করোনার কোপে ভয়ভীত সিঙ্গাপুরও, কমানো হচ্ছে কর্মসূত্রে বিদেশ থেকে আগত কর্মীর সংখ্যা

যে সমস্ত ব্যক্তি ওয়ার্ক পাস নিয়ে সিঙ্গাপুরে যেেতেন, তাঁদের মোট সংখ্যা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।

করোনার কোপে ভয়ভীত সিঙ্গাপুরও, কমানো হচ্ছে কর্মসূত্রে বিদেশ থেকে আগত কর্মীর সংখ্যা
প্রতীকী চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: May 08, 2021 | 11:08 AM

সিঙ্গাপুর: করোনা সংক্রমণ বাড়তেই কাজের সূত্রেো সিঙ্গাপুরে আগত ব্যক্তিদের সংখ্যা কমাতে শুরু করল প্রশাসন। ভারত সবৃহ একাধিক দেশের উপর এই নির্দেশ জারি করা হয়েছে। যে সমস্ত ব্যক্তি ওয়ার্ক পাস নিয়ে সিঙ্গাপুরে যেতেন এবং  তাঁদের সঙ্গে যারা যেতেন, তাঁদের মোট সংখ্যা কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে আগামী সপ্তাহ থেকে।

সিঙ্গাপুরের কর্মক্ষমতা মন্ত্রকের তরফে বলা হয়, “এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে  আমরা ওয়ার্ক পাস হোল্ডারদের নিয়মে কিছু পরিবর্তন আনছি। তবে এটি যারা সংক্রমণে সবথেকে বেশি প্রভাবিত দেশগুলি থেকে আগে যাতায়াত করেছেন, তাদের ক্ষেত্রেই নিয়মে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। আগামী মঙ্গলবার থেকে এই নতুন নিয়ম কার্যকর হবে।”

সে দেশের তরফে জানানো হয়েছে হয়েছে, নির্মাণকাজ, নৌবাহিনীর জাহাজের কাজের সঙ্গে যুক্ত যেসব ব্যক্তিদের ওয়ার্ক পাস রয়েছে, তাদের আগমনে কোনও বাধার সৃষ্টি হবে না, কিন্তু জুন মাসে যে স্বল্প সংখ্যক কর্মীর আসার কথা ছিল, তা পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

ভিন দেশ থেকে আসা পরিযায়ী কর্মী, যারা আগেই সিঙ্গাপুরে যাওয়ার অনুমতি নিয়েছিলেন, তাঁদের প্রবেশে কোনও বাধা দেওয়া হবে না। তবে বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে, যাঁরা ৭ জুনের আগে আসার পরিকল্পনা করছিলেন, তাঁদের আসার দিন পরবর্তিত করা হবে। ৫ জুলাইয়ের আগে আসার জন্য যাঁরা আবেদন জানিয়েছেন, তাঁদের আপাতত দেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, “বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে কর্মসূত্রে যাদের কাছে পাস রয়েছে, তাদের প্রবেশের ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। যে দেশগুলিতে করোনা সংক্রমণ বেশি, আপাতত সেই দেশেপৃর বাসিন্দাদের নতুন কোনও আবেদনও গ্রহণ করা হবে না।  পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলে আমরা নিজেরাই কর্মীদের জানিয়ে দেব কবে পুনর্আবেদন করতে হবে। দেশে প্রবেশের ক্ষেত্রেও তাদেরই অগ্রগণ্যতা দেওয়া হবে।”

চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবারই সরকারের তরফে সিঙ্গাপুর সীমান্তে কড়া নিরাপত্তা জারির নির্দেশ দেওয়া হয়। যারা অতি-বিপদজনক দেশ থেকে সিঙ্গাপুরে আসবে, তাঁদের ১৪ থেকে ২১ দিন বাধ্যতামূলকভাবে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। কেবল অস্ট্রেলিয়া, ম্যাকাও, ব্রুনেই, চিন, নিউজিল্যান্ড, তাইওয়ান হংকংয়ের যাত্রীদের এই নিয়মে ছাড় দেওয়া হয়েছে।

ভারতে সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে যারা দীর্ঘ বা স্বল্প সময়ের জন্য ভারতে গিয়েছিল, তাঁদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের ক্ষেতেরেও একই ব্যান জারি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: চিনের মহাকাশ যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধেয়ে আসছে পৃথিবীর দিকে