Russia-Ukraine: কিয়েভে বিস্ফোরণ, খারকিভে ব্ল্যাকআউট, গোটা ইউক্রেন জুড়ে ক্ষেপণাস্ত্র বৃষ্টি রাশিয়ার
Russia-Ukraine War: শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি শহরে একসঙ্গে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হল। রাজধানী কিয়েভে বড় বিস্ফোরণের খর পাওয়া গিয়েছে। খারকিভে অন্ধকার নেমে এসেছে।
কিয়েভ: ক্রিসমাস আসছে। এই সময় কয়েকদিনের জন্য যুদ্ধ বিরতির আবেদন করেছিল ইউক্রেন। সেই আবেদন অবশ্য ফিরিয়ে দিয়েছিল মস্কো। এরপরই, নতুন বছরের শুরুতেই ফের নতুন উদ্যমে ঝাঁপিয়ে পড়বে রাশিয়া বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জ়েলেনস্কি। কয়েক ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ইউক্রেন জুড়ে আকাশপথে হামলা চালাল রাশিয়া। শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) একসঙ্গে ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি শহরে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার খবর পাওয়া গিয়েছে। সূত্রের খবর, রাজধানী কিয়েভে বড় মাপের একটি বিস্ফোরণ ঘটেছে। খারকিভের মেয়র জানিয়েছেন, হামলার পর গোটা শহরে অন্ধকার নেমে এসেছে।
শুক্রবার সকালে, ইউক্রেনের তিনটি শহর জুড়ে অন্তত ৬০টি মিসাইল এসে পড়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ। তাদের আরও দাবি, বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ শক্তি কেন্দ্রে হামলা চালানো হয়েছে। যার ফলে পোলতাভা প্রদেশের কেন্দ্রীয় শহর খারকিভ, রাজধানী কিয়েভের বেশ কিছু অংশ এবং উত্তরের সুমি প্রদেশেরও বেশ কিছু অংশে বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। ফলে বেশ কিছু জায়গায় রেল যোগাযোগও ব্যাহত হয়েছে।
Life in Kyiv underground right now, as Russian missiles fly over Ukraine. People take shelter with laptops, books and phones in hand. Ukraine ❤️ pic.twitter.com/EXLvpmOcot
— UNITED24.media (@United24media) December 16, 2022
খারকিভের পূর্বাঞ্চলীয় অংশ, ওডেসার কৃষ্ণ সাগর সংলগ্ন অঞ্চল এবং পশ্চিম-মধ্য ইউক্রেনের ভিন্নিতসিয়াতে বেশ কিছু ভবনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কিয়েভের গভর্নর ওলেক্সি কুলেবা বলেছেন, “ইউক্রেনে ব্যাপক হামলা শুরু করেছে রাশিয়া।” প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, সারা দেশ জুড়ে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চালু রাখা হলেও, তার মধ্যেই কিয়েভে একটি বড় মাপের বিস্ফোরণ ঘটেছে। প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, ক্রিভি রিহ শহরে একটি আবাসিক ভবনে একটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। বহু মানুষ সেই ভবনটির ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে, জ়েলেনস্কি ক্রিসমাসের সময় সেনা প্রত্যাহারের জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন রাশিয়াকে। কিন্তু, গত বুধবার ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাফ জানান, জ়েলেনস্কি “বাস্তব পরিস্থিতি” মেনে না নেওয়া পর্যন্ত কিয়েভের সঙ্গে কোনওরকম শান্তি চুক্তি করা হবে না। এরপরই ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জ়েলেনস্কি এবং ঊর্ধ্বতন ইউক্রেনীয় কর্তাদের নতুন বছরের শুরুতেই রুশ আক্রমণ হতে পারে বলে সতর্ক করেছিলেন। ইউক্রেনের পদস্থ সামরিক কর্তারা বলেছিলেন, হমলাটি হত পারে পূর্বাঞ্চলীয় ডনবাস এলাকায়। কিয়েভের দিকেও হামলা ধেয়ে আসতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছিল।