Modi-Putin: ‘এটাই একমাত্র পথ’, ইউক্রেনে নতুন করে হামলার মধ্যেই পুতিনকে ফোন মোদীর

PM Modi calls Russian president Vladimir Putin: শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর), ইউক্রেনে নতুন করে বড় মাপের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে রাশিয়া। একই দিনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

Modi-Putin: 'এটাই একমাত্র পথ', ইউক্রেনে নতুন করে হামলার মধ্যেই পুতিনকে ফোন মোদীর
প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা প্রধানমন্ত্রী মোদীর
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 16, 2022 | 5:23 PM

নয়া দিল্লি: শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর), ইউক্রেনে নতুন করে বড় মাপের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে রাশিয়া। হামলার মুখে কিয়েভ, খারকিভ-সহ একাধিক ইউক্রেনীয় শহর। তারই মধ্যে টেলিফোনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে এদিনের আক্রমণের প্রেক্ষিতে নয়। সূত্রের খবর, গত সেপ্টেম্বর মাসে সমরখন্দে সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে রুশ দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছিল, সেই বৈঠকের ধারাবাহিকতাতেই এদিনের টেলিফোনিক আলোচনা হয়।

তবে, স্বাভাবিকভাবেই মোদী-পুতিনের আলোচনায় চলমান ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গও এসেছে বলে জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। পশ্চিমী দেশগুলির মতো রুশ-বিরোধী অবস্থান না নিলেও, প্রধানমন্ত্রী মোদী বারবারই রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের বিরোধিতা করেছেন। আলোচনার টেবিলেই যাবতীয় দ্বন্দ্বের সমাধানের উপর জোর দিয়েছেন। এদিনও তিনি রুশ প্রেসিডেন্টকে ‘আলোচনা ও কূটনীতিই ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানের একমাত্র পথ’ বলে জানিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, এদিন দুই রাষ্ট্রনেতা ভারত-রাশিয়া দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করেন। এর মধ্যে ছিল জ্বালানি ক্ষেত্রে সহযোগিতা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা ক্ষেত্রে সহযোগিতা এবং ভারত-রাশিয়া সম্পর্কের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এছাড়া, ভারতের জি২০ গোষ্ঠীর সভাপতিত্ব সম্পর্কেও প্রেসিডেন্ট পুতিনকে অবহিত করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এই ক্ষেত্রে ভারতের মূল অগ্রাধিকারগুলি তুলে ধরেন তিনি। দুই রাষ্ট্রনেতাই একে অপরের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখার বিষয়ে সম্মত হয়েছেন।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী মোদী রাশিয়ার উদ্দেশে বলেছিলেন, “আজকের যুগ যুদ্ধের নয়।” তাঁর সেই মন্তব্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমী দেশগুলিতে ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছিল। গত মাসে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জি২০-র শীর্ষ সম্মেলনের ঘোষণাপত্রেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সেই যুদ্ধবিরোধী বার্তার উল্লেখ করা হয়েছিল। তবে, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ভারতের সার্বিক অবস্থানকে স্বীকার না করে, পশ্চিমী দেশগুলি শুধু বাছাই করা কিছু মন্তব্যকে মহিমান্বিত করছে বলে দাবি করেছিল রাশিয়া। পশ্চিমী দেশগুলির বারবার আবেদন করা সত্ত্বেও রাশিয়া থেকে ভারতের ব্যাপক পরিমাণে অপরিশোধিত তেল আমদানি করার বিষয়টি তারা চেপে গিয়েছে বলে জানিয়েছিলেন ভারতে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত ডেনিস আলিপভ।