পাকিস্তানে অস্তিত্ব হারাচ্ছে মন্দির, নির্যাতনের শিকার হিন্দুরা, রিপোর্ট সুপ্রিম কোর্টে

ডঃ সোয়েব সাডলের এই রিপোর্টে তাঁকে সাহায্য করেছেন ডঃ রমেশ ভঙ্কবানি, সাকিব জিলানি ও পাক অ্যাটর্নি জেনারেল। রিপোর্টটি সুপ্রিম কোর্টে পেশ হয়েছে ৫ ফেব্রুয়ারি।

পাকিস্তানে অস্তিত্ব হারাচ্ছে মন্দির, নির্যাতনের শিকার হিন্দুরা, রিপোর্ট সুপ্রিম কোর্টে
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Feb 08, 2021 | 2:56 PM

ইসলামাবাদ: পাকিস্তানে (Pakistan) হিন্দুদের বেহাল দশা। এই অভিযোগে একাধিকবার ইসলামাবাদকে নিশানা করেছে দিল্লি। আন্তর্জাতিক মহলেও একাধিক আলোচনা হয়েছে এই বিষয়ে। আরও একবার পাকিস্তান থেকে প্রকাশ্যে এল হিন্দুদের কঠোর পরিস্থিতির কথা। পাকিস্তানে ডঃ সোয়েব সাডলের কমিশন সুপ্রিম কোর্টে রিপোর্ট দিয়ে জানিয়েছে, পাকিস্তানে একের পর এক হিন্দুদের ধর্মীয় ক্ষেত্র-সহ ঐতিহাসিক স্থান ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। রিপোর্টে ইমরান সরকারকেই দায়ি করা হয়েছে এই নির্মম অবস্থার নেপথ্যে।

ডঃ সোয়েব সাডলের এই রিপোর্টে তাঁকে সাহায্য করেছেন ডঃ রমেশ ভঙ্কবানি, সাকিব জিলানি ও পাক অ্যাটর্নি জেনারেল। রিপোর্টটি সুপ্রিম কোর্টে পেশ হয়েছে ৫ ফেব্রুয়ারি। যেখানে পাকিস্তানে হিন্দুদের প্রাচীন উপাসনা কেন্দ্রগুলির ধ্বংস হয়ে যাওয়ার কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েছে এভাকুই ট্রাস্ট প্রোপার্টি বোর্ডকে (ETPB)। রিপোর্টে অভিযোগ, এই পাক সংস্থার রক্ষণাবেক্ষণের গাফিলতিতেই হারিয়ে যাচ্ছে একের পর এক হিন্দু উপাসনা কেন্দ্র।

কমিশনের সদস্যরা পাকিস্তানের কতাস রাজ মন্দির, প্রহ্লাদ মন্দির-সহ অন্যান্য হিন্দু উপাসনা কেন্দ্রে গিয়ে তার সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করেছেন। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই কমিশনের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টে জানানো হয়েছে অবিলম্বে টেরি মন্দির, