করোনাকে হাতিয়ার করে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ লড়তে চায় চিন! নথিতে বিস্ফোরক তথ্য

ব্রিটেনের 'দ্য সান' ও অস্ট্রেলিয়ার 'দ্য অস্ট্রেলিয়ান' সংবাদ মাধ্যমের দাবি, করোনাভাইরাসকে হাতিয়ার করে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরিকল্পনা করছিল চিন।

করোনাকে হাতিয়ার করে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ লড়তে চায় চিন! নথিতে বিস্ফোরক তথ্য
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Updated on: May 10, 2021 | 4:48 PM

ওয়াশিংটন: ১৯৪৫ সালের ৬ অগস্ট সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে হিরোশিমার ওপর দিয়ে উড়ে গিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের বোমারু বিমান ইনোলো গে। সেই বিমান থেকেই হিরোশিমায় পড়েছিল পরমাণু বোমা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সেই ধ্বংসলীলায় তছনছ হয়ে গিয়েছিল ৬০ শতাংশ হিরোশিমা। এরপর ৯ অগস্ট পরমাণু বোমা পড়েছিল নাগাসাকিতে। বিশ্লেষকদের মতে, এ পর্যন্ত সবচেয়ে বিধ্বংসী যুদ্ধ সেটাই। সাম্প্রতিক কালে অনেক সাইবার বিশেষজ্ঞ বলেন, ভবিষ্যতে যদি বিশ্বযুদ্ধ হয়, তাহলে তা হবে কম্পিউটার স্ক্রিনের মাধ্যমে। কিন্তু তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আলাদাই ফন্দি এঁটেছিল চিন। করোনাভাইরাসকে (COVID 19) ‘জৈব অস্ত্র’ হিসেবে ব্যবহার করতে চেয়েছিল বেজিং, ২০১৫ সালের নথি দেখিয়ে এমনটাই দাবি অস্ট্রেলিয়ার সংবাদ মাধ্যমের। আর সেই নথি নিয়ে চিনকে ফের একবার কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে শুরু করেছে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট।

ব্রিটেনের ‘দ্য সান’ ও অস্ট্রেলিয়ার ‘দ্য অস্ট্রেলিয়ান’ সংবাদ মাধ্যমের দাবি, করোনাভাইরাসকে হাতিয়ার করে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরিকল্পনা করছিল চিন। চিনের লাল ফৌজ ২০১৫ সাল থেকেই তাই করোনাকে জৈব অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে। চিনা বিজ্ঞানীরা সার্স করোনাভাইরাসকে ‘নতুন যুগের জেনেটিক অস্ত্র’ হিসেবে দেখছেন বলেও দাবি সেই নথির ভিত্তিতে।

কীভাবে করোনাকে কাজে লাগাতে চাইছিল চিন?

নথির কথা উল্লেখ করে সংবাদ মাধ্যমগুলির দাবি, চিনের উদ্দেশ্য ছিল শত্রু দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকে একেবারে ভেঙে দেওয়া। তার জন্যই জৈব অস্ত্র হিসেবে করোনাকে ব্যবহার করতে চাইছিল বেজিং। সেই নথিতে এ-ও উল্লেখ রয়েছে কীভাবে উহানে করোনা ছড়াল সেই সংক্রান্ত একটি বই ‘হোয়াট রিয়্যালি হেপেনড ইন উহান’ তা সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসবে।

উল্লেখ্য, করোনা ছড়ানোর শুরু থেকেই সংক্রমণের দায় চিনের ওপর চাপিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বারবার করোনা ছড়ানোর জন্য কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন বেজিংকে। এমনকি হোয়াইট হাউসের সদস্যরা একাধিকবার করোনাকে ‘উহান ভাইরাস’ বলেও কটাক্ষ করেছেন। তবে চিন ইচ্ছাকৃতভাবে করোনা ছড়িয়েছে এ কথা মানতে নারাজ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তারা বারবারই তদন্তের মাধ্যমে সমাধানের কথা বলেছে। সেই মর্মে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি দলও চিনে গিয়ে উৎস সন্ধানের কাজ করেছে। যেখানে উঠে এসেছে বাদুড় থেকে মানবদেহে করোনা আসার তত্ত্ব।

আরও পড়ুন: করোনা ঠেকাতে এভারেস্টের চূড়ায় বাঁধ দিচ্ছে চিন