New Zealand: গরু ঢেকুড় তুললে দিতে হবে কর, রাস্তায় ট্র্যাক্টর নিয়ে প্রতিবাদ ক্ষুব্ধ কৃষকদের

New Zealand tax on cows burps: গরু ঢেকুর তুললেও দিতে হবে কর! সরকারের এই প্রস্তাব আসার পরই নিউজিল্যান্ড জুড়ে ট্রাক্টর নিয়ে রাস্তায় নামলেন কৃষকরা।

New Zealand: গরু ঢেকুড় তুললে দিতে হবে কর, রাস্তায় ট্র্যাক্টর নিয়ে প্রতিবাদ ক্ষুব্ধ কৃষকদের
নয়া কৃষি কর প্রস্তাবের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামলেন নিউজিল্যান্ডের কৃষকরা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 21, 2022 | 9:54 AM

ওয়েলিংটন: গরু ঢেকুর তুললেও দিতে হবে কর! সরকারের এই প্রস্তাব আসার পরই নিউজিল্যান্ড জুড়ে ট্রাক্টর নিয়ে রাস্তায় নামলেন কৃষকরা। গত সপ্তাহেই গরুর ঢেকুর এবং অন্যান্য গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের উপর কর আরোপের পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে নিউজিল্যান্ড সরকার। কারণ গরু ঢেকুর তোলার সময় মিথেন গ্যাস নির্গত হয়, যা দূষণ ছড়ায়। আর এরপরই শুরু হয়েছে দেশজুড়ে প্রতিবাদ। ‘গ্রাউন্ডসওয়েল নিউজিল্যান্ড’ লবি গ্রুপের সহায়তায়, সারা দেশের বিভিন্ন শহরের প্রায় ৫০টিরও বেশি জায়গায় বিক্ষোভ সংগঠিত হয়েছে।

গত সপ্তাহে, নিউজিল্যান্ড সরকার জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার সংক্রান্ত পরিকল্পনার অংশ হিসাবে নতুন কৃষি করের প্রস্তাব দিয়েছে। গোটা বিশ্বে এই বিষয়ে তারাই প্রথম বলে জানিয়েছিল সরকার। আরও বলা হয়েছিল, জলবায়ু-বান্ধব কৃষি পণ্যগুলির দাম বাড়িয়ে এই বাড়তি খরচ তুলে নিতে পারবেন কৃষকরা। কিন্তু, জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলায়, কার্বন নির্গমন কমাতে যখন অন্যান্য দেশ বৈদ্যুতিন যানবাহন ব্যবহারের মতো পদক্ষেপ করছে, তখন নিউজিল্যান্ড সরকার গরুর ঢেকুর তোলার পিছনে পড়ল কেন? আসলে নিউজিল্যান্ডের মানুষের প্রধান কাজই হল কৃষিকাজ। ৫০ লক্ষ মানুষের দেশে গরু রয়েছে প্রায় ১ কোটি, আর ভেড়া ২কোটি ৬০ লক্ষ। কাজেই সেই দেশের মোট গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের প্রায় অর্ধেকই আসে কৃষিক্ষেত্র থেকে। গবাদি পশুর ঢেকুর থেকে নির্গত মিথেন গ্যাস এতে বড় অবদান রাখে।

কৃষকরা অবশ্য দাবি করছেন, প্রস্তাবিত কৃষি কর প্রকৃতপক্ষে বিশ্বব্যাপী গ্রীনহাউস গ্যাস নির্গমনকে বাড়িয়ে তুলবে। তাঁদের মতে নিউজিল্যান্ডে এই কর আরোপের কারণে, খাদ্য তৈরিতে কম দক্ষ দেশে কৃষিকাজ স্থানান্তরিত হবে। তাই প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন তাঁরা। যদিও প্রতিবাদ জমায়েতে যতটা ভিড় হবে বলে আশা করা হয়েছিল, তত লোক হচ্ছে না। সংগঠকরা জানিয়েছেন, সেই দেশে এখন বসন্ত চলছে। এই সময় বেশিরভাগ কৃষক তাদের খামারে কৃষিকাজে ব্যস্ত থাকেন। তাই প্রতিবাদে সামিল হতে পারছেন না সকলে। কিন্তু, কৃষকরাই পরিবেশ রক্ষাকারী। কারণ পরিবেশ তাঁদের জীবন, তাঁদের পরিবারের বেঁচে থাকার সম্বল। অর্থ উপার্জনের জন্য কৃষকরা কখনই পরিবেশ ধ্বংস করে না। কৃষকদের দিকেই সরকার আঙুল তোলায় সবথেকে বিরক্ত তারা। তাদের দাবি, কৃষকরা যত বৃক্ষ রোপন করেন, তা সরকার বিবেচনা করেনি।

নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডের্ন ২০৫০ সালের মধ্যে তাঁদের দেশকে কার্বনমুক্ত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। এই পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে ২০৩০ সালের মধ্যে খামারের পশুদের থেকে মিথেন নির্গমন ১০ শতাংশ এবং ২০৫০ সালের মধ্যে ৪৭ শতাংশ কমানোর লক্ষ্য। কিন্তু, নয়াকর প্রস্তাব নিয়ে যেভাবে দেশজুড়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কৃষকরা, তাতে এই লক্ষ্যমাত্রা কতটা অর্জন করা যাবে, তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।