AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Russia-Ukraine Conflict: ‘ইউক্রেন জিততেই পারে…’ পেন্টাগনের বয়ানে কি লুকিয়ে যুদ্ধ বাড়ার ইঙ্গিত?

Pentagon on Russia-Ukraine Conflict: বুধবার সাংবাদিক বিবৃতিতে পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, "রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধে ইউক্রেন অবশ্যই জিততে পারে।"

Russia-Ukraine Conflict: 'ইউক্রেন জিততেই পারে...' পেন্টাগনের বয়ানে কি লুকিয়ে যুদ্ধ বাড়ার ইঙ্গিত?
চেরোনোবিলের রাস্তায় ইউক্রেনের সেনা। ছবি:PTI
| Edited By: | Updated on: Apr 07, 2022 | 10:04 AM
Share

ওয়াশিংটন: রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের যে যুদ্ধ (Russia-Ukraine War) বেধেছে, তা ইতিমধ্যেই এক মাস পেরিয়েছে। ইউক্রেন ও একাধিক আন্তর্জাতিক মহলের তরফে যুদ্ধ থামানোর আর্জি জানানোর পরই  সম্প্রতি কয়েক দফায় বৈঠকে বসেছিল রাশিয়া ও ইউক্রেন। এরপরই কিয়েভ সহ একাধিক শহর থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছিল রাশিয়া (Russia)। আর সেনা সরতেই নির্মম হত্যালীলার চিত্র ধরা পড়েছে। এই ঘটনা সামনে আসতেই একদিকে যেমন পশ্চিমী শক্তিধর দেশগুলি রাশিয়াকে যুদ্ধাপরাধী সাব্যস্ত করতে ব্যস্ত, সেখানেই পেন্টাগনের (Pentagon) তরফে জানানো হল, এই যুদ্ধে ইউক্রেন জয়ী হতেই পারে।

একদিকে যেখানে মার্কিন আধিকারিকরাই যুদ্ধের ভয়াবহতা ও তার দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব নিয়ে আলোচনা করছেন, সেখানেই পেন্টাগনের এই বিবৃতি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। বুধবার সাংবাদিক বিবৃতিতে পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, “রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধে ইউক্রেন অবশ্যই জিততে পারে। এর প্রমাণ তো প্রতিদিনই আপনারা দেখতে পাচ্ছেন….ইউক্রেন সহজেই জিততে পারবে যুদ্ধে।”

মঙ্গলবারই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, বুচায় যে হত্যালীল চালিয়েছে রুশ বাহিনী, তারপরে তাদের যুদ্ধাপরাধী আখ্যা দেওয়াই উচিত। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতেও এই বিষয়ে আর্জি জানানো হবে বলে তিনি জানান। তবে আমেরিকা বা ন্যাটোর ভূমিকা নিয়ে কোনওভাবেই সন্তুষ্ট নন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জ়েলেনস্কি। মঙ্গলবার তিনি রাষ্ট্রসঙ্ঘের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেছিলেন যে, যদি দ্রুত এই সমস্যার সমাধান না করতে পারেন, তবে যেন রাষ্ট্রসঙ্ঘই তুলে দেওয়া হয়।

অন্যদিকে, আমেরিকার তরফে গতকালই জানানো হয়েছে, তারা ইউক্রেনীয় যোদ্ধাদের অ্যান্টি-ট্য়াঙ্ক ড্রোন ব্যববার শিখিয়েছেন।  সুইচব্লেড নামক এই এককালীন ব্যবহারের ড্রোনটি একপ্রকার অস্ত্র হিসাবেই কাজ করে এবং লক্ষ্য নিশানা করে বিস্ফোরণ ঘটায়।

তবে যুদ্ধে যাতে আমেরিকার নাম না জড়ায়, তার জন্য রাশিয়ার হামলা শুরু করার আগেই ইউক্রেন থেকে মার্কিন সামরিক পরামর্শদাতাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। সেই সময় আমেরিকার তরফে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছিল, যাতে রাশিয়ার বাহিনীর সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে না জড়ায় মার্কিন বাহিনী, সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গতকালও সেই প্রসঙ্গ টেনেই পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি জানান, রাশিয়া ইউক্রেনের উপরে হামলা চালানোর অনেক আগেই ইউক্রেনীয় সেনাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছিল আমেরিকান বাহিনী।