Paris Airport: ১৮ বছর ধরে এয়ারপোর্টে আটকে থাকা নাসেরির কাহিনি সিনেমাকেও হার মানায়!

Mehran Karimi Nasseri: ২০০৮ সালের হলিউডের বিখ্য়াত সিনেমা দ্য টার্মিনাল দেখেছেন? টম হ্যাঙ্কস অভিনীত অসাধারণ ওই সিনেমার পিছনে যে জীবনকাহিনি অদ্ভূতভাবে প্রভাব ফেলেছিল, সেই জীবনের অর্ধেক প্লট তৈরি করা হয়েছিল ইরানের এক বাসিন্দার উপর।

| Edited By: | Updated on: Sep 02, 2022 | 5:19 PM
২০০৮ সালের হলিউডের বিখ্য়াত সিনেমা দ্য টার্মিনাল দেখেছেন? টম হ্যাঙ্কস অভিনীত অসাধারণ ওই সিনেমার পিছনে যে জীবনকাহিনি অদ্ভূতভাবে প্রভাব ফেলেছিল, সেই জীবনের অর্ধেক প্লট তৈরি করা হয়েছিল ইরানের এক বাসিন্দার উপর।

২০০৮ সালের হলিউডের বিখ্য়াত সিনেমা দ্য টার্মিনাল দেখেছেন? টম হ্যাঙ্কস অভিনীত অসাধারণ ওই সিনেমার পিছনে যে জীবনকাহিনি অদ্ভূতভাবে প্রভাব ফেলেছিল, সেই জীবনের অর্ধেক প্লট তৈরি করা হয়েছিল ইরানের এক বাসিন্দার উপর।

1 / 7
মেহরান করিমি নাসেরি। টানা ১৮ বছর ধরে প্যারিসের শার্ল দে গল বিমানবন্দরের জীবনের অর্ধেকটাই কাটিয়ে দিয়েছিলেন। তাঁর জীবনকাহিনি নিয়েই বিখ্য়াত পরিচালক স্পিলবার্গ দ্য টার্মিনাল সিনেমাটি নির্মাণ করেছিলেন। ইরানে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তাকে প্রবেশ করতে বাধা দেয়। নিউ নিয়র্কের জন কেনেডি বিমানবন্দরে আটকে পড়েন নাসেরি। কোন দেশই তাকে প্রবেশে অনুমতি না দিলে আশ্রয় হয় বিমানবন্দরই তাঁর একমাত্র ঠিকানা হয়।

মেহরান করিমি নাসেরি। টানা ১৮ বছর ধরে প্যারিসের শার্ল দে গল বিমানবন্দরের জীবনের অর্ধেকটাই কাটিয়ে দিয়েছিলেন। তাঁর জীবনকাহিনি নিয়েই বিখ্য়াত পরিচালক স্পিলবার্গ দ্য টার্মিনাল সিনেমাটি নির্মাণ করেছিলেন। ইরানে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তাকে প্রবেশ করতে বাধা দেয়। নিউ নিয়র্কের জন কেনেডি বিমানবন্দরে আটকে পড়েন নাসেরি। কোন দেশই তাকে প্রবেশে অনুমতি না দিলে আশ্রয় হয় বিমানবন্দরই তাঁর একমাত্র ঠিকানা হয়।

2 / 7
সংবাদপত্রের রিপোর্ট অনুসারে, মেহরাম করিমি নাসেরির জন্ম হয়েছিল ইরানের মসজিদ সোলেমানে। তাঁর বাবা ছিলেন একজন ডাক্তার। অন্যদিকে মা ছিলেন স্কটিশ নার্স। ইরানে সচ্ছ্বল পরিবারে জীবন অতিবাহিত করেছিলেন নাসেরি। ১৯৭৩ সালে ওয়েস্ট ইয়র্কশায়ারের ব্র্যাডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে যুগোস্লাভ অধ্যয়নের জন্য ব্রিটেনে আসেন। তবে ইরানে শাহ শাসনের প্রতিবাদ করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশে ফিরে আসার পর তাকে ইরান থেকে বহিষ্কার করা হয়। তবে পরবর্তীকালে দেখা যায়, তাঁকে আদৌও ইরান থেকে বহিষ্কার করা হয়নি। পরবর্তীকালে বহু দেশে আবেদন করা হলেও কোনও দেশেই তাঁকে মূল ভূখণ্ডে প্রবেশের অনুমতি দেয়নি।

