাত করেনি। ডারনা শহর যে বিপদের মুখে রয়েছে, তা এবারের বন্যার ছবি থেকেই স্পষ্ট। তাসের মতো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে বহুতলগুলি। মৃতদেহের পাহাড় জমেছে। পরিস্থিতি এমন যে, মৃতদের শনাক্ত করা বা শেষকৃত্য করার মতো বহু পরিবারে কেউ বেঁচে নেই। ফলে গণকবর দেওয়া হচ্ছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে প্রশাসনের আশঙ্কা। সবমিলিয়ে, মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে ডারনা শহর।