Afghanistan Issue: অনুপ্রবেশকারীদের সতর্ক করলেন শীর্ষ তালিবান নেতা
Taliban, বেআইনি অনুপ্রবেশকে সংগঠনের জন্য বড় বিপদ বলেই মনে করছেন তিনি।
কাবুল: বৃহস্পতিবার তালিবানের সর্বোচ্চ নেতা অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে সতর্কবার্তা দিয়েছেন। বেআইনি অনুপ্রবেশকে সংগঠনের জন্য বড় বিপদ বলেই মনে করছেন তিনি। তালিবান কমান্ডরদের উদ্দেশে লেখা একটি চিঠিতে নিভৃতবাসে থাকা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা, চিঠি লিখে অনুপ্রবেশের বিষয়টি নিয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছেন বলেই জানা গিয়েছে।
চিঠিতে তিনি লিখেছেন, “তালিবানের সকল প্রবীণ নেতাদের তাদের পদমর্যাদা অনুযায়ী যোগ্য সম্মান দেওয়া প্রয়োজন। এছাড়াও সকলের দেখা উচিৎ সরকারের ইচ্ছার বিরুদ্ধে অজানা কোনও কিছু কাজ করছে কিনা। যদি সেটা সত্যি হয় তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাকে নির্মূল করতে হবে।”
তালিবানকে সতর্ক করে তাঁর বার্তা “যা কিছুই ভুল ঘটুক না কেন, এই পৃথিবীতে এবং পরকালের কর্মের পরিণতির জন্য প্রবীণ তালিবানই দায়ী থাকবেন।” বিভিন্ন তালিবানি টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদার বার্তা টুইট করা হয়। আইসিস কে (ISIS K) জঙ্গিদের তালিবান বিরোধিতা ক্রমশ বাড়ছে এমনকি আফগানিস্তানের বিভিন্ন এলাকায় একের পর এক বিস্ফোরণের সঙ্গেও এই জঙ্গি গোষ্ঠীর নাম উঠে আসছে। এই আইসিস জঙ্গিরা তালিবানদের দলে অনুপ্রবেশ করে সমস্যার সৃষ্টি করতে পারেন সেই সম্ভাবনা থেকেই এই চিঠি বলে মনে করা হচ্ছে।
তালিবানের হাতে শাসনভার যাওয়ার পর থেকই আফগানিস্তানের বিভিন্ন স্থানে একের পর এক বিস্ফোরণের ঘটনা সামনে আসে সব কটি ঘটনার সঙ্গেই এই আইএস-কে জঙ্গিদের যোগ রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, তালিবান কাবুলের মাটিতে পা রাখার পরই আফগানিস্তান ছেড়ে পালিয়েছিলেন আশরফ গনি। ভেঙে পড়েছিল গোটা প্রশাসনিক ব্যবস্থা। আর এই পরিস্থিতিতে আফগানিস্তানের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা গনি সরকারের গুপ্তচরেরা পড়ে যায় বিপাকে। চারিদিকে তাদের খোঁজ করছিল তালিব যোদ্ধারা। প্রাণ বাঁচাতে তাই অনেক আফগান গুপ্তচরই ভিড়ে যায় আইএস-কে জঙ্গিদের দলে। ফলে বোঝাই যাচ্ছে শাসনে এসেও শান্তিতে নেই তালিবান।
উল্লেখ্য, ক্ষমতায় অলিন্দে তালিবান বসার পর থেকেই লক্ষ লক্ষ আফগান জনগণ বাস্তুহারা হয়ে নানা জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছেন। অনেকেই প্রাণ ভয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন। সকলেরই ধারণা ছিল, তালিবান রাজে নানা ক্ষেত্রে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা সম্ভাবনা রয়েছে। সব থেকে বেশি আতঙ্কে ছিলেন সেদেশের মহিলারা। আগের তালিবান রাজে মহিলাদের জীবনে অধিকার বলে কিছু ছিল না শিক্ষার অধিকার থেকেও তাদের বঞ্চিত করা হয়েছিল। মনে করা হয়েছিল নয়া তালিবান রাজেও এরকমই কিছু ঘটবে। এমনকি সেই রকম ইঙ্গিত ও মিলেছিল। ছেলেদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলি খোলার কথা ঘোষণা করলেও মেয়েদের স্কুল কলেজ খোলা নিয়ে নিরব ছিল তালিবান।
আরও পড়ুন Oral Covid Pill: ওষুধ খেয়েই সারবে করোনা! প্রথমবার অনুমোদন পেল ‘মোলনুপিরাভির’