Euthanasia Machine: এক নিমেষেই চিরনিদ্রার দেশে! স্বেচ্ছামৃত্যুর যন্ত্রে অনুমোদন সুইজ়ারল্যান্ডে

Painless Death: টিস্যু স্তরে অক্সিজেন সরবরাহ কমে যায় এবং রক্তে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ কমে যায়। এর ফলে ওই ব্যক্তি নিমেষে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।

Euthanasia Machine: এক নিমেষেই চিরনিদ্রার দেশে! স্বেচ্ছামৃত্যুর যন্ত্রে অনুমোদন সুইজ়ারল্যান্ডে
স্বেচ্ছামৃত্যুর যন্ত্রে অনুমোদন দিল সুইজ়ারল্যান্ড
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 07, 2021 | 8:43 PM

সুইজ়ারল্যান্ড : স্বেচ্ছামৃত্যুর যন্ত্রকে আইনত বৈধ হিসেবে ঘোষণা করল সুইজ়ারল্যান্ড প্রশাসন। যন্ত্রের নাম সারকো। এই যন্ত্র ব্যবহার করে কোনও ব্যক্তি তুলনামূলকভাবে কম কষ্টকর উপায়ে নিজের মৃত্যুকে বরণ করতে পারেন।

কীভাবে কাজ করে এই স্বেচ্ছামৃত্যুর যন্ত্র?

সারকো নামের এই যন্ত্রের মাধ্যমে হাইপোক্সিয়া এবং হাইপোক্যাপনিয়া পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়। অর্থাৎ, এমন এক অবস্থা যাতে টিস্যু স্তরে অক্সিজেন সরবরাহ কমে যায় এবং রক্তে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ কমে যায়। এর ফলে ওই ব্যক্তি নিমেষেই কিছু বুঝে ওঠার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।

যন্ত্রটি দেখতে একটি কফিনের মতো আকৃতির। এই ইচ্ছামৃত্যুর যন্ত্রটি কাঁচের ক্যাপসুলের অভ্যন্তরে থাকা ব্যবহারকারীর অক্সিজেনের স্তরকে চোখের পলকে এক জটিল পর্যায়ে নামিয়ে আনতে পারে বলে দাবি করেছে এই যন্ত্রের প্রস্তুতকারক সংস্থা।

একাধিক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, সারকো যন্ত্রের মধ্যে পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হতে এক মিনিটেরও কম সময় নেয় এবং যন্ত্রের ভিতরে থাকা ব্যক্তিকে “অপেক্ষামূলকভাবে শান্তিপূর্ণভাবে এবং কম বেদনাদায়ক” উপায়ে মৃত্যু বরণ করতে দেয়। যে সব দেশে স্বেচ্ছামৃত্যু কিংবা আত্মহত্যা আইনত বৈধ, সেই সব দেশের কথা মাথায় রেখে কোনও ব্যক্তি একেবারে কম বেদনাদায়ক উপায়ে মৃত্যু বরণ করতে পারেন, তার জন্য এই যন্ত্রটি তৈরি করা হয়েছে।

যদিও ইচ্ছামৃত্যুর নৈতিকতা এবং এই জাতীয় যন্ত্রের ব্যবহার নিয়ে একটি বিতর্ক চলেই আসছে। তবে এমন কিছু দেশও রয়েছে যারা অসুস্থ রোগীদের কথা মাথায় রেখে সাময়িকভাবে স্বেচ্ছামৃত্যুকে বৈধ করে দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে তাঁদের স্বেচ্ছা মৃত্যুর জন্য একজন চিকিত্সক বা মৃত্যুতে ইচ্ছুক ব্যক্তির তরফে সুপারিশ করা যেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, সুইজারল্যান্ডে, কারও সহায়তায় আত্মহত্যা (Assisted Suicide) আইনত বৈধ এবং সেদেশের প্রায় ১৩০০ জন ব্যক্তি গত বছর ডিগনিটাস এবং এক্সিট-এর মতো স্বেচ্ছামৃত্যু সংস্থার পরিষেবাগুলি ব্যবহার করেছেন বলে জানা গিয়েছে। এই দুটি সংস্থাই তরল বারবিটুরেট ড্রাগ ব্যবহার করে। এতে প্রথমে কোমা এবং তারপর মৃত্যুর দিকে ধাবিত হয় ওই ব্যর্তি। সারকো ‘আত্মহত্যার যন্ত্র’ আবিষ্কার করেছিলেন বিজ্ঞানী ফিলিপ নিটস্কে। তাঁকে মৃত্যুর চিকিৎসক বলেও ডাকা হয়।

আরও পড়ুন : Aung San Suu Kyi: আউন সাং সু চির চার বছরের কারাদণ্ড, নির্দেশ মায়ানমার আদালতের