World Record: জলের তলায় টানা ৭৪ দিন! নয়া রেকর্ড গড়লেন ডঃ ডিপ সি
Underwater Lodge: জলের নীচে চাপ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য যে প্রযুক্তি সাবমেরিনে থাকে, এই বাড়ির মধ্যে সেই ব্যবস্থা নেই। আর সেই বাড়িতেই ৭৪ দিন কাটিয়ে ফেললেন ফ্লোরিডার এক অধ্যাপক। জলের চাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য কোনওরকম ব্যবস্থাপনা ছাড়া, জলের নীচে সবচেয়ে বেশি সময় কাটানোর রেকর্ডও বানিয়ে ফেলেছেন তিনি।
ফ্লোরিডা: আজকাল একটি বাড়ির মধ্যে যা যা থাকে, সেই সবই রয়েছে এখানে। ফারাক শুধু এটাই যে, এই বাড়িটি জলের তলায়। প্রায় ৩০ ফুট গভীরে। ঠিক একটা সাবমেরিনের মতো। তবে জলের নীচে চাপ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য যে প্রযুক্তি সাবমেরিনে থাকে, এই বাড়ির মধ্যে সেই ব্যবস্থা নেই। আর সেই বাড়িতেই ৭৪ দিন কাটিয়ে ফেললেন ফ্লোরিডার এক অধ্যাপক। জলের চাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য কোনওরকম ব্যবস্থাপনা ছাড়া, জলের নীচে সবচেয়ে বেশি সময় কাটানোর রেকর্ডও বানিয়ে ফেলেছেন তিনি। কাজটা মোটেই সহজ নয়। যাদের স্কুবা ডাইভিং বা ডিপ সি ডাইভিং করার অভিজ্ঞতা রয়েছে, জলের তলায় কী পরিমাণে চাপ থাকে তা ভালমতোই জানেন তাঁরা। আর এমন এক চরম পরিস্থিতির মধ্যেই ৭৪ দিন কাটিয়ে ফেলেছেন অধ্যাপক জোসেফ ডিটুরি।
তবে অধ্যাপক বলছেন, তাঁর এখনও অনেকটা পথ চলা বাকি রয়েছে। অন্তত ১০০ দিন এভাবে জলের তলায় কাটাতে চান তিনি। এমন চরম পরিস্থিতির মধ্যে দীর্ঘক্ষণ কাটানোর পর মানুষের শরীরে কীরকম প্রভাব পড়ে, সেই বিষয়টি নিয়েই গবেষণা করছেন তিনি। সাউথ ফ্লোরিডা ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ডিটুরি অতীতে মার্কিন নৌসেনার অফিসার ছিলেন। বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডক্টরেটও রয়েছে তাঁর। ফ্লোরিডার কি লারগো হ্রদের মাঝখানে ৩০ ফুট নীচে আধুনিক লজের ধাঁচে একটি বাড়ি বানিয়ে ফেলেছেন তিনি। গত ৭৪ দিন ধরে সেখানেই থাকছেন অধ্যাপক। এমন কীর্তির জন্য ফ্লোরিডায় অনেকেই তাঁকে ডাকেন ডঃ ডিপ সি বলে।
জলের তলার এই ঘরে বসেই গবেষণার সব কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। পড়ুয়াদের অনলাইনে ক্লাসও নিচ্ছেন। গত ৭৪ দিনে অন্তত আড়াই হাজার পড়ুয়ার অনলাইনে ক্লাস নিয়েছেন তিনি। সমুদ্রের তলার জীববৈচিত্র ও বিজ্ঞান নিয়ে পাঠ দিয়েছেন তাঁদের। মাঝেমধ্যে বেশ কিছু ইন্টারভিউও দিয়েছেন। তাঁর জলের তলার ওই বাসায় একটি ডিজিটাল স্টুডিয়োও রয়েছে। সেখান থেকেই যাবতীয় কর্মকাণ্ড চালান অধ্যাপক। শুধু আফসোশ তাঁর একটাই। এতদিন ধরে সূর্যের আলো দেখতে পাচ্ছেন না তিনি।