Tornedo in Kentucky: মৃত্যু ছাড়িয়েছে ১০০, আরও বিধ্বংসী ঝড়ই হবে পৃথিবীর ‘নিউ নর্মাল’! সতর্কবার্তা বিশেষজ্ঞের

Tornedo in Kentucky: সম্প্রতি, প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা ধরে ৪০০ কিমি বেগে টর্নেডো বয়ে গিয়েছে আরকানসাস থেকে কেন্টাকি অবধি। মিসৌরি ও ইলিওনিসও রক্ষা পায়নি।

Tornedo in Kentucky: মৃত্যু ছাড়িয়েছে ১০০, আরও বিধ্বংসী ঝড়ই হবে পৃথিবীর 'নিউ নর্মাল'! সতর্কবার্তা বিশেষজ্ঞের
সাম্প্রতিক টর্নেডোতে মৃত্যু হয়েছে শতাধিক মানুষের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 13, 2021 | 1:10 PM

ওয়াশিংটন : ঝড় হবে আরও ভয়ঙ্কর, আরও বিধ্বংসী, আরও মারাত্মক। জলবায়ু যে ভাবে বদলাচ্ছে তাতে এটাই হবে আগামিদিনে পৃথিবীর জন্য ‘নিউ নর্মাল’। আমেরিকার সাম্প্রতিক বিধ্বংসী টর্নেডোর পর এমনটাই বললেন আমেরিকার এক উচ্চপদস্থ কর্তা। আমেরিকার এমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্টের দায়িত্বে থাকা ওই আধিকারিক জানিয়েছেন জলবায়ু যেভাবে বদলাচ্ছে তাতে এই ধরনের ঝড় আগামিদিনে অস্বাভাবিক নয়।

বিশ্ব জুড়ে আবহাওয়াবিদরা বারবার সতর্ক করেছেন। জলবায়ু পরিবর্তন হতে থাকলে বিশ্বজুড়ে আবহাওয়া ক্রমশ চরমভাবাপন্ন হয়ে উঠবে বলে সতর্ক করেন তাঁরা। তবে সে চেহারা যে কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে, তারই উদাহরণ মিলল আমেরিকার কেন্টাকিতে। কয়েক মিনিটের মধ্যে টর্নেডোতে লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। এখনও পর্যন্ত শতাধিক মৃত্যুর খবর মিলেছে। ভেঙে পড়েছে ঘরবাড়ি। ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে চলছে উদ্ধারের কাজ। এরই মধ্যে আবহাওয়া নিয়ে এই বার্তা দিলেন আমেরিকার ফেডারেল এমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সির প্রধান ডিন ক্রিসওয়েল।

এক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘এটাই হবে আমাদের নিউ নর্মাল।’ তিনি মনে করিয়ে দেন জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য আগামীতে কতটা সমস্যা করতে পারে। তিনি বলেন ‘আমরা আরও ভয়ঙ্কর ঝড়ের সাক্ষী হব, সে হারিকেনই হোক বা টর্নেডো, হতে পারে ভয়ঙ্কর দাবানলও। কী ভাবে এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি মিলতে পারে, সেই পথ ভাবতে হবে আমাদের।’ উল্লেখ্য টর্নোডো সাম্প্রতিককালে বাংলাতেও দেখা গিয়েছে। ইয়াস ঘূর্ণিঝড় আসার আগে রাজ্যের একাধিক জায়গায় টর্নোডো চোখে পড়েছে। যদিও ঝড়ের মাত্রা কম থাকায় ক্ষয়ক্ষতি তেমন হয়নি।

গত শুক্রবার মধ্যরাতেই টর্নেডো আছড়ে পড়ে আমেরিকার কেন্টাকিতে। টর্নেডো নিয়ে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন টেলিভিশন বার্তায় বলেন, “অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। আমরা এখনও জানিনা যে কতজনের মৃত্যু হয়েছে এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণই বা কতটা।”

স্থানীয় সময় অনুযায়ী শুক্রবার মধ্যরাতেই পরপর একাধিক টর্নেডো আছড়ে পড়ে। ঝড়ে সবথেকে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কেন্টাকিতেই। কেবল সেখানেই মৃতের সংখ্যা ১০০ ছুঁইছুঁই। এদের মধ্যে অধিকাংশই একটি মোমবাতি কারখানার কর্মী ছিলেন। ঝড়ে গোটা কারখানার ছাদ উড়ে যাওয়ায় এবং কারখানার একাংশ ভেঙে পড়ায় বহু কর্মী আহত ও মারা গিয়েছেন। ইলিওনিসের অ্যামাজনের ওয়ারহাউসেও কমপক্ষে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।

প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা ধরে ৪০০ কিমি বেগে টর্নেডো বয়ে গিয়েছে আরকানসাস থেকে কেন্টাকি অবধি। মিসৌরি ও ইলিওনিসও রক্ষা পায়নি। ঝড়ের সতর্কতা থাকলেও, তা এতটা ভয়ঙ্কর আকার নেবে, তা কল্পনা করা যায়নি।  শনিবার সকাল থেকে উদ্ধারকার্য শুরু হতেই ক্ষয়ক্ষতির টের পাওয়া যায়। মাইলের পর মাইল জুড়ে কেবল ভেঙে পড়া বাড়িঘরই দেখতে পাওয়া যায়। ধ্বংসস্তূপের মধ্যেই স্বজন পরিজনদের খুঁজতে দেখা যায় স্থানীয় বাসিন্দাদের।

আরও পড়ুন : Gorkha regiments: গাড়োয়ালি, কুমায়ুনিদের কেন সুযোগ গোর্খা রাইফেলসে? রাজনাথ সিং-কে চিঠি তৃণমূল সাংসদের