ভাঙচুর চালানো হল মন্দিরে, ভাঙা হল মূর্তি, ঘটনাস্থলে পাক রেঞ্জার্স
পাকিস্তানের সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরে এই ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ।
ইসলামাবাদ: পাকিস্তানে মন্দির ভাঙা কোনও নতুন ঘটনা নয়। আরও একবার সেই একই ঘটনা। মন্দিরের ওপর চড়াও হল বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী। ভাঙচুর চালানো হল সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরে। মূর্তিও ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রহিম ইয়ার খান জেলায় ভঙ শহরে এই ঘটনা ঘটেছে। জানা গিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ার একটি পোস্ট থেকেই উস্কানি ছড়ায়। এরপরই লোহার রড, লাঠি, পাথর হাতে ওই মন্দিরে যায় দুষ্কৃতীরা। এলাকার হিন্দু পরিবারগুলিকে সুরক্ষা দিতে পাক রেঞ্জার্স মোতায়েন করা হয়।
এই ঘটনার কড়া নিন্দা করেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘ভঙ-এর মন্দিরে হামলার ঘটনার প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমি পঞ্জাবের আইজি-র সঙ্গে কথা বলেছি, যাতে দোষীদের কড়া শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়। সরকার ওই মন্দির নতুন করে গড়ে দেবে।’
Strongly condemn attack on Ganesh Mandir in Bhung, RYK yesterday. I have already asked IG Punjab to ensure arrest of all culprits & take action against any police negligence. The govt will also restore the Mandir.
— Imran Khan (@ImranKhanPTI) August 5, 2021
মন্দির ভাঙচুরের ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। এই হামলার ঘটনায় কাদের হাত রয়েছে তা জানতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। এ দিনের ঘটনার কথা জানিয়ে টুইট করেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিশেষ সহায়ক ড. শাহবাজ গিল। তিনি ভিডিয়োটি টুইটারে পোস্ট করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘অত্যন্ত দুঃখজনক ও দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে এই ঘটনা সম্পর্কে জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করার। পাক সংবিধান সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় স্বাধীনতা দিতে বদ্ধপরিকর।’
এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। গত এপ্রিলে ‘সেন্টার ফর ডেমোক্র্যাসি, প্লুরালিজম অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস’-এর এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, পাক সংবিধানে যতই নাগরিকদের সমানাধিকার দেওয়ার কথা হোক, তা শেষ পর্যন্ত খাতায় কলমেই রয়ে গিয়েছে। এক পুলিকর্মী জানান, ‘লাঠি, পাথর, ইঁট নিয়ে হামলা চালানো হয়। ধর্মীয় স্লোগান দিতে দিতে তারা ভগবানের মূর্তিগুলিকে গুঁড়িয়ে দেয়। আরও পড়ুন: ‘দিয়ে দেব! কথাটির কোনও যুক্তি নেই, কেন এখনও টাকা দেননি?’ অসন্তুষ্ট হয়ে রাজ্যকে প্রশ্ন বিচারপতির