ক্ষমতাচ্যুত ওলি, আস্থাভোটে বিরাট ব্যবধানে হার নেপালের প্রধানমন্ত্রীর

আস্থাভোটে মোট ২৩২ জন সাংসদ অংশ নেন। এদের মধ্যে ১২৪ জন ওলির বিরুদ্ধে ভোট দেন। ৯৩ জন তাঁর পক্ষে ছিলেন।

ক্ষমতাচ্যুত ওলি, আস্থাভোটে বিরাট ব্যবধানে হার নেপালের প্রধানমন্ত্রীর
ফাইল ছবি (পিটিআই)
Follow Us:
| Updated on: May 10, 2021 | 7:03 PM

কাঠমান্ডু: বিগত দুবছর ধরে চলা নেপালে রাজনৈতিক টানাপড়েনে ইতি পড়ল সোমবার। এ দিন নেপালের সংসদে আস্থাভোটের সম্মুখীন হয়ে বড় ব্যবধানে পর্যুদস্ত হন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। এ বার তাঁকে প্রধানমন্ত্রীর কুর্সি থেকে ইস্তফা দিতে হবে। দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে তাঁর দলের নেতারাই পদত্যাগ দাবি করে এসেছেন ওলির। শেষ পর্যন্ত এ দিন আস্থাভোটে পরাস্ত হলেন তিনি।

সোমবার নেপালের সংসদে আস্থাভোটে মোট ২৩২ জন সাংসদ অংশ নেন। এদের মধ্যে ১২৪ জন ওলির বিরুদ্ধে ভোট দেন। ৯৩ জন তাঁর পক্ষে ছিলেন। এর মধ্যে এমন ১৫ জন সাংসদ ছিলেন যারা কারোর পক্ষে ভোটে দেননি। ক্ষমতায় টিকে থাকতে কমপক্ষে ১৩৬ জন সাংসদের সমর্থন প্রয়োজন ছিল ওলির। কিন্তু, পর্যাপ্ত সংখ্যায় পৌঁছনর অনেক আগেই থমকে যেতে হয় তাঁকে। নেপালের সংসদে মোট সাংসদের সংখ্যা ২৭১।

নেপালের সংবিধান অনুযায়ী, আজ থেকে ওলিকে ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা পালন করতে হবে। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে রাষ্ট্রপতি বিরোধীদের ডেকে সংখ্যারগরিষ্ঠতা প্রমাণের আহ্বান জানাবেন। বিরোধীরা যদি সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে ব্যর্থ হয় সেক্ষেত্রে ফের সাধারণ নির্বাচনের আয়োজন হবে নেপালে।

আরও পড়ুন: করোনাকে হাতিয়ার করে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ লড়তে চায় চিন! নথিতে বিস্ফোরক তথ্য

আপাতভাবে নেপালের এই রাজনৈতিক ঘটনার সঙ্গে ভারতের কোনও সম্পর্ক নেই। তবে ভারতের বিদেশমন্ত্রক পুরো বিষয়টির উপর তীক্ষ্ণ নজর রেখেছিল। কারণ ওলি চিন ঘনিষ্ঠ নেতা হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক ভারত বিরোধী মন্তব্য এবং পদক্ষেপের কারণে শিরোনামে উঠে এসেছিলেন তিনি। মূলত ভারত বিরোধী অবস্থান আঁকড়ে এর আগেও নিজের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করেছেন ওলি। কিন্তু, এ বার আর সেটা পারলেন না।

আরও পড়ুন: করোনা ঠেকাতে এভারেস্টের চূড়ায় বাঁধ দিচ্ছে চিন