Missing Nepal plane: ৫ ঘণ্টা পর খোঁজ মিলল উধাও নেপালি বিমানের! পাইলটের ফোন থেকে মিলল সিগনাল

Missing Nepal plane: ৪ ভারতীয়-সহ ২২ জনকে নিয়ে হারিয়ে যাওয়া নেপালি বিমানটির খোঁজ মিলল মাস্তাং জেলার কোওয়াং এলাকায়। প্রকাশ করা হল ৪ ভারতীয় যাত্রীর নাম।

Missing Nepal plane: ৫ ঘণ্টা পর খোঁজ মিলল উধাও নেপালি বিমানের! পাইলটের ফোন থেকে মিলল সিগনাল
(প্রতীকী ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 29, 2022 | 5:22 PM

কাঠমাণ্ডু: অবশেষে খোঁজ মিলল নেপালের তারা এয়ার সংস্থার হারিয়ে যাওয়া বিমানটির। সংবাদ সংস্খা এএনআই-এর প্রতিবেদনে নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রধানকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, মুস্তাং জেলার কোওয়াং এলাকায় পাওয়া গিয়েছে বিমানটি। বিমানটির ঠিক কী অবস্থায় আছে, সেই সম্পর্কে কোনও তথ্য এখনও জানানো হয়নি। নেপাল সেনাবাহিনী জানিয়েছে, স্থানীয়দের থেকে বিমানটি সম্পর্কে তারা তথ্য পেয়েছে। তাদের দাবি, তারা এয়ারের বিমানটি মানপতি হিমালের নিচে লামচে নদীর মুখে ভেঙে পড়েছে। এএনআই-কে নেপালি সেনার মুখপাত্র নারায়ণ সিলওয়াল জানিয়েছেন, নেপাল সেনাবাহিনী স্থল এবং আকাশপথে ঘটনাস্থলে যাচ্ছে।

নিখোঁজ বিমানটির ক্যাপ্টেনের সেল ফোনের সিগনালের সূত্র ধরেই বিমানটির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার পর ক্যাপ্টেন প্রভাকর ঘিমিরের মোবাইস ফোনটি একবার বেজে উঠেছিল। নেপাল টেলিকমের পক্ষ থেকে এরপরই গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম বা জিপিএস নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ক্যাপ্টেনের ফোনের অবস্থান নির্ণয় করা হয়। নেপালের স্থানীয় সংবাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, এরপর ১০ জন সৈন্য এবং অসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের দুই কর্মীকে ওই এলাকায় পাঠায় নেপাল সেনাবাহিনী। ওই হেলিকপ্টারটি নারশাং মঠের কাছে নদীর তীরে অবতরণ করেছে। সেনা এবং পুলিশ কর্মীরা সেখান থেকে পায়ে হেঁটে দুর্ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন।

স্থানীয় সংবাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, উড়োজাহাজটিকে জমসম বিমান বন্দরের কাছে মুস্তাং এলাকার আকাশে শেষবার দেখা গিয়েছিল। তারপরই সেটি ধৌলাগিরি পাহাড়ের দিকে চলে গিয়েছিল। নেপালের জমসম এয়ারপোর্টের এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, বিমানটির সম্ভাব্য ‘ক্র্যাশ সাইট’ চিহ্নিত করা গিয়েছে। তারা বলেছিল, সম্ভবত ধৌলাগিরি এলাকাতেই বিমানটি ভেঙে পড়েছে। ওই এলাকা থেকে একটা প্রচন্ড জোরে শব্দ হওয়ার রিপোর্ট করা হয়েছিল। তবে এই বিষয়ে কোনও নিশ্চয়তা দিতে পারেনি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। অনুসন্ধানের জন্য ওই এলাকায় একটি হেলিকপ্টার পাঠানো হয়েছিল। খারাপ আবহাওয়ার কারণে অনুসন্ধানের প্রচেষ্টা বারংবার ব্যাহত হয়েছে।

‘তারা এয়ার’ সংস্থার এক মুখপাত্র সুদর্শন বারতৌলা জানিয়েছেন, বিমানটিতে ৩ ক্রু সদস্য-সহ মোট ২২ জন ছিলেন। তাদের মধ্যে মুম্বইয়ের এক পরিবারের চার সদস্য রয়েছেন। আরও দুইজন ছিলেন জার্মান নাগরিক, বাকিরা সকলেই নেপালি। তারা এয়ার-এর পক্ষ থেকে বিমানটির যাত্রী তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সেই তালিকা অনুযায়ী নিখোঁজ বিমানটির চার ভারতীয় যাত্রীরা হলেন – অশোক কুমার ত্রিপাঠী, ধনুশ ত্রিপাঠি, ঋত্বিকা ত্রিপাঠি এবং বৈভবী ত্রিপাঠি। পোখরা বিমানবন্দরের তথ্য কর্মকর্তা দেবরাজ অধিকারী জানিয়েছেন, বিমানটির তিন সদস্যের ক্রু-এর নেতৃত্বে ছিলেন ক্যাপ্টেন প্রভাকর প্রসাদ ঘিমিরে। এছাড়া কো-পাইলট হিসাবে ছিলেন উত্সব পোখরেল এবং এয়ার হোস্টেস ছিলেন কিসমি থাপা।

সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে পশ্চিম নেপালের পাহাড়ি এলাকার বিমানবন্দরে অঞ্চলের জমসমে বিমানটির অবতরণের কথা ছিল। কিন্তু, অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন শহর পোখারা থেকে ওড়ার ১৫ মিনিট পরই, ঘোরেপানি এলাকায় বিমানটি ব়্যাডারের নজর থেকে উধাও হয়ে গিয়েছিল৷ নেপালের তারা এয়ারের এই বিমানটি ছিল টুইন ইঞ্জিন অর্থাৎ দুই ইঞ্জিনের। ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়েছিল, ৪ ভারতীয়কে নিয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে বিমানটি। জোর কদমে চলছে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান। দূতাবাসের পক্ষ থেকে ভারতীয় যাত্রীদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছিল ভারতীয় দূতাবাস।