‘তালিবান আর হাক্কানিদের দিনের পর দিন আশ্রয় দিয়েছে পাকিস্তান’, ওয়াশিংটনের কড়া নজরে ইসলামাবাদ

Anthony Blinken: আফগানিস্তানের পাকিস্তানের (Pakistan) ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ আমেরিকার। তালিবদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে।

'তালিবান আর হাক্কানিদের দিনের পর দিন আশ্রয় দিয়েছে পাকিস্তান', ওয়াশিংটনের কড়া নজরে ইসলামাবাদ
পাকিস্তানের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন অ্যান্টনি ব্লিনকেন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 14, 2021 | 10:22 AM

ওয়াশিংটন: দিনের পর দিন তালিবানের (Taliban) সদস্যদের আশ্রয় দিয়েছে পাকিস্তান। শুধু তালিবদেরই নয়, হাক্কানি নেটওয়ার্কের (Haqqani Network) জঙ্গিদেরও আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। এবার এমনই অভিযোগ শোনা গেল আমেরিকার গলায়। পাকিস্তানের (Pakistan) এমন কিছু উদ্দেশ্য রয়েছে, যা আমেরিকার নীতির পরিপন্থী, তাই পাকিস্তানের দিকে আমেরিকা কড়া নজর রাখছে বলে জানালেন মার্কিন বিদেশমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। তালিবান কাবুল দখল করার পর প্রথমবার মার্কিন কংগ্রেসের সামনে বক্তব্য দিতে গিয়ে এই অভিযোগ তুলে ধরেন তিনি। শুধু তাই নয়, তিনি আরও জানান, আফগানিস্তানে ভারতের একটা বড় ভূমিকা ছিল। তাই বিরোধিতা করতে অনেক ‘ক্ষতিকারক’ কাজ করেছে পাকিস্তান।

কাবুলে মসনদে তালিবানের প্রবেশ করার পর এক মাস কেটে গিয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই সে দেশে তৈরি হবে নতুন তালিবানি সরকার। আর সেই সরকার গঠনে পাকিস্তানের বিশেষ ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে। এমনকি আফগানদের দূর্গ পঞ্জশীরে কী ভাবে তালিবান মাথা গলাল, সেই প্রশ্নেও পাকিস্তানের বিশেষ ভূমিকা দেখছেন অনেকেই। এই নিয়ে আফগানিস্তানের মাটিতেও প্রতিবাদ জানিয়েছেন সে দেশের মানুষ। আর এবার তালিবানকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ তুলল আমেরিকাও।

দিনের পর দিন তালিবানকে পাকিস্তান সমর্থন জুগিয়ে এসেছে বলে মন্তব্য করলেন ব্লিনকেন। তাঁর দাবি, আফগানিস্তানের ভারতে ভূমিকা কোনোদিনই ভালো চোখে দেখেনি পাকিস্তান। তাই তারা নানা ধরনের ক্ষতিকর কার্যকলাপ চালিয়ে গিয়েছে। শুধু ব্লিনকেনই নয়, আমেরিকার সাংসদ বিল কিটিং এই পরিপ্রেক্ষিতে মনে করিয়ে দেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কথা। আদরাফ ঘানি দেশ ছাড়া হওয়ার পর ইমরান বলেছিলেন, ‘দাসত্বের শৃ্ঙ্খল-মুক্ত হল আফগানিস্তান।’ এ ছাড়া আফগানিস্তানের প্রাক্তন উপ রাষ্ট্রপতি আমরুল্লাহ সালেহও সম্প্রতি দাবি করেছেন, তালিবান চলছে পাক সংস্থা আইএসআই-এর অঙ্গুলিহেলনে।

ব্লিনকেন এ দিন সাফ জানান, পাকিস্তান এখনও আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘একদিকে পাকিস্তান তালিবান আর হাক্কানিদের আশ্রয় দিচ্ছে। অন্যদিকে আবার সেই পাকিস্তানই সন্ত্রাস বিরোধিতায় আমেরিকার সঙ্গে হাতে হাত মেলানোর কথা বলছে। পাকিস্তানের কিছু কার্যকলাপ নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে দ্বন্দ্ব রয়েছে, সেই দ্বন্দ্ব শেষ করতে হবে।

সূত্রের খবর, সম্প্রতি আফগানিস্তানের বেশ কিছু গোপন নথি হাতিয়ে নিয়েছে পাকিস্তান। তিনটি বিমানে আফগানিস্তানের নানান গুরুত্বপূর্ণ নথি ইসলামাবাদে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, পাকিস্তানের আইএসআই বাহিনী নিজেদের কাজেই ব্যবহার করবে ওই গোপন নথি, যা গোটা বিশ্বের নিরাপত্তার ক্ষেত্রেই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে। আফগানিস্তানে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত মনসুর আহমেদের নির্দেশেই এই তথ্য হস্তান্তরের কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে দাবি।

কিছুদিন আগেই তালিবানের আমন্ত্রণেই কাবুল সফরে গিয়েছিলেন আইএসআই-এর ডিজি। আফগানিস্তানের নিরাপত্তা, অর্থনীতি, বাণিজ্য ও পাকিস্তানের সঙ্গে তালিবানি সরকারের সমীকরণ নির্নয় করতেই তিনি কাবুলে গিয়েছিলেন বলে জানা যায়। তিনি কাবুল থেকে ফেরার পরই তালিবান নয়া সরকারের বিভিন্ন পদ ঘোষণা করে। শুধু তাই নয়, তিনি কাবুল সফর সেরে আসার পরই পঞ্জশীরে প্রবেশ করতে সফল হয় তালিবান। তাই পাকিস্তানের ভূমিকা নিয়ে বারবারই উঠছে প্রশ্ন।

আরও পড়ুন: স্মৃতি সৌধে বড় বড় অক্ষরে লেখা TALIBAN! ৯/১১-র ২০ বছর পর এ কোন বার্তা আমেরিকায়?