যুদ্ধাস্ত্র নয়, বাঁদর পুষতে কোটি কোটি টাকা খরচ করছে বাইডেনের আমেরিকা

ভাইরাসের গতি প্রকৃতি জানতে প্রাণীদেহে গবেষণা জরুরি। কিন্তু করোনা সঙ্কটে বাঁদরের আকাল। মার খাচ্ছে গবেষণা।

যুদ্ধাস্ত্র নয়, বাঁদর পুষতে কোটি কোটি টাকা খরচ করছে বাইডেনের আমেরিকা
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 18, 2021 | 6:06 PM

ওয়াশিংটন: মহাকাশ গবেষণা কিংবা যুদ্ধাস্ত্রে নয়, আমেরিকা (USA) টাকা ঢালছে বাঁদরের পিছনে। তাও কম নয়, একেবারে কোটি কোটি ডলার। পরিকল্পনা করে কমিটি গড়ে চলছে বাঁদরের পিছনে টাকা ঢালা। কিন্তু কেন? কারণটা গবেষণা। যে কোনও টিকা মানবদেহে ট্রায়ালের আগে প্রাণীদেহে ট্রায়াল করতে হয়। এ ছাড়া ভাইরাসের গতি প্রকৃতি জানতে প্রাণীদেহে গবেষণা জরুরি। কিন্তু করোনা সঙ্কটে বাঁদরের আকাল। মার খাচ্ছে গবেষণা।

তাই সেই ঘাটতি পূরণ করতে উদ্যোগী আমেরিকা। বাঁদরের থাকার ঘর তৈরি করতে ইতিমধ্যেই ২ কোটি ৯০ লক্ষ ডলার অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় ২১৬ কোটি টাকারও বেশি খরচ করেছে বাইডেন প্রশাসন। অক্টোবরের মধ্যে বাঁদরের ওপর গবেষণার জন্য আরও ৫৫ কোটি টাকা ঢালতে চলেছে আমেরিকা। ২০২২ অর্থবর্ষে ন্যাশনাল প্রাইমেট রিসার্চ সেন্টারের হাতে বরাদ্দ আরও ২৭ শতাংশ বাড়াতে চলেছে আমেরিকা। যার মাধ্যমে গবেষণায় আরও ২২৩ কোটি ঢালবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

আর একটা মহামারি এলে কী হবে?

করোনা সংক্রান্ত গবেষণা এখনও চলবে। কারণ ভাইরাসের উৎস এখনও অধরা। আরও একাধিক ভ্যাকসিন আসবে, তার ট্রায়ালের জন্য প্রচুর বাঁদর প্রয়োজন। তার থেকেও বড় সমস্যা হবে যদি একটা নতুন অন্য মাহামারি আছড়ে পড়ে। তাই সেই পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকছে আমেরিকা। মার্কিন গবেষক জেমস অ্যান্ডেরসন জানান, ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করেই এই টাকা ঢালছে সরকার।

বাঁদরের আকাল:

প্রাণী সুরক্ষা একাধিক সংস্থা গবেষণায় বাঁদর ব্যবহারের বিরুদ্ধে। সবটা মিলিয়ে আন্তর্জাতিক গবেষণায় বাঁদরের আকাল। মহামারি আছড়ে পড়ায় সেই সঙ্কট আরও প্রকট হয়েছে। বিভিন্ন দেশে গবেষণার জন্য বাঁদর পৌঁছে দেওয়ার একটা বড় কাজ করত চিন। কিন্তু করোনা মহামারির শুরু থেকে সেই রফতানিও বন্ধ করেছে জিনপিং প্রশাসন। তাই পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে বাঁদরে বড় অঙ্কের টাকা ঢালছে আমেরিকা। আরও পড়ুন: ২,৯২০ দিনের অঙ্ক স্রেফ ৭০ মিনিটে, তাক লাগানো আবিষ্কার চিনের