Queen Elizabeth II’s Funeral: রানির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় আমন্ত্রিত রাষ্ট্রনেতাদের জন্য কড়া নিয়মের ‘বেড়াজাল’, কী কী মানতে হবে?

Queen Elizabeth II's Funeral: নিরাপত্তার স্বার্থে রাষ্ট্রনেতারা সাধারণত ব্যক্তিগত বিমান, ব্যক্তিগত গাড়ি বা কপ্টার ব্যবহার করেন। কিন্তু, রানি দ্বিতীয় এলিজ়াবেথের অন্তেষ্টিক্রিয়ায় সেসব কিছুই পাবেন না তাঁরা।

Queen Elizabeth II's Funeral: রানির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় আমন্ত্রিত রাষ্ট্রনেতাদের জন্য কড়া নিয়মের 'বেড়াজাল', কী কী মানতে হবে?
অন্তত ১০ লক্ষ সাধারণ মানুষ রানিকে শেষ শ্রদ্ধা জানাবেন বলে আশা করা হচ্ছে
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 12, 2022 | 7:42 PM

লন্ডন: ছয় দশক পর ফের ব্রিটেন সাক্ষী থাকবে রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার। শেষবার ১৯৬৫ সালে প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলের মৃত্যুর পর শেষবার রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আয়োজন করা হয়েছিল। তারপর আবার ১৯ সেপ্টেম্বর রানিকে শেষ বিদায় জানাতে এক বিরাট আয়োজন করা হচ্ছে। প্রয়াত ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের এই রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে ব্রিটেনে উড়ে আসছেন অন্তত ৫০০ জন বিদেশী বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। তাঁদের মধ্যে থাকছেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনেতা এবং তাঁদের স্ত্রী/স্বামীরা। সংবাদমাধ্যম এএফপিকে এমনটাই জানিয়েছে ব্রিটেনের বিদেশ কমনওয়েলথ এবং উন্নয়ন কার্যালয়ের এক সূত্র। তবে, রানির অন্তেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে এসে রাজকীয় অভ্যর্থনা পাবেন না তাঁরা। বাণিজ্যিক বিমান এবং বাসে করে যাতায়াত করতে হবে তাঁদের।

বিদেশ কমনওয়েলথ এবং উন্নয়ন কার্যালয়ের ওই সূত্র আরও জানিয়েছে, বিদেশি অতিথিদের থাকা-খাওয়া-যাতায়াত যতটা সম্ভব মসৃণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এর জন্য বিশদ পরিকল্পনা করা হয়েছে। আমন্ত্রিত বিদেশি অতিথিদের ব্রিটেনে আসার জন্য ব্যক্তিগত বিমান ব্যবহার না করতে বলা হয়েছে। তাঁদের, ব্রিটেনে উড়ে আসতে হবে বাণিজ্যিক বিমানে। ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতেই হবে রানির অন্তেষ্টিক্রিয়া। বিমানবন্দর থেকে সেখানে পৌঁছানোর জন্য ব্যবহার করা যাবে না ব্যক্তিগত গাড়ি কিংবা হেলিকপ্টার। সব রাষ্ট্রনেতাদেরই ভ্রমণ করতে হবে বাসে। পশ্চিম লন্ডনের এক স্থান থেকে তাদের নিরাপত্তা দিয়ে প্রাইভেট বাসে করে নিয়ে যাওয়া হবে ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে। বিদেশী দূতাবাসগুলিতে এই বিষয়ে একটি সরকারি প্রোটোকল বার্তা পাঠানো হয়েছে। “আঁটসাঁট নিরাপত্তা এবং রাস্তার বিধিনিষেধ”এর কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তবে, ব্রিটিশ সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। রাষ্ট্রনেতাদের বাসে ভ্রমণ করা কীভাবে সম্ভব, সেই প্রশ্ন তুলেছেন লন্ডনে মোতায়েন একাধিক দেশের রাষ্ট্রদূত। জো বাইডেনরা বাসে ভ্রমণ করছেন, এটা কল্পনাতীত বলে দাবি করছেন তাঁরা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট অন্য দেশে যান বিশেষ বিমান ‘এয়ার ফোর্স ওয়ান’-এ। দেশে বা বিদেশের মাটিতে স্বল্প দূরত্বের পথ পাড়ি দিতে তিনি ব্যবহার করেন সাধারণত ‘মেরিন ওয়ান হেলিকপ্টার’ এবং কিংবা বিশেষভাবে সজ্জিত লিমুজিন, ‘দ্য বিস্ট’। শেষ পর্যন্ত তিনিও এই শর্ত মেনেই রানির অন্তেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দেবেন কি না, সেই বিষয়ে লন্ডনের মার্কিন দূতাবাস এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেনি।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘পলিটিকো’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিভিন্ন রাষ্ট্রনেতা, রাজপরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি, অন্তত ১০ লক্ষ সাধারণ মানুষ রানিতে শেষ শ্রদ্ধা জানাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এর জন্য ব্রিটিশ সংসদে চারদিন ধরে শায়িত থাকবে রানির কফিন। বিশাল জনসমাগম সামলাতে গোটা দেশ থেকে হাজার হাজার পুলিশ কর্তাকে লন্ডনে মোতায়েন করা হচ্ছে। রানির অন্তেষ্টিক্রিয়ার আগে বাকিংহাম প্যালেসে রাষ্ট্রনেতাদের সংবর্ধনা জানাবেন রাজা তৃতীয় চার্লস। ল্যাঙ্কাস্টার হাউসে এক শোকপ্রকাশের বই রাখা থাকবে। সেখানে রাষ্ট্রনেতারা তাঁকদের শোকবার্তা লিখবেন। প্রয়াত রানিকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য তাঁদের প্রত্যেককে তিন মিনিট করে সময় দেওয়া হবে।