Russia Nuclear Missile Strike: পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে মহড়া রাশিয়ার, আরও বড় বিপদ ঘনাচ্ছে ইউক্রেনের উপরে?

Russia-Ukraine Conflict: ইউক্রেনের উপরে সামরিক অভিযান শুরুর পরই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পরোক্ষে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন।

Russia Nuclear Missile Strike: পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে মহড়া রাশিয়ার, আরও বড় বিপদ ঘনাচ্ছে ইউক্রেনের উপরে?
কী পরিকল্পনা করছে রাশিয়ার সেনা?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 05, 2022 | 12:36 PM

মস্কো: আশঙ্কা ছিল আগেই, এবার তা সত্যি হল। রাশিয়া (Russia) নিজেই স্বীকার করে নিল যে তারা পরমাণু ক্ষমতা সম্পন্ন মিসাইল (Nuclear Missile) দিয়ে হামলা চালিয়েছে। বুধবার রাশিয়ার তরফে জানানো হয়, ইউক্রেনের সামরিক অভিযানের মাঝেই কালিনিনগ্রাদের পশ্চিম অঞ্চলে পরমাণু ক্ষমতা সম্পন্ন মিসাইলের মহড়া দেওয়া হয়েছে। যুদ্ধের দুই মাস বাদে রাশিয়ার এই ঘোষণায় তৈরি হয়েছে আতঙ্ক। এরপর যদি ইউক্রেনের (Ukraine) উপরে সরাসরি পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করে, তবে তা  এক নিমেষে লক্ষাধিক মানুষের প্রাণ কেড়ে নিতে পারে।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়া ইউক্রেনের উপরে সামরিক অভিযান শুরু করার ঘোষণা করে। সেই যুদ্ধের ৭০ দিন কেটে গিয়েছে, এখনও অবধি যুদ্ধ থামেনি। দুই দেশের বিরোধে প্রাণ হারিয়েছেন ১.৩ কোটিরও বেশি মানুষ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধকেই ইউরোপের সবথেকে ভয়ঙ্কর রিফিউজি সমস্যা বলে মনে করা হচ্ছে। রাশিয়ার হামলা চালানোর সিদ্ধান্তের পর থেকেই পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের আশঙ্কা করা হয়েছিল। এবার সেই আশঙ্কা কার্যত বাস্তবে পরিণত হল।

উল্লেখ্য, ইউক্রেনের উপরে সামরিক অভিযান শুরুর পরই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পরোক্ষে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। বুধবার পোল্যান্ড ও লিথুয়ানিয়ার মাঝে অবস্থিত বাল্টিক সাগরের উপরে অবস্থিত বিচ্ছিন্ন অঞ্চল থেকে পরমাণু শক্তিধারী ইসকান্দের মোবাইল ব্যালেস্টিক মিসাইল উৎক্ষেপণ করা হয়েছে, এমনটাই রাশিয়া প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, রাশিয়ার সেনা নকল মিসাইল সিস্টেম, এয়ারফিল্ড, সামরিক অস্ত্রশস্ত্র ও কম্যান্ড পোস্টকে নিশানা বানিয়ে এই মিসাইল হামলা চালিয়েছে। তেজস্ক্রিয়তা ও বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শে এলে কীভাবে বাঁচতে হবে, তার মহড়াও দিয়েছেন রুশ সেনারা। প্রায় ১০০-রও বেশি সেনা এই মহড়ায় অংশ নিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে।

যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই পুতিন দেশের পরমাণু বাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে বলেছিলেন। ক্রেমলিনের প্রধানও হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছিলেন যে পশ্চিমী দেশগুলি যদি এই সামরিক অভিযানের মাঝে হস্থক্ষেপ করতে আসে, তবে ‘আলোর গতি’তে তার জবাব দেওয়া হবে। সূত্রের খবর, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে পারমাণবিক অস্ত্রকে সামনে আনতে পারে রুশ সেনা।