Russia-Ukraine : ক্রিমিয়ার সেতু ভাঙতেই ফের আগ্রাসী রাশিয়া! ইউক্রেনের একাধিক শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় মৃত ৮
Russia-Ukraine : ইউক্রেনের কিয়েভ সহ একাধিক জায়গায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা। সোমবার এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের।
কিয়েভ : সাত মাস পেরিয়ে গিয়েছে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের। তা থামার তো কোনও ইঙ্গিত নেই। উল্টে বিভিন্ন সময়ে তার তেজ বেড়েছে। এদিকে শনিবার রাশিয়া অধিকৃত ক্রিমিয়া ও রাশিয়ার মধ্য়ে সংযোগকারী কের্চ সেতুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। ইউক্রেন এই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করে রাশিয়া। আর এই বিস্ফোরণের একদিন পরেই ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে একের পর এক বিস্ফোরণের খবর মিলেছে। এই বিস্ফোরণে মোট ৮ জনের প্রাণ গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।জখম হয়েছেন প্রায় ২৪ জন। প্রেসিডেন্টের অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, ইউক্রেনের একাধিক শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় সময় সকাল ৮ টা ১৫ নাগাদ কিয়েভে একের পর এক বিস্ফোরণের শব্দ আসে। বিস্ফোরণের পরই ঘটনাস্থলে একের পর এক অ্য়াম্বুলেন্স গিয়ে পৌঁছোয়। এছাড়াও বিভিন্ন শহরে একাধিক বিস্ফোরণের খবর মিলেছে। এই একাধিক বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন ৮ জন। কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিচকো সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন, ‘রাজধানীর কেন্দ্রে শেভচেনকিভস্কি জেলার বেশ কয়েকটি জায়গায় বিস্ফোরণ হয়েছে।’ সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে কালো ধোঁয়া বের হচ্ছে।
এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি আজকের এই হামলার পর জানিয়েছেন, রাশিয়া পৃথিবী থেকে আমাদের মুছে ফেলতে চায়। তিনি ইউক্রেনবাসীর উদ্দেশে সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘ইউক্রেনে বিমান হামলায় সাইরেন কমছে না…দুর্ভাগ্যবশত সেখানে অনেকের মৃত্য়ু হয়েছে। এবং আহতও হয়েছেন অনেকে। অনুগ্রহ করে নিজেদের আশ্রয় ছেড়ে যাবেন না।’ প্রসঙ্গত, শনিবার সকালেই রাশিয়া অধিকৃত ক্রিমিয়া ও রাশিয়ার মধ্যে সংযোগ রক্ষাকারী কের্চ সেতুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। রাশিয়ার তরফে জানানো হয়েছিল, সেখানে মিসাইল হানায় সাতটি তেলের ট্যাঙ্কারে আগুন ধরে গিয়েছিল। সেখান থেকে রেললাইনে আগুন ধরে যায় এবং সেতুর একাংশ ভেঙে গিয়ে পড়ে কৃষ্ণ সাগরে। সেই ঘটনায় মোট তিনজনেরও মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে ওই ঘটনাকে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বলে অভিহিত করে এই ঘটনার পুরো দায় ইউক্রেনের উপর চাপিয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ক্রিমিয়ার এই সেতু উড়ে যাওয়া ঘটনায় ইউক্রেনের বাসিন্দাদের মধ্যে উদযাপনের মেজাজ দেখা গিয়েছিল। তবে শনিবার প্রতিদিনের ভাষণে জ়েলেনস্কি এই ঘটনার বিষয়ে সরাসরি কোনও উল্লেখ করেননি। অন্যান্য আধিকারিকরাও সরাসরি এই ঘটনার কোনও দায় নেয়নি। তবে এই ঘটনার পরই রবিবার জ়াপোরিঝঝিয়াতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রাশিয়া। সেই হামলায় মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের। আহত হয়েছিলেন প্রায় ৮৯ জন। যার মধ্যে ছিল ১১ জন শিশুও। রবিবারের পর সোমবারও সেই হামলা অব্যাহত থাকল।