USA: আমেরিকায় গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা, ফুঁসছে ট্রাম্প সমর্থকরা, ফাঁস গুরুত্বপূর্ণ নথি

USA Civil War: প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মার-আ-লাগোর এস্টেটে তল্লাশি চালানোর পর থেকেই দেশে গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা বেড়েছে বলে মনে করছে সেই দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এক ফাঁস হওয়া নথি থেকে জানা গিয়েছে, উগ্র ট্রাম্প সমর্থকরা নিশানা করছেন এফবিআই এজেন্টদের।

USA: আমেরিকায় গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা, ফুঁসছে ট্রাম্প সমর্থকরা, ফাঁস গুরুত্বপূর্ণ নথি
গত সোমবার ট্রাম্পের ফ্লোরিডার রিসর্টে হানা দিয়েছিল এফবিআই
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 16, 2022 | 8:07 PM

ওয়াশিংটন: গৃহযুদ্ধের মধ্য দিয়েই জন্ম হয়েছিল আমেরিকার। ফের কি একবার গৃহযুদ্ধের মুখোমুখি হবে বিশ্বের সবথেকে প্রাচীন গণতন্ত্র? প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মার-আ-লাগোর এস্টেটে তল্লাশি চালানোর পর, এমনই আশঙ্কা করছে মার্কিন ফেডেরাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন। ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিওরিটির এক ফাঁস হওয়া বুলেটিন অনুযায়ী, ওই তল্লাশি অভিযানের পর থেকেই নজিরবিহীন হুমকি বর্ষণের মুখে পড়েছেন এফবিআই কর্তারা। এমনকী, এফবিআই সদর দফতরের সামনে ‘ডার্টি বম্ব’ রাখার হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি সোশ্য়াল মিডিয়ায় চরমপন্থীরা ‘সশস্ত্র গৃহযুদ্ধে’র আহ্বান জানাচ্ছে।

গত সপ্তাহেই রিকি শিফার নামে এক ৪২ বছর বয়সী উগ্র ট্রাম্প সমর্থক, সিনসিনাটি শহরের এফবিআই দফতরে ঢুকে একটি নেইল গান নিয়ে হামলা চালিয়েছিলেন। তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ট্রাম্পের ‘ট্রুথ’ সোশ্যাল মিডিয়ায় রিকি শিফার প্রায় ৩৬৪টি পোস্টে খোলাখুলি ‘সামাজিক অস্থিরতা’ সৃষ্টির আহ্বান জানিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে তিনি এফবিআই এজেন্টদের মৃত্যু কামনাও করেছিলেন। সিবিএস নিউজের পক্ষ থেকে ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিওরিটির ওই ফাঁস হওয়া বুলেটিনটি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের ফ্লোরিডার ওই বাড়িতে হানা দেওয়ার পর থেকেই এফবিআই, ডিএইচএস, ফেডারেল পুলিশ, এবং অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তাদেরও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এফবিআই এজেন্টদের ব্যক্তিগতভাবে নিশানা করা হচ্ছে।

এই হুমকির বেশিরভাগটাই আসছে অনলাইনে। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া, ভিডিয়ো শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে হুমকি দেওয়া হয়েছে। তবে এই হুমকিগুলি বিশেষভাবে উদ্বেগজনক বলে মনে করা হচ্ছে। এজেন্ট ও সরকারি কর্মকর্তাদের বেছে বেছে নিশানা করা হচ্ছে। অনলাইনে চিহ্নিত করা হচ্ছে ফেডেরাল এজেন্টদের। তাদের বিরুদ্ধে কী ধরণের অস্ত্র ব্যবহার করা হবে, সেই বিষয়েও আলোচনা চলছে। এমনকি, তাদের বাড়ির ঠিকানা, পরিবারবর্গের পরিচয়ের মতো স্পর্শকাতর তথ্যও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করা হচ্ছে। বুলেটিনে আরও বলা হয়েছে, ধীরে ধীরে ঘরোয়া চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলি বিচার ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিবর্গ, এমনকি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদেরও নিশানা করা হবে। এফবিআই এবং ডিএইচএস আরও বেশি উদ্বিগ্ন ২০২২ সালের মিডটার্ম নির্বাচন নিয়ে। মধ্য মেয়াদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই ধিকি ধিকি আগুন দাউ দাউ করে জ্বলে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করছে তারা।