Omicron Death: ওমিক্রনের হানায় ব্রিটেনে প্রথম মৃত্যু, বুস্টার ডোজ় নিতে জোর বরিসের
Omicron in Britain: বরিস জনসন জানিয়েছেন, "ওমিক্রন আক্রান্ত হয়ে মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে এবং দুঃখজনকভাবে অন্তত একজন রোগী ওমিক্রনের আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।"
লন্ডন : ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ব্রিটেনের এক ব্যক্তি। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন সোমবার পশ্চিম লন্ডনের প্যাডিংটনের লকাছে এক টিকাকরণ কেন্দ্র পরিদর্শনে এসে এ কথা জানিয়েছেন।
বরিস জনসন জানিয়েছেন, “ওমিক্রন আক্রান্ত হয়ে মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে এবং দুঃখজনকভাবে অন্তত একজন রোগী ওমিক্রনের আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।” একইসঙ্গ বুস্টার ডোজ় নেওয়ার উপরেও জোর দিয়েছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী।
ওই ওমিক্রনের সংক্রমণের পরিস্থিতি নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন বরিস জনসন। তিনি বলেন, “আমি আতঙ্কিত। নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের বিরুদ্ধে আমাদের যুদ্ধে একটি জরুরী অবস্থার সম্মুখীন হচ্ছি। আমাদের বন্ধুদের এবং প্রিয়জনদের সুরক্ষিত রাখতে আমাদের টিকার রক্ষাকবচকে আরো শক্তিশালী করতে হবে।”
ওমিক্রনে আক্রান্তদের শরীরে এখনও পর্যন্ত “হালকা” অসুস্থতা দেখা গিয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে আবার কোনও উপসর্গই নেই আক্রান্তদের। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, এই ভ্যারিয়েন্টটি কতটা তীব্র হতে পারে, তার নিশ্চিত হতে এখনও আরও তথ্য প্রয়োজন।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার রিজিওনাল ডিরেক্টর ডঃ পুনম ক্ষেত্রপাল বলেছেন, “নতুন ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ মিললেই পরিস্থিতি শোচনীয় হবে, এমন কোনও কথা নেই। তবে এটা সঠিক যে পরিস্থিতি আরও অনিশ্চিত হয়ে উঠবে।”
বিশ্ব জুড়ে করোনা পরিস্থিতি ও “অতি সংক্রামক” ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে আলোচনায় পুনম ক্ষেত্রপাল বলেন, “প্য়ানডেমিক এখনও রয়েছে। নতুন ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ মেলা এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায়, করোনা নিয়ে বিপদ এখনও কাটেনি, তা বলাই চলে।”
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় করোনা সংক্রমণ নিয়ে তিনি বলেন, “সুরক্ষা-সচেতনতা নিয়ে অবহেলা করলে চলবে না। আমাদের কড়া নজরদারি, জনস্বাস্থ্য ও সামাজিক দূরত্বের মতো করোনাবিধিগুলি অনুসরণ করতেই হবে। একইসঙ্গে টিকাকরণের হারও দ্রুত বাড়াতে হবে।”
এদিকে রবিবারই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েচে, করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন ডেল্টার থেকে অনেক বেশি সংক্রামক এবং টিকার কার্যকারিতা অনেকটা কমিয়ে দেয়। তবে প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত যা জানা গিয়েছে, তাতে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের কারণে খুব একটা মারাত্মক উপসর্গ দেখা যায়নি।
উল্লেখ্য, এর আগে ভারতে সন্ধান পাওয়া করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কারণে বিশ্বের সবথেকে বেশি সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ধান পাওয়া ওমিক্রনে যে পরিমাণে পরিবর্তন দেখা দিয়েছে, তাতে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে বিশ্ব জুড়ে। আফ্রিকার দক্ষিণ ভাগের দেশগুলির সঙ্গে একাধিক দেশ ইতিমধ্যেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। ওমিক্রনে লাগাম টানতে অন্তর্দেশীয় যাতায়াতের উপরেও নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।