‘পুরুষরা স্বল্প পোশাক পরলে…’, ইমরানকে নিশানা তসলিমার
নয়া দিল্লি: বারবার খবরের শিরোনামে উঠে আসেন বাংলাদেশের (Bangladesh) লেখিকা তমলিমা নাসরিন। বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর সমালোচনামূলক মন্তব্য নেটজগতে আলোড়ন তৈরি করে। এ বার তসলিমার নিশানায় পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। নিজের বক্তব্যই ব্য়ুমেরাং হল ইমরানের কাছে। এক সাক্ষাৎকারে ইমরান দাবি করেছিলেন, মহিলাদের স্বল্প পোশাকই ধর্ষণের কারণ। তিনি বলেছিলেন, “মহিলারা স্বল্প পোশাক পরে ঘুরে বেড়ালে পুরুষদের ওপর […]

নয়া দিল্লি: বারবার খবরের শিরোনামে উঠে আসেন বাংলাদেশের (Bangladesh) লেখিকা তমলিমা নাসরিন। বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর সমালোচনামূলক মন্তব্য নেটজগতে আলোড়ন তৈরি করে। এ বার তসলিমার নিশানায় পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। নিজের বক্তব্যই ব্য়ুমেরাং হল ইমরানের কাছে। এক সাক্ষাৎকারে ইমরান দাবি করেছিলেন, মহিলাদের স্বল্প পোশাকই ধর্ষণের কারণ। তিনি বলেছিলেন, “মহিলারা স্বল্প পোশাক পরে ঘুরে বেড়ালে পুরুষদের ওপর প্রভাব পড়ে। পুরুষরা তো রোবট নয়। এটা কমন সেন্সের বিষয়।” সেই একই প্রেক্ষিতেই পাল্টা দিলেন তসলিমা।
টুইটে লেখিকা ইমরান খানের একটি জামা না পরা ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, “যদি একজন পুরুষ স্বল্প পোশাক পরে থাকেন তাহলে তা মহিলাদের ওপর প্রভাব ফেলে। মহিলারা তো রোবোট নয়।” স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই ইমরানকে বিঁধতে এই টুইট করেছেন তসলিমা। অন্তন এমনটাই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহলের সিংহভাগ।
If a man is wearing very few clothes, it will have an impact on women, unless they are robots. pic.twitter.com/2Bdix7xSv7
— taslima nasreen (@taslimanasreen) June 22, 2021
১ মাস আগেও পাকিস্তানে বাড়তে থাকা ধর্ষণের কারণ হিসেবে অশালীনতাকে দায়ী করেছিলেন ইমরান। তখন নেট মাধ্যমে ইমরানের সেই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে ক্ষমাপ্রার্থনার দাবি উঠেছিল। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে ইমরান আরও বলেন, “বাসনা সংবরণের জন্যই পর্দা প্রথা চালু হয়েছিল। কিন্তু অনেকেই তা পারেন না।” প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পর স্বাভাবিক ভাবেই উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়া। একের পর এক টুইট আছড়ে পড়েছে। পাকিস্তানের অভ্যন্তরে ও বাইরে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। কিন্তু সেগুলি নিয়ে মোটেই ভাবিত নয় পাক প্রশাসন। পাক সরকারের তরফে ডঃ আরসালান খালিদ জানিয়েছেন, কয়েকটি সিলেক্টিভ টুইট হয়েছে যা প্রাসঙ্গিক নয়।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানে প্রতি ২৪ ঘণ্টায় ১১টি ধর্ষণের ঘটনা জমা পড়ে। গত ৬ বছরে ২২ হাজার ধর্ষণের মামলা জমা পড়েছে পুলিশের কাছে। গত বছর ডিসেম্বর মাসে পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি আরিফ আলভি ধর্ষণ দমন অর্ডিন্যান্সে অনুমোদন দিয়েছেন। যেখানে শিশু ও মহিলার যৌন হেনস্তার মামলা ৪ মাসের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ রয়েছে।
আরও পড়ুন: ইমরান বলেছিলেন লাদেন ‘শহিদ’, একই প্রশ্নে পাক বিদেশমন্ত্রীর মুখে ‘হ-য-ব-র-ল’





