পঞ্চমবার নেপালের প্রধানমন্ত্রী হলেন শের বাহাদুর দেউবা, প্রথমে কেন শপথ নিতে অস্বীকার?
Sher Bahadur Deuba: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তাঁকে শপথ নেওয়ার নোটিস দেন প্রেসিডেন্ট বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারী।
কাঠমাণ্ডু: নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন শের বাহাদুর দেউবা। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, দেউবাকে প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার জন্য গতকাল, সোমবারই নোটিস দেন নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারী। দু’দিনের মধ্যে শপথ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। মঙ্গলবার শপথ গ্রহণ করেছন তিনি। যদিও এ দিন এক জটিলতায় পিছিয়ে দিতে হয় শপথের সময়। একটি ভুলের জন্য প্রথমটায় শপথ নিতে অস্বীকার করেছিলেন দেউবা।
নেপালের সুপ্রিম কোর্টৈর প্রধান বিচারপত নির্দেশ দিয়েছিলেন, সংবিধানের ৭৬ নম্বর ধারা মেনে শপথ নিতে হবে দেউবাকে। কিনন্তু নোটিস দেওয়ার সময় ধারার কথা উল্লেখ করেননি প্রেসিডেন্ট। কোন ধারা অনুযায়ী তাঁকে শপথ নিতে বলা হচ্ছে, তার উল্লেখ না থাকায় শপথ নেবেন না বলে জানিয়ে দেন দেউবা। সন্ধে ৬ টায় শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান থাকলেও, তা পিছিয়ে যায়। পরে ভুল শুধারানো হলে শপথ নিয়েছেন নয়া প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে চারবার নেপালের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন কংগ্রেস প্রধান শের বাহাদুর দেউবা। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে আস্থা ভোটে জিততে হবে তাঁকে। দেউবাকে প্রধানমন্ত্রী করতে চেয়ে নেপালের রাষ্ট্রপতির কাছে ১৪৯ জন সাংসদ একটি আবেদন করেছিল। সেই আর্জি খারিজ করে কেপি ওলিকেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি। এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন সাংসদরা।
নেপালের পার্লামেন্টে ওলির বিরুদ্ধে আস্থা ভোট হয়েছিল। তাতে হেরে যান ওলি। কিন্তু বিরোধীরা পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে না পারায় প্রধানমন্ত্রী পদেই থেকে যান ওলি। নিজের অবস্থান শক্তিশালী করতে আবারও পার্লামেন্ট ভেঙে দেন তিনি। ওলির এই পদক্ষেপ অসাংবিধানিক বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আরও পড়ুন: তালিবানি হামলায় প্রাণ গেল ১৫ পাক সেনার, অপহরণ করা হল আরও ৬৩ জনকে