Taliban: বদলা নিতে এক মূহুর্তও দেরি নয় তালিব বাহিনীর, রাতভর সংঘর্ষেই আইসিস ঘাঁটি ধ্বংসের দাবি
Taliban Attack on ISIS Cell: আব্দুল রহমান নামক এক সরকারি কর্মী জানান, বিশাল সংখ্যক তালিব বাহিনী গতকাল বিকেলে হাজির হয়। তাঁর অঞ্চলেরই কমপক্ষে তিনটি বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায় তালিবান বাহিনী। প্রায় সারারাত ধরেই ওই অঞ্চলে সংঘর্ষ চলে।
কাবুল: একবেলার মধ্যেই বদলা নিল তালিবান (Taliban)। রবিবার কাবুলের মসজিদে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনার বদলা নিতেই আইসিস সেল(ISIS Cell)-র উপর হামলা চালাল তালিব বাহিনী। কাবুলের মসজিদে হামলার (Kabul Mosque Blast) পিছনে আইসিস বাহিনীরই হাত রয়েছে, এই সন্দেহ আগেই করা হয়েছিল। তালিবানের এই পাল্টা হামলাতে সেই সন্দেহকেই এক প্রকার মান্য়তা দেওয়া হল।
সোমবারই তালিবান মুখপাত্র জাবিদুল্লাহ মুজাহিদ (Zabidullah Muhajid) জানান, রবিবার বিকেলে কাবুলের উত্তর অংশে তালিবানি যোদ্ধারা গোপন অভিযান চালায়। ওই অভিযানে আইসিস বাহিনীর একটি ঘাঁটিকে সম্পূর্ণরূপে বিনষ্ট করে দেওয়া হয় এবং ঘাটির ভিতরে যত আইসিস জঙ্গি ছিল, তাদের সকলকেও খতম করা হয়েছে।
জাবিদুল্লাহ টুইটে উচ্ছাস প্রকাশ করে লেখেন, “তালিব অভিযানে দারুণ সাফল্য মিলেছে। আইসিস ঘাঁটিকে সম্পূর্ণ বিনষ্ট করে দেওয়া হয়েছে এবং উপস্থিত সমস্ত আইসিস সদস্যদের খতম করা হয়েছে।” সংবাদসংস্থা এএফপির তরফেও জানানো হয়েছে, গতকাল বিকেলে শহরে গুলি চলার ও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দারাও জানান, বেশ কিছুক্ষণ ধরে সংঘর্ষ চলে। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়াতেও বিস্ফোরণ ও আগুনের ছবি ভাইরাল হয়েছে।
আব্দুল রহমান নামক এক সরকারি কর্মী, যিনি ওই অঞ্চলেরই বাসিন্দা, তিনি জানান, বিশাল সংখ্যক তালিব বাহিনী গতকাল বিকেলে হাজির হয়। তাঁর অঞ্চলেরই কমপক্ষে তিনটি বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায় তালিবান বাহিনী। প্রায় সারারাত ধরেই ওই অঞ্চলে সংঘর্ষ চলে। ক্রমাগত গুলির শব্দ শোনা যায়। তিনি বলেন, “আমি জানিনা কতজন মারা গিয়েছে বা কতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তবে ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়েছে, তা আমরা বাড়ির ভিতর থেকেই বসে টের পেয়েছি। তালিবানরা বলছিল এলাকায় নাকি আইএস জঙ্গিরা লুকিয়ে ছিল, তাদের খুঁজতেই এসেছিল তালিবান বাহিনী।”
রবিবারই দুপুরে কাবুলের ইদ গাহ মসজিদে প্রার্থনা চলাকালীন বিস্ফোরণ হয়। ঘটনায় কমপক্ষে ৫ জনের মৃত্যু হয় ও ১১ জন আহত হয়। এদের মধ্যে তালিবান বাহিনীর সদস্যরাও ছিলেন। জানা গিয়েছে, তালিবান মুখপাত্র জাবিদুল্লাহ মুজাহিদের মা গত সপ্তাহেই প্রয়াত হন। তাঁর স্মৃতিতেই ওই প্রার্থনা সভার আয়োজন করা হয়েছিল। গতকালই বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত তিন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে তালিবান সূত্রে।