Imran Khan Arrested: ইমরানের গ্রেফতারিতে জ্বলছে পাকিস্তান! ভোটের মুখে ফায়দা তুলতে পারবে তেহরিক-ই-ইনসাফ?

Imran Khan Arrested: শাহবাজদের সরিয়ে আরও আবার ইসলামাবাদের তখত দখল করতে মরিয়া ইমরানের দল। আর ঠিক এমন সময়েই হঠাৎ করে ইমরানকে গ্রেফতার করে নেওয়া কি পাকিস্তানের মাটিতে বাড়তি অ্যাডভান্টেজ দেবে তেহরিক-ই-ইনসাফকে?

Imran Khan Arrested: ইমরানের গ্রেফতারিতে জ্বলছে পাকিস্তান! ভোটের মুখে ফায়দা তুলতে পারবে তেহরিক-ই-ইনসাফ?
ইমরান খান
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 09, 2023 | 8:50 PM

ইসলামবাদ: সামনেই পাকিস্তানে (Pakistan) ভোট রয়েছে। আর তার আগে মঙ্গলবার হঠাৎ করে প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী তথা তেহরিক-ই-ইনসাফের প্রধান ইমরান খানের (Imran Khan Arrested) গ্রেফতারি। কতটা প্রভাব পড়বে ইসলামাবাদের রাজনীতিতে? নির্বাচনী ময়দানে কি সুবিধা পাবে ইমরানের দল? এমন বেশ কিছু প্রশ্ন ইতিমধ্যেই ঘুরপাক খেতে শুরু করেছে কূটনৈতিক মহলে। পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের বেহাল দশা। অর্থনীতির শিরদাঁড়া ভেঙে গিয়েছে পাকিস্তানে। এমন অবস্থায় শাহবাজের সঙ্গে ইমরানের সংঘাত তুঙ্গে। শাহবাজদের সরিয়ে আরও আবার ইসলামাবাদের তখত দখল করতে মরিয়া ইমরানের দল। আর ঠিক এমন সময়েই হঠাৎ করে ইমরানকে গ্রেফতার করে নেওয়া কি পাকিস্তানের মাটিতে বাড়তি অ্যাডভান্টেজ দেবে তেহরিক-ই-ইনসাফকে?

সেখানকার রাজনৈতিক সমীকরণ বলছে, বিভিন্ন জনমত সমীক্ষায় এগিয়ে রয়েছে ইমরান খানের দল। পাকিস্তানের ২০১৮ সালের ভোটের পর থেকে এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সংস্থা জনমত সমীক্ষা করিয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে বেশিরভাগ সংস্থার জনমত সমীক্ষাতেই এগিয়ে রয়েছে তেহরিক-ই-ইনসাফ। কোথাও ৩৫ শতাংশ, কোথাও ৪৫ শতাংশ তো কোথাও আবার প্রায় ৫০ শতাংশ জনমত দেখাচ্ছে ইমরানের দলের সঙ্গে।

সম্প্রতি গ্যালপ সার্ভে সমীক্ষক সংস্থার তরফে পাকিস্তানের সবথেকে জনপ্রিয় নেতা কে, তা খুঁজতে একটি সমীক্ষা করা হয়েছিল। সেখানেও দেখা গিয়েছে সর্বাধিক মানুষ ইমরান খানকেই পছন্দের রাজনীতিক হিসেবে বেছে নিয়েছেন। ৬১ শতাংশ মানুষ ইমরানের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। সেখানে হঠাৎ করে ইমরান খানকে গ্রেফতার করে নেওয়া হলে কি জনমানসে আরও বিরূপ প্রভাব পড়বে না বর্তমান সরকারের জন্য?

ইমরানের গ্রেফতারির পর ইতিমধ্যে পাকিস্তানজুড়ে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে তেহরিক-ই-ইনসাফ। ইমরানকে গ্রেফতারির পরপরই রাজধানী ইসলামাবাদে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। পেশোয়ার সহ বিভিন্ন জায়গায় হিংসাত্মক প্রতিবাদ দেখা গিয়েছে। করাচিতে তেহরিক-ই-ইনসাফ সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের খণ্ডযুদ্ধও বেঁধে গিয়েছে। পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া, পুলিশের গাড়িতে আগুন জ্বালানোর মতো ঘটনা ঘটছে। প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীর গ্রেফতারির পর উত্তাল হচ্ছে পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রান্ত। জ্বলছে আগুন। এসবের থেকে কি আসন্ন নির্বাচনে ফায়দা তুলতে পারবে তেহরিক-ই-ইনসাফ? কারণ, বেশিরভাগ জনমত সমীক্ষা বলছে, সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হলে পাল্লা ভারী থাকতে পারে ইমরানের দলের দিকেই।

যদিও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ ইমন কল্যাণ লাহিড়ী বলছেন, ‘ওখানে ভোট তো সেভাবে হবে না। ভোটের আগে ক্ষমতা প্রদর্শন হচ্ছে, যা কখনোই বাঞ্ছনীয় নয়। এটি আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় খুব একটা সুখকর ঘটনা নয়।’ বর্তমানে পাকিস্তানে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে ভোট আসলে প্রহসনে পরিণত হবে বলেও মনে করছেন তিনি।