Flood in South Africa : ভয়াবহ বন্যার কবলে দক্ষিণ আফ্রিকা, মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ৪০০-র গণ্ডি

বন্যার কারণে প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার বাড়ি মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাশাপাশি ৪ হাজারের কাছাকাছি বাড়ি সম্পূর্ণ ভাবে ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে।

Flood in South Africa : ভয়াবহ বন্যার কবলে দক্ষিণ আফ্রিকা, মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ৪০০-র গণ্ডি
বন্যায় বিপর্যস্ত দক্ষিণ আফ্রিকা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 18, 2022 | 2:06 PM

ডারবান : বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়ের পর ভয়াবহ বন্যায় (Severe Flood ) বিপর্যস্ত দক্ষিণ আফ্রিকা (South Africa)। সবথেকে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে দেশের পূর্বাঞ্চলে। ইতিমধ্যেই মৃতের সংখ্যা ৪০০-র গণ্ডি পার করে ফেলেছে। গৃহহীন হাজার হাজার মানুষ। দেশের ইতিহাসে এতবড় প্রাকৃতিক বিপর্যয় এর আগে কবে হয়েছিল মনে করতে পারছেন না কেউই। এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের পর শনিবার বিকেল থেকে বৃষ্টির দাপট আরও বাড়তে থাকে। আর ঠিক সেই কারণেই বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে বলে মনে করছেন দেশের আবহাওয়াবিদেরা। এই সপ্তাহের শুরু থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার পূর্ব উপকূলীয় শহর ডারবানে প্রথম ভয়াবহ বন্যা দেখা যায়। ভেসে গিয়েছে রাস্তা, হাজার হাজার বাড়ি থেকে শুরু হাসপাতাল স্কুল-কলেজ সবই। ধীরে ধীরে বন্যার গ্রাসে চলে যায় শহর সংলগ্ন অন্যান্য এলাকাও। আর তাতেই আরও ঘোরালো হতে থাকে পরিস্থিতি। তবে ইতিমধ্যেই ডারবানে আগামী কয়েক দিনে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।

বন্যা দুর্গতদের উদ্ধারকাজে ইতিমধ্যেই পুরোদমে মাঠে নেমে পড়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দল (Disaster Management team) থেকে শুরু করে সেনাও। হেলিকপ্টারে করে পাঠানো হচ্ছে ত্রাণ। এদিকে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে থাকায় ডারবান সংলগ্ন এলাকায় জারি হয়েছে লাল সতর্কতা। দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় কোয়াজুলু-নাটাল প্রদেশের জরুরি সেবা বিভাগকেও বিশেষ ভাবে সতর্ক করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতেও দক্ষিণ আফ্রিকার আবহাওয়া দপ্তরের বরিষ্ঠ আবহাওয়াবিদ পাসেলেতসো মোফোকেংয়ের গলায় শোনা গিয়েছে আশঙ্কার সুর। আগামী কয়েকদিন লাগাতার বৃষ্টি চলবে বলে জানাচ্ছেন তিনি। তবে ভারী বৃষ্টির পরিমাণ আগামীকাল থেকে কমতে শুরু করবে। তবে এলাকায় জমা জলের পরিমাণ হু হু করে বাড়তে থাকায় বৃষ্টির পরিমাণ ধীরে ধীরে কমলেও এত তাড়াতাড়ি বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়া সম্ভব নয় বলে মত সেদেশের হাওয়া অফিসের।

অন্যদিকে বন্যা দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে সেনার পাশাপাশি মাঠে নেমেছে একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও। মাঠে নেমেছে স্থানীয় পুলিশও। উদ্ধারকাজে শুরু থেকে কোমর বেঁধে নেমেছেন জরুরি পরিষেবা প্রদানকারী কোম্পানি নেটকেয়ার ৯১১। এই টিমের অন্যতম প্রধান সদস্য শন হারবস্ট বলেন, “দুর্ভাগ্যজনক ভাবে এখনও পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন বাড়ি থেকে মৃতদেহ উদ্ধার হচ্ছে। প্রধানত গ্রামাঞ্চল থেকে সবথেকে বেশি মৃতদেহ উদ্ধার হচ্ছে। লাগাতার বৃষ্টিপাতের কারণে পরিস্থিতি ক্রমেই হাতের বাইরে যাচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও হু হু করে বাড়ছে।” বন্যার কারণে প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার বাড়ি মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাশাপাশি ৪ হাজারের কাছাকাছি বাড়ি সম্পূর্ণ ভাবে ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে। ৫৮টি হাসপাতাল বন্যার কবলে পড়ায় আর পরিষেবা দিতে পারছে না।