Corona Death in US: অতিমারির দু’বছর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করোনাতে মৃত ৮ লক্ষ
Corona in US: জানা গিয়েছে, এই মারত্মক ভাইরাসের সংক্রমণে সব থেকে বেশি প্রভাবিত হয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বৃদ্ধরা। করোনা সংক্রমণে সেদেশে যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাদের ৭৫ শতাংশের বয়সই ৬৫ বছর বা তার উর্দ্ধে।
ওয়াশিংটন: করোনা অতিমারির আগমনের প্রায় দু’বছর হয়ে এসেছে। কিন্তু এখনও স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে আসতে পারেনি বিশ্ব। তারমাঝেই চোখ রাঙাচ্ছে করোনার মারত্মক ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট। এই দুবছরে আমেরিকায় করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রায় ৮ লক্ষ মানুষ মারা গিয়েছেন বলেই জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, এই মারত্মক ভাইরাসের সংক্রমণে সব থেকে বেশি প্রভাবিত হয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বৃদ্ধরা। করোনা সংক্রমণে সেদেশে যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাদের ৭৫ শতাংশের বয়সই ৬৫ বছর বা তার উর্দ্ধে। পরিসংখ্যান বলছে, এই বয়সসীমার প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ১ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন, ৬৫ বছর বয়সের নিচে সংখ্যাটা প্রতি ১ হাজার ৪০০ জনের মধ্যে ১ জন।
বৃদ্ধদের করোনা সংক্রমণের সম্ভবনা বেড়ে যাওয়া সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন তারা। রোজকার জীবনেও পড়ছে কোভিড আতঙ্কের প্রভাব। তাদের পরিবার ও বন্ধুরা তাদেরকে সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করার চেষ্টায় কোনও ত্রুটি রাখছেন না। সান ফ্রান্সিসকোর বাসিন্দা প্যাট হায়েশি জানিয়েছেন, “আপনাকে ক্রমেই সকলে ভুলে যাচ্ছে। এই অতিমারি পরিস্থিতিতে গৃহবন্দি হয়ে থাকতে থাকতে একাকিত্ব গ্রাস করছে। আমরা আমাদের স্বাধীনতা হারিয়ে ফেলেছি বলে মনে হচ্ছে।”
সংক্রমণ হ্রাস ও টিকাকরণে পর অনেকেই তাদের আগের সামাজিক জীবনে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। বিভিন্ন সংস্থাগুলিও তাদের কর্মীদের কর্মস্থলে এসে কাজ করতে বলছে। বার্ধক্য বিশেষজ্ঞ ও ‘এল্ডারহুড’ বইয়ের লেখক লুইস অ্যারনসন বলছেন, “প্রবীণদের প্রয়োজনগুলিকে আমরা যথাযথ গুরুত্ব দিচ্ছি না।”
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভ্যাকসিনের কোনও সমস্যা নেই। দেশের সর্বোত্র ভ্যাকসিন পাওয়া যাচ্ছে। প্রবীণ আমেরিকানদের তুলনায় বেশি সংখ্যক করোনা টিকা দেওয়া হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সী মোট জনসংখ্যার ৮৭ শতাংশেরই সম্পূর্ণ টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু বিগত দুই মাসে কোভিড আক্রান্ত হয়ে প্রবীণদের মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রত্যেক দিন গড়ে ১ হাজার ২০০ জন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছেন এবং এদের বেশিরভাগের বয়সই ৬৫ বছর বা তার বেশি।
প্রসঙ্গত, এখনও অবধি আমেরিকায় ৫ কোটি মানুষের করোনা সংক্রমণ হয়েছে। বুচিওন, দক্ষিণ কোরিয়া, করোনভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত ব্যক্তিদের ট্র্যাক করার উপায় হিসেবে ফেসিয়াল রেকগনিশন পদ্ধতি পরীক্ষা করছে। করোনা নিয়ে মানুষের মধ্যে উদ্বেগ ক্রমেই বাড়ছে। নিউ ইয়র্কে, পাবলিক প্লেসর অভ্যন্তরে মাস্ক থাকলে আর টিকাকরণের শংসাপত্রের প্রয়োজন হচ্ছে না।