Sri Lanka Crisis: মহিন্দা রাজাপক্ষের ইস্তফা ঘিরে জোর জল্পনা! দাবি খারিজ প্রধানমন্ত্রীর দফতরের
Srilanka Crisis: অবশেষে কি তাহলে চাপের মুখে নতি স্বীকার করলেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মহিন্দা রাজাপক্ষ (Srilanka PM Mahinda Rajapaksa)। জল্পনা ছড়িয়েছে, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতব্য রাজাপক্ষের কাছে নাকি তিনি ইতিমধ্যেই নিজের পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। যদিও সেই দাবি অস্বীকার করেছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর।
কলম্বো : অবশেষে কি তাহলে চাপের মুখে নতি স্বীকার করলেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মহিন্দা রাজাপক্ষ (Srilanka PM Mahinda Rajapaksa)। জল্পনা ছড়িয়েছে, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতব্য রাজাপক্ষের কাছে নাকি তিনি ইতিমধ্যেই নিজের পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। সূত্র মারফত এমনটাই জানা গিয়েছে রবিবার বিকেলে। শ্রীলঙ্কায় অর্থনৈতিক সঙ্কটের কারণে বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই এক অস্থির পরিস্থিতি চলছিল। এরই মধ্যে রবিবার বিকেলে সূত্র মারফত জানা যায়, সে দেশে প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষ তাঁর পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন প্রেসিডেন্টের কাছে। শ্রীলঙ্কায় যে অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তা সামাল দিতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল। পাশাপাশি ৩৬ ঘণ্টার কারফিউ জারি করা হয়েছিল ভারতের প্রতিবেশী এই দ্বীপ রাষ্ট্রে। তবে কি এত কিছুর পরেও গদি সামলাতে পারলেন না মহিন্দা রাজাপক্ষ? প্রবল চাপের মুখে পড়ে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হলেন তিনি? যদিও রাজাপক্ষের এই ইস্তফার দাবি অস্বীকার করেছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর।
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতব্য রাজাপক্ষ শুক্রবার গভীর রাতে একটি বিশেষ গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিলেন। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, ১ এপ্রিল থেকে শ্রীলঙ্কায় অবিলম্বে জরুরী অবস্থা কার্যকর হওয়ার কথা। গেজেটে প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, “আমি মনে করি জন নিরাপত্তার স্বার্থে এবং শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য এবং প্রয়োজনীয় পরিষেবার রক্ষণাবেক্ষণের জন্য শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা জারি করা দরকার।” এরপর শনিবার থেকে শ্রীলঙ্কা সরকার ৩৬ ঘণ্টার কারফিউ জারি করে। সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ভারতের দক্ষিণের এই দ্বীপ রাষ্ট্রে কারফিউ বলবৎ থাকবে।
এর আগে রবিবার, শ্রীলঙ্কার প্রধান বিরোধী দল সামাগি জনা বালাওয়েগয়া (এসজেবি)-এর জনপ্রতিনিধিরা সেই দেশের অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে প্রেসিডেন্টের এই জরুরি অবস্থা জারির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন। বিরোধী দলেন নেতারা শহরের প্রাণকেন্দ্রে মিছিল করেন, স্লোগান দিতে থাকেন। তাঁদের হাতে ছিল প্ল্যাকার্ড, যাতে লেখা ছিল, “এই চাপিয়ে দেওয়া বন্ধ হোক”। গোতব্যের বিরুদ্ধেও প্ল্যাকার্ড উঠেছিল। সে দেশের পুলিশের তরফে ফ্রিডম স্কয়ার পর্যন্ত ব্যারিকেড করা হয়েছে। এটি ১৯৪৮ সালে শ্রীলঙ্কার স্বাধীনতার স্মৃতিতে নির্মিত হয়েছিল। উল্লেখ্য, শ্রীলঙ্কা পুলিশ রবিবার সেখানকার পশ্চিম প্রদেশে কারফিউ লঙ্ঘন করার জন্য ৬৬৪ জনকে গ্রেফতার করেছে বলে সে দেশের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।