The Terminal Man: টানা ১৮ বছর ধরে বিমানবন্দরেই বাস তাঁর, শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন ‘দ্য টার্মিনাল’ খ্যাত নাসেরি

Paris Airport: কয়েক সপ্তাহ আগেই ফের বিমানবন্দরের ফিরে এসেছিলেন তিনি। সেখানেই স্বাভাবিকভাবে মৃত্যু হয় তাঁর। শনিবার বিমানবন্দরের টার্মিনাল ২ এফ-এ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন বলে ঘোষণা করা হয়েছে।

The Terminal Man: টানা ১৮ বছর ধরে বিমানবন্দরেই বাস তাঁর, শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন ‘দ্য টার্মিনাল’ খ্যাত নাসেরি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 14, 2022 | 12:12 PM

টানা ১৮ বছর ধরে প্যারিসের (Paris) শার্ল দে গল বিমানবন্দরের (Paris Airport) জীবনের অর্ধেক সময়টাই কাটিয়ে ফেলেছিলেন। এবার বিদায়ে পালা। মেহরান করিমি নাসেরি (Mehran Karimi Nasseri)। তাঁর জীবনকাহিনি নিয়ে কম চাঞ্চল্য হয়নি। হলিউডের বিখ্যাত পরিচালক স্পিলবার্গ ‘দ্য টার্মিনাল’ (The Terminal) সিনেমাটি তাঁর জীবনকাহিনি অবলম্বনেই নির্মাণ করেছিলেন। ইরানের সেই করিমি শনিবার প্যারিস বিমানবন্দরেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন বলে জানা গিয়েছে।

বিমানবন্দরের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কাগজপত্রে জটিলতাকে কেন্দ্র করে প্যারিস বিমানবন্দরেই নাসিরিকে শেষ পর্যন্ত ফ্রান্সে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তিনি আরও জানান, কয়েক সপ্তাহ আগেই ফের বিমানবন্দরের ফিরে এসেছিলেন তিনি। সেখানেই স্বাভাবিকভাবে মৃত্যু হয় তাঁর। শনিবার বিমানবন্দরের টার্মিনাল ২ এফ-এ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন বলে ঘোষণা করা হয়েছে।

ফ্রান্সের এক আউটলেটের তথ্য অনুসারে, নাসিরি সেখানে স্যর আলফ্রেড নামে পরিচিত ছিলেন। কয়েক সপ্তাহ আগে বিমানবন্দর ফিরে বসবাস করতে শুরু করেছিলেন। বিমানবন্দরের টার্মিনাল ওয়ানই ছিল তাঁর জীবনের শেষ ঠিকানা। ইরানের যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার কারণে মার্কিন দেশে তাঁকে প্রবেশ করতে বাধা দেওয়া হয়। নিউ ইয়র্কে গেলেও তাঁকে বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হয়েছিল। কোনও দেশই তাঁকে প্রবেশে অনুমতি দেয়নি। শেষমেশ প্যারিস বিমানবন্দরেই ঠাঁই হয় নাসিরির।

তথ্য অনুসারে, ইরানের মসজিদ মোলেমানেতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন মেহরাম কিরিমি নাসেরি। ১৯৭৩ সালে ওয়েস্ট ইয়র্কশায়রের ব্র্যাডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসেন যুবক নাসেরি। ইতোমধ্য়েই ইরানের শাসকের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলে মধ্যপ্রাচ্যের দেশে ফিরে এসে ইরান থেকে বহিষ্কার করা হয়। কিন্তু পরবর্তীকালের তথ্য বলছে, তাঁকে ইরান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়নি। বহু দেশে আশ্রয় দেওয়ার আবেদন জানানো হলেও তাঁকে কোনও দেশই মূল ভূখণ্ডে প্রবেশে অনুমতি দেয়নি।

পরবর্তীকালে অনেক জলঘোলার পর প্যারিসের শার্ল দে গল বিমানবন্দরের নামার পরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। পরে অবশ্য বৈধভাবে বিমানবন্দরে প্রবেশ করলে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু তাঁর জন্য স্থায়ীভাবে বিমানবন্দরের একটি নির্দিষ্ট জায়গায় নিজের মত বসবাস করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।