সংবাদপত্রের রিপোর্ট অনুসারে, মেহরাম করিমি নাসেরির জন্ম হয়েছিল ইরানের মসজিদ সোলেমানে। তাঁর বাবা ছিলেন একজন ডাক্তার। অন্যদিকে মা ছিলেন স্কটিশ নার্স। ইরানে সচ্ছ্বল পরিবারে জীবন অতিবাহিত করেছিলেন নাসেরি। ১৯৭৩ সালে ওয়েস্ট ইয়র্কশায়ারের ব্র্যাডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে যুগোস্লাভ অধ্যয়নের জন্য ব্রিটেনে আসেন। তবে ইরানে শাহ শাসনের প্রতিবাদ করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশে ফিরে আসার পর তাকে ইরান থেকে বহিষ্কার করা হয়। তবে পরবর্তীকালে দেখা যায়, তাঁকে আদৌও ইরান থেকে বহিষ্কার করা হয়নি। পরবর্তীকালে বহু দেশে আবেদন করা হলেও কোনও দেশেই তাঁকে মূল ভূখণ্ডে প্রবেশের অনুমতি দেয়নি।

3 / 7
বেলজিয়ামে থাকার অনুমতি মিললেও নাসেরি চেয়েছিলেন ব্রিটেনে থাকতে। কিন্তু সেই আবেদনেও জল ঢেলে দেয় ব্রিটেন সরকার। সেই সময় নাসেরি দাবি করেছিলেন, নথি-সহ গোটা ব্রফিকেস চুরি হয়ে যায়। তবে তাঁর দাবিগুলি ধীরে ধীরে মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়। নথি ছাড়াই লন্ডনের বিমানে ওঠেন। সেখানেও তাঁকে ফ্রান্সে ফিরে যেতে বলা হয়। কিন্তু প্যারিসের শার্ল দে গল বিমানবন্দরে অবতরণ করার পরই তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে অবশ্য বৈধভাবে বিমানবন্দরে প্রবেশ করায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

বেলজিয়ামে থাকার অনুমতি মিললেও নাসেরি চেয়েছিলেন ব্রিটেনে থাকতে। কিন্তু সেই আবেদনেও জল ঢেলে দেয় ব্রিটেন সরকার। সেই সময় নাসেরি দাবি করেছিলেন, নথি-সহ গোটা ব্রফিকেস চুরি হয়ে যায়। তবে তাঁর দাবিগুলি ধীরে ধীরে মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়। নথি ছাড়াই লন্ডনের বিমানে ওঠেন। সেখানেও তাঁকে ফ্রান্সে ফিরে যেতে বলা হয়। কিন্তু প্যারিসের শার্ল দে গল বিমানবন্দরে অবতরণ করার পরই তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে অবশ্য বৈধভাবে বিমানবন্দরে প্রবেশ করায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

4 / 7
কিন্তু ফিরবেন কোন দেশে। তাঁর পছন্দমত কোনও দেশই তাঁকে স্থায়ী ঠিকানা দিতে রাজি ছিল না। তাই অগত্যা শুরু জীবনের কঠিন লড়াই। টানা ১৮ বছর ধরে প্যারিস বিমানবন্দরে ঠাই হয়েছিল তাঁর। পরে প্রচুর মামলা-মোকদ্দমার পর ফ্রান্স তাকে থাকতে দেওয়া সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু নাসেরি ব্রিটেনে থাকতে চেয়েছিলেন। কারণ তাঁর মা ছিলেন ব্রিটিশ। কিন্তু সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া ইরানের বাসিন্দা হলেও তিনি ব্রিটিশ হতে চেয়েছিলেন। নাম পাল্টে হয়ে চেয়েছিলেন স্যার অ্যালফ্রেড। কিন্তু কোনও ইচ্ছেই তাঁর পূরণ হয়নি।

