Dangerous Spider: এই মাকড়সাকে দেখলেই সতর্ক হন, একবার কামড়ালে শেষ
Dangerous Spider: ক ব্রিটিশ কিশোরকে একটি মাকড়সা কামড়ে দিয়েছিল। তবে তার পরিবার আশা করেনি যে শারীরিক অবস্থা এই পর্যায়ে পৌঁছতে পারে। জানা গিয়েছে, বড়দিনের পরের দিন ম্যাথিউ নামে বছর এগারোর ওই কিশোরকে এক সাধারণ মাকড়সা কামড়ে দিয়েছিল। তারপর তার শরীর এতটাই খারাপ হয়ে যায় যে তাঁকে হাসপাতালের ইমারজেন্সিতে ভর্তি করা হয়।
ব্রিটেন: জানেন কি আমার-আপনার চারপাশে ঘোরা ছোট-ছোট পোকামাকড়ই বিপজ্জনক। কিন্তু অনেকেই বলে থাকেন, মাকড়সা কামড়ে দিলে কিছু হয় না। তবে বাস্তব কিন্তু উল্টো। এক ব্রিটিশ কিশোরকে একটি মাকড়সা কামড়ে দিয়েছিল। তবে তার পরিবার আশা করেনি যে শারীরিক অবস্থা এই পর্যায়ে পৌঁছতে পারে। জানা গিয়েছে, বড়দিনের পরের দিন ম্যাথিউ নামে বছর এগারোর ওই কিশোরকে এক সাধারণ মাকড়সা কামড়ে দিয়েছিল। তারপর তার শরীর এতটাই খারাপ হয়ে যায় যে তাঁকে হাসপাতালের ইমারজেন্সিতে ভর্তি করা হয়।
ম্যাথিউর মা সারা নিজেই এই ঘটনায় খুবই মর্মাহত। শুধু তাই নয় তিনি অবাকও হয়েছেন। বলেছেন যে, একটা সাধারণ মাকড়সা এতটা বিপজ্জনক হবে তাঁর ধারণা ছিল না। জানা গিয়েছে, যখন ম্যাথিউ তার পায়ে ব্যথা নিয়ে মাকে জানিয়েছিল,সেই সময় এটিকে একটি সাধারণ ক্ষত বলে ভেবেছিল তার পরিবার। যাতে কোনও সংক্রমণ না ছড়ায় সেই কারণে প্রতিরোধ করার জন্য সাধারণ ওষুধ প্রয়োগ করেছিলেন। কিন্তু অচিরেই এই ছোট্ট ঘটনাটি মারাত্মক দুর্ঘটনায় পরিণত হয়।
২৭ শে ডিসেম্বর পরিস্থিতি এমন হয়ে দাঁড়ায় যে ম্যাথিউ ঠিক মতো দাঁড়াতেও পারছিল না। আশ্চর্যের বিষয় হল, ওই কিশোরের কোনও প্রকার জ্বরও ছিল না। তবে ক্রমেই তার পা লাল হতে শুরু করে এবং সেলুলাইটের লক্ষণ দেখায়। এমতাবস্থায় ম্যাথিউকে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
পরে জানতে পারা যায়, ম্যাথিউকে আসলে ‘ফলস উইডো’ নামে একটি মাকড়সা কামড়েছিল। এই মাকড়সাটিকে ব্রিটেনের সবচেয়ে বিপজ্জনক মাকড়সা বলা হয়। স্টেটোডা নোবিলিস নামের এই আট পায়ের মাকড়সা সাধারণত যুক্তরাজ্যের বাড়িতে দেখা যায় না। তারপরও সে দেশ থেকে অনেক সময় এই খবর পাওয়া যায়।
বিশেষ বিষয় হল এই মাকড়সাটি তার রঙ এবং আকারে কালো ব্ল্যাক উইডো মাকড়সার সঙ্গে অনেকটা সাদৃশ্যপূর্ণ। যা আরও বেশি বিপজ্জনক। ভাগ্যক্রমে ম্যাথিউ তার শিকার হননি। প্রথমে ম্যাথিউকে হাসপাতালে অ্যান্টিবায়োটিক ইনজেকশন দিতে হয়। তারপর ক্ষত থেকে বিষ অপসারণের জন্য অস্ত্রোপচার করতে হয়। পরের দিন যদিও তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।