Child birth: ১ সন্তান হলে ৬২ লাখ, ৩ সন্তান হলে ১.৬ কোটি টাকা দেবে অফিসই!

Declining Birth Rate: সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, যদি তাদের সংস্থায় কর্মরত কেউ সন্তানের জন্ম দেন, তবে ৭৫ হাজার ডলার আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে, ভারতীয় মুদ্রায় যার অঙ্ক ৬২.২৮ লক্ষ টাকা। কর্মীদের সন্তান ধারণের ক্ষেত্রে কোনও উর্ধ্বসীমাও রাখা হয়নি। অর্থাৎ যতবারই কর্মচারীদের সন্তান হবে, তাদের এই টাকা দেওয়া হবে।

Child birth: ১ সন্তান হলে ৬২ লাখ, ৩ সন্তান হলে ১.৬ কোটি টাকা দেবে অফিসই!
প্রতীকী চিত্রImage Credit source: Pixabay
Follow Us:
| Updated on: Feb 18, 2024 | 7:30 AM

সিওল: যারা কর্মরত, তাঁরা অনেকেই সন্তান ধারণ করতে চান না কেরিয়ারে প্রভাব পড়ার ভয়ে। বিভিন্ন সংস্থাও মাতৃত্বকালীন ছুটি দেওয়া নিয়ে নানা আপত্তি জানায়। আমাদের দেশে যখন এই চিত্র, সেখানেই ঠিক উল্টো চিত্রটা দেখা যাচ্ছে অন্য দেশে। এশিয়ার বিভিন্ন দেশে উত্তরোত্তর কমছে জন্মহার। কেউ বিয়ে করতে চাইছেন না, বিয়ে করলেও সন্তান ধারণ করতে চাইছেন না। এদিকে, নতুন প্রজন্ম না তৈরি হলে দেশ চালাবে কে? কর্মক্ষমতা থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য পরিষেবা-সবকিছুতেই প্রভাব পড়ছে। সরকার নানা প্রকল্প, সুযোগ-সুবিধা ঘোষণা করেও যুব প্রজন্মকে সন্তান ধারণে রাজি করতে পারছেন না। মহা ফাঁপরে পড়েই এবার বিভিন্ন সংস্থাও আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করছে। এমনই এক সংস্থা ঘোষণা করেছে, তাদের সংস্থায় কর্মরতরা যদি সন্তান জন্ম দেন, তবে কর্মীদের আর্থিক সাহায্য করা হবে। সেই অঙ্কটা খুব একটা কম নয়, ৬২ লাখ থেকে কোটি টাকা অবধি আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে।

সন্তান জন্ম দিলেই পাবেন টাকা-

দক্ষিণ কোরিয়ার একটি নির্মাণ সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, যদি তাদের সংস্থায় কর্মরত কেউ সন্তানের জন্ম দেন, তবে ৭৫ হাজার ডলার আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে, ভারতীয় মুদ্রায় যার অঙ্ক ৬২.২৮ লক্ষ টাকা। কর্মীদের সন্তান ধারণের ক্ষেত্রে কোনও উর্ধ্বসীমাও রাখা হয়নি। অর্থাৎ যতবারই কর্মচারীদের সন্তান হবে, তাদের এই টাকা দেওয়া হবে। যদি কারোর তিন সন্তান হয়, তবে তিনি ১.৬ কোটি টাকা পাবেন অফিস থেকেই।

আরও একটি আকর্ষণীয় বিষয় হল, শুধু মহিলা কর্মীরাই নন, পুরুষ কর্মীরাও এই সুবিধা পাবেন। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে. ২০২১ সাল থেকে সংস্থার কর্মীরা এখনও অবধি ৭০টি শিশুর জন্ম দিয়েছেন, তাদের মোট ৫.২৫ মিলিয়ন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ৪৩ কোটি ৫৮ লক্ষ ২৭ হাজার ৪৩৭ টাকা) নগদ অর্থ দেওয়া হবে।

বুইয়ং গ্রুপ নামক ওই সংস্থার চেয়ারম্যান লি জুং কিউন জানিয়েছেন, দেশের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই, কর্মীদের জন্মহার বাড়াতে উদ্বুদ্ধ করতে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। সন্তান পালনের জন্য যে বিপুল অর্থ খরচ হয়, তার চাপ কমাতেই সংস্থার তরফে সাহায্য করা হবে।

দক্ষিণ কোরিয়ায় নিম্নমুখী জন্মহার-

জাপান, চিনের মতোই দক্ষিণ কোরিয়াতেও নিম্নমুখী জন্মহার। ২০২২ সালের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে সবথেকে কম জন্মহার দক্ষিণ কোরিয়াতেই। মাত্র ০.৭৮ শতাংশ। গত বছরে দক্ষিণ কোরিয়ায় নবজাতকের সংখ্যা ২ লক্ষ ৬০ হাজার থেকে কমে ২ লক্ষ ৪৯ হাজারে নেমে এসেছে। ২০১৫ সাল থেকেই এই সঙ্কটের মুখে পড়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। আগামী ২০২৫ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় জন্মহার কমে ০.৬৫ শতাংশে পৌঁছতে পারে।

এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সরকারের তরফে একাধিক প্রকল্প ও আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করা হয়েছে। কম খরচে সন্তানের দেখভালের জন্য পরিচারক থেকে শুরু করে সরকারি আবাসনে থাকার ব্যবস্থা, আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ২০৭২ সালের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ায় জন্মহার বেড়ে ১.০৮ শতাংশে পৌছতে পারে বলেই অনুমান।