কিন্তু ফিরবেন কোন দেশে। তাঁর পছন্দমত কোনও দেশই তাঁকে স্থায়ী ঠিকানা দিতে রাজি ছিল না। তাই অগত্যা শুরু জীবনের কঠিন লড়াই। টানা ১৮ বছর ধরে প্যারিস বিমানবন্দরে ঠাই হয়েছিল তাঁর। পরে প্রচুর মামলা-মোকদ্দমার পর ফ্রান্স তাকে থাকতে দেওয়া সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু নাসেরি ব্রিটেনে থাকতে চেয়েছিলেন। কারণ তাঁর মা ছিলেন ব্রিটিশ। কিন্তু সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া ইরানের বাসিন্দা হলেও তিনি ব্রিটিশ হতে চেয়েছিলেন। নাম পাল্টে হয়ে চেয়েছিলেন স্যার অ্যালফ্রেড। কিন্তু কোনও ইচ্ছেই তাঁর পূরণ হয়নি।

5 / 7
২০০৬ সালের জুলাই মাসে অসুস্থ হয়ে পড়েন বিমানবন্দরে। সেখান থেকে তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হলে ফ্রান্সের রেড ক্রস তার দায়িত্ব নেয়।  তবে বেশিদিন লড়াই চালিয়ে যেতে পারেননি। ১৮ বছর জীবনে সর্বাধিক কষ্ট পাওয়ার পর জুলাই মাসেই মৃত্যু হয় তাঁর। বিমানবন্দরের টানা ১৮টি বছর কেমন কাটছিল? বিমানকর্মীদের দেওয়া খাবার ও জামাকাপড় পরেই জীবন অতিবাহিত করছিলেন।

২০০৬ সালের জুলাই মাসে অসুস্থ হয়ে পড়েন বিমানবন্দরে। সেখান থেকে তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হলে ফ্রান্সের রেড ক্রস তার দায়িত্ব নেয়। তবে বেশিদিন লড়াই চালিয়ে যেতে পারেননি। ১৮ বছর জীবনে সর্বাধিক কষ্ট পাওয়ার পর জুলাই মাসেই মৃত্যু হয় তাঁর। বিমানবন্দরের টানা ১৮টি বছর কেমন কাটছিল? বিমানকর্মীদের দেওয়া খাবার ও জামাকাপড় পরেই জীবন অতিবাহিত করছিলেন।

6 / 7
২০০৩ সালে স্টিভেন স্পিলবার্গের ড্রিমওয়াকর্স প্রযোজনা সংস্থাটি নাসেরির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় ও সিনেমার জন্য কাহিনি বা প্লটের স্বত্বের জন্য প্রায় ২৫০ হাজার ডলার দেওয়া হয়। তবে দ্য টার্মিনাল সিনেমায় শুধুমাত্র নাসেরির প্রাথমিক জীবন ব্যবহার করা হয়েছিল।

২০০৩ সালে স্টিভেন স্পিলবার্গের ড্রিমওয়াকর্স প্রযোজনা সংস্থাটি নাসেরির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় ও সিনেমার জন্য কাহিনি বা প্লটের স্বত্বের জন্য প্রায় ২৫০ হাজার ডলার দেওয়া হয়। তবে দ্য টার্মিনাল সিনেমায় শুধুমাত্র নাসেরির প্রাথমিক জীবন ব্যবহার করা হয়েছিল।

7 / 7
Follow Us: