China: রাতারাতি তিন দিক থেকে ঘিরে ধরেছে লালফৌজ, হঠাৎ কী করতে চাইছে চিন?
China: চিনের ২০ লক্ষ সেনা। তাইওয়ানের মোটে ১ লক্ষ ৭০ হাজার। ট্যাঙ্ক, সাবমেরিন, যুদ্ধজাহাজ এবং যুদ্ধবিমানের নিরিখেও দু-দেশের কোনও তুলনা হয় না। তবে সেটাই মনে হয় সব নয়। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চিনের শক্তি অনেক বেশি বুঝেই গত কয়েক বছর ধরে তিলে তিলে নতুন একটা যুদ্ধকৌশল তৈরি করেছে তাইওয়ান।
বেজিং: তাইওয়ানের বাসিন্দাদের ঘুম ভাঙল আতঙ্কে। থার্ড লেয়ার অ্যালার্ম শুনে বিছানা ছাড়তে হল অনেককে। কারণ তিন দিক থেকে তাইওয়ানকে ঘিরে সামরিক মহড়া শুরু করেছে চিন। তাইপেইকে কিছু না জানিয়েই সেই মহড়ায় একযোগে অংশ নিয়েছে পিএলএ-র এয়ারফোর্স ও নেভি। জিনপিং প্রশাসন বলছে, তাইওয়ানের বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপের পাল্টা হিসাবেই ২ দিনের এই সামরিক মহড়া। কোনটা বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপ? গত মঙ্গলবারই তাইওয়ানের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছেন ডেমোক্রেটিভ প্রোগ্রেসিভ পার্টির লাই চিং তে। দায়িত্বভার নিয়েই লাই বলেন, চিনা আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে। তাইওয়ানে গণতন্ত্রের নতুন যুগ শুরু হচ্ছে। তাইওয়ানবাসীরাই দেশের ভবিষ্যত নির্ধারণ করবে। এখানে অন্য কারও ভূমিকা থাকবে না। মানে চিন যেন তাইওয়ান নিয়ে নাক গলাতে না আসে, সেটাই ঘুরিয়ে বলে দেন নতুন প্রেসিডেন্ট। চিনকে আলোচনা শুরুর প্রস্তাবও দেন তিনি। যদিও এতটা সহ্য করতে পারেনি বেজিং। তাই তাইওয়ানকে শাস্তি দিতেই সামরিক মহড়া, এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের। মহড়ার নামই পানিশমেন্ট ড্রিলিং।
এই দিন চিনের মহড়া শুরুর পরপরই সেনা ক্যাম্পে চলে যান তাইওয়ানের নতুন প্রেসিডেন্ট। ক্যাম্প থেকে বেরনোর আগে তাঁর বক্তব্যটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। বলেন, “সেনাদের উত্সাহ দিতে এসেছিলাম। প্রেসিডেন্ট হিসাবে দেশকে সুরক্ষিত রাখা আমার কর্তব্য। দুনিয়া এখন গণতান্ত্রিক তাইওয়ানের উত্থান দেখছে। আমরা স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বের সঙ্গে আপোস করব না।” সোজা কথায়, চিনের সামরিক মহড়ার সামনেও টলছে না তাইওয়ান। কিন্তু, সত্যি যদি চিন তাইওয়ান আক্রমণ করে তাহলে তারা কতক্ষণ ঠেকিয়ে রাখতে পারবে লালফৌজকে?
চিনের ২০ লক্ষ সেনা। তাইওয়ানের মোটে ১ লক্ষ ৭০ হাজার। ট্যাঙ্ক, সাবমেরিন, যুদ্ধজাহাজ এবং যুদ্ধবিমানের নিরিখেও দু-দেশের কোনও তুলনা হয় না। তবে সেটাই মনে হয় সব নয়। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চিনের শক্তি অনেক বেশি বুঝেই গত কয়েক বছর ধরে তিলে তিলে নতুন একটা যুদ্ধকৌশল তৈরি করেছে তাইওয়ান। চিন যদি হামলা চালায় তাহলে পর্কুপাইন কৌশল নেবে তাইওয়ানের সেনা। যেমন শহরে বহুতলগুলিকে ঘাঁটি করে গেরিলা যুদ্ধ। দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যূহ তৈরি। যা ভেদ করা কঠিন ও সময়সাপেক্ষ। তাইওয়ানের উপর চিনা আগ্রাসন হলে আন্তর্জাতিক মহল কতটা পাশে থাকবে? সেটা কিন্তু হলফ করে বলা সম্ভব নয়। এমনটা হলে আমেরিকার ভূমিকা কী হবে সেটাও দেখার।