সু কি-র সদর দফতরে তল্লাশি সেনার, পাল্টা জান্তা হটাতে রাস্তায় জনতা
সু কি-র গড়া ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি দলের ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট করে জানানো হয়েছে তল্লাশির কথা।
নেপিদ: মায়ানমারে (Myanmar) সেনা অভ্যুত্থানের পর নোবেল জয়ী নেত্রী সু কি-কে আটক করে জান্তা বাহিনী। পরবর্তী ১ বছর ক্ষমতা তাদের হাতেই থাকবে বলে জানায় সেনা। কিন্তু সু কি-সহ অন্যান্য গণতন্ত্রপন্থী নেতৃত্বের মুক্তির দাবিতে সরব হয় মায়ানমারের আম জনতা। রাস্তায় নামে বিক্ষোভ, ‘গণতন্ত্রের জয় হোক’ স্লোগানে ‘সামরিক স্বৈরাচারের’ বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে গোটা মায়ানমার। রবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাস ছোড়ার পরও দমেনি আন্দোলন। এর মধ্যেই সু কি-র দলের সদর দফতরে অভিযান চালিয়েছে জান্তা সরকার।
সু কি-র গড়া ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি দলের ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট করে জানানো হয়েছে তল্লাশির কথা। সু কি আটক হওয়ার পর থেকেই উত্তাল মায়ানমার। পাল্টা আন্দোলনকারীদের দমাতে ক্রমশ কঠোর হচ্ছে সেনা। আগেই বন্ধ হয়েছিল সমগ্র মায়ানমারের ইন্টারনেট সংযোগ। যদিও পরে দেশজুড়ে ইন্টারনেট চালু হয়েছে। তবে সারা দেশে জারি হয়েছে কার্ফু। মায়ানমারে ৫ জনের বেশি জমায়েত এখন আইন বিরুদ্ধ। তবু সেনার লাল চক্ষু মানতে নারাজ আম জনতা।
বুকে সু কি-র ছবি নিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে রাজধানী-সহ ইয়াঙ্গনের মিছিলে মানুষের ঢল। গান, গিটারের প্রতিবাদে জেগে উঠেছে গোটা মায়ানমার। মিছিলে যোগ দিচ্ছেন পুলিশকর্মীরাও। সেনা অভ্যুত্থানকে গণ অভ্যুত্থান দিয়ে রুখতে মরিয়া মায়ানমার। এর মধ্যেই অভ্যুত্থানের পর প্রথম প্রকাশ্যে এসে জাতির উদ্দেশে বার্তা দিলেন সে দেশের সেনা প্রধান মিন। মায়ানমারে গত নির্বাচনে বিপুল ভোটে জিতেছিল সু কি-র দল এনএলডি। অধিবেশন শুরুর প্রথম দিনই সু কি-কে আটক করে তাঁর বিরুদ্ধে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনেছিল সেনা। এ দিন মিনের বক্তব্যেও সেই একই অভিযোগ। তবে মিনের মতে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই আটক করা হয়েছে সু কি-কে।
Myanmar police from Kayah state joined protest against current military coup, showing three finger of defiance against military government and demanding democracy on Wednesday.#WhatsHappeningInMyanmar #Loikaw pic.twitter.com/aWtL8sDrGq
— Wa Lone (@walone4) February 10, 2021
আরও পড়ুন: হাসপাতালে মার্কিন বন্দুকবাজের হামলা, মৃত ১, আহত ৪
সেনার হাতে আটক হওয়ার পর,সু কি-র মুক্তির দাবিতে সরব হয়েছে গোটা বিশ্ব। খোদ পোপ ফ্রান্সিস সু কি-র মুক্তির দাবি করেছেন। সেনা অভ্যুত্থানের তীব্র নিন্দা করে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র নেড প্রাইস মায়ানমারবাসীর মানবাধিকারের স্বাধীনতার সওয়াল করেছিলেন। সু কি-র অফিসে অভিযানের পর নিন্দায় সরব রাষ্ট্রসঙ্ঘও। রাষ্ট্রসঙ্ঘের মায়ানমারের প্রতিনিধি ওলা আমগ্রেন জানিয়েছেন, রাষ্ট্র শক্তির এই ব্যবহার গ্রহণযোগ্য নয়।