Russia-Ukraine War : ‘আমেরিকার পাঠানো অস্ত্র ধ্বংস করেছে রাশিয়া,’ হুঙ্কার পুতিনের
Russia-Ukraine War : ১০০ দিন পেরিয়ে গিয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের। ইউক্রেনকে ৭০০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের অস্ত্র পাঠানোর কথা জানিয়েছে আমেরিকা। এর মধ্যেই গতকাল পুতিন জানিয়েছেন, রুশ বাহিনী আমেরিকার পাঠানো অস্ত্রশস্ত্র ধ্বংস করে দিয়েছে।
মস্কো : ১০০ দিন পেরিয়ে গিয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের। তবে দুই পক্ষের একাধিক বৈঠকেও চিঁড়ে ভেজেনি। জারি রয়েছে রুশ সেনাবাহিনীর আক্রমণ। এদিকে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের ১০০ দিন পূর্তিতে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছিলেন, বেশ কিছু জায়গায় রাশিয়া ফলাফল পেয়েছে। এর পাশাপাশি তিনি ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা দিয়েছিলেন যে, যতদিন না সামরিক অভিযানের উদ্দেশ্য পূর্ণ হচ্ছে ততদিন এই অভিযান চলতে থাকবে। এই যুদ্ধের আবহেই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শনিবার বলেছেন, তাঁর সেনাবাহিনী ইতিমধ্যেই ইউক্রেনের সাহার্যার্থে আমেরিকার পাঠানো অস্ত্রশস্ত্র ধ্বংস করে ফেলেছে।
প্রসঙ্গত, ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের বিরুদ্ধে যেসব পশ্চিমি দুনিয়ার বিভিন্ন দেশ ইউক্রেনের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হল আমেরিকা। প্রথম থেকেই রাশিয়ার সামরিক অভিযানের বিরোধিতা করে এসেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি পুতিনের সমালোচনাও করেছেন। তিনি রুশ বাহিনীকে রুখতে ইউক্রেনকে অর্থ ও অস্ত্র সাহায্য়ও পাঠিয়েছেন। আমেরিকার পাঠানো সেই অস্ত্র রুশ বাহিনী ধ্বংস করে দিয়েছে বলে দাবি রুশ প্রেসিডেন্টের। এদিকে সম্প্রতি ইউক্রেনে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি (৭০০ মিলিয়ন ডলার) মূল্যের অত্যাধুনিক অস্ত্র পাঠানোর কথা জানিয়েছে। সবচেয়ে উন্নতমানের আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে যুদ্ধের ময়দানে পৌঁছে যাবে বলে জানা গিয়েছে। তবে এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে মস্কোর এই অভিযানকে ব্যর্থ করতে এই অস্ত্র সময়মতো ময়দানে পৌঁছতে পারবে কিনা।
এদিকে গতকালই রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক দাবি করেছে যে, ওডেসার কৃষ্ণ সাগরের কাছে অস্ত্র ও গোলাবারুদ বহনকারী ইউক্রেনের সামরিক পরিবহণ বিমান ধ্বংস করেছে রুশ সেনাবাহিনী। মন্ত্রকের তরফে আরও দাবি করা হয়েছে, রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেনের সুমি অঞ্চলে একটি আর্টিলারি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রেও আঘাত হেনেছে। প্রসঙ্গত, এর আগেও আমেরিকার পাঠানো অস্ত্রশস্ত্র ধ্বংস করেছে রুশ সেনাবাহিনী। রুশ সেনাবাহিনীর এই পদক্ষেপের মাধ্যমে আমেরিকাকে এই যুদ্ধ থেকে দূরে থাকার হুঁশিয়ারি দেওয়া হচ্ছে বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা।