Russia: ‘সামনে যা আসবে, তাই ধ্বংস করে দেব’ ফুঁসছে পুতিনের পোষা বাহিনী ওয়াগনার, রাশিয়ার সেনার বিরুদ্ধেই বিদ্রোহ ঘোষণা!
Wagner Group: ইতিমধ্যেই তাঁর বাহিনী দক্ষিণ রাশিয়ার রস্তোভ অঞ্চলে ঢুকে পড়েছে। রাশিয়ার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সে দেশের নাগরিকদেরও ওয়াগনার বাহিনীতে যোগ দিতে বলেন।
মস্কো: পুতিনের ঘাড়ে ভয়ঙ্কর বিপদ। গোটা বিশ্বকে নিজের ভাড়াটে সশস্ত্র বাহিনী ‘ওয়াগনার'(Wagner)-কে দিয়েই ভয় দেখাতেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। এবার সেই বাহিনীই বিদ্রোহ ঘোষণা করল পুতিনের বিরুদ্ধে। শনিবারই রাশিয়ার ভাড়াটে সশস্ত্র বাহিনী ‘ওয়াগনার’-র প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজ়িন ঘোষণা করেন যে মস্কোয় মিলিটারি নেতৃত্বকে ক্ষমতা থেকে সরাতে যা কিছু প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। বাহিনীর পথে কেউ বাধা দিতে এলে, তাঁরা সবকিছু ধ্বংস করে দেবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন।
রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর সঙ্গেই হাত মিলিয়ে ইউক্রেনের যুদ্ধে নেমেছিল পুতিনের ওয়াগনার বাহিনী। কিন্তু হঠাৎই শনিবার তাঁরা বিদ্রোহ ঘোষণা করে। ‘ওয়াগনার’বাহিনীর প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজ়িন একটি অডিয়ো বার্তায় বলেন, “আমরা এগিয়ে যাচ্ছি এবং শেষ অবধি যাব”। তিনি জানান, ইতিমধ্যেই তাঁর বাহিনী দক্ষিণ রাশিয়ার রস্তোভ অঞ্চলে ঢুকে পড়েছে। রাশিয়ার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সে দেশের নাগরিকদেরও ওয়াগনার বাহিনীতে যোগ দিতে বলেন। তাঁদের পথে যদি কেউ বা কিছু বাধা দেয়, তবে তা ধ্বংস করে দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেন তিনি।
Latest: Putin’s Private Army Wagner PMC Group has announced that they have Captured the Southern Military District Headquarters within the City of Rostov-on-Don in the Rostov Region of Southwestern Russia. pic.twitter.com/cyk9BD8Qc7
— Aditya Raj Kaul (@AdityaRajKaul) June 24, 2023
উল্লেখ্য়, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যখন রাশিয়ার সেনাবাহিনী এঁটে উঠতে পারছিল না, সেই সময়ই পুতিন নিজের ভাড়াটে বাহিনীকে যুদ্ধে নামায়। ওয়াগনার বাহিনী তাঁদের নৃশংসতার জন্যই পরিচিত। যুদ্ধে নামতেই ইউক্রেনের একের পর এক শহর দখল করে নেয় ওয়াগনার বাহিনী। কিন্তু গোল বাধে কয়েক মাস আগে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সঙ্গে সরাসরি বিরোধে জড়িয়ে পড়ে পুতিনের ভাড়াটে বাহিনী। এবার সরাসরি পুতিনের বিরুদ্ধেই বিদ্রোহ ঘোষণা করল ওয়াগনার বাহিনী। যদি ওয়াগনার বাহিনী সত্যি সত্যি রাশিয়ার সেনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামে, তাহলে এটা পুতিনের জন্য সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।
ইতিমধ্যেই মস্কো সহ রাশিয়ার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ শহরে নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মস্কোর মেয়র জানিয়েছেন, তারা সন্ত্রাস দমন অভিযান শুরু করছেন। রস্তোভ ও লিপেনস্তকেও বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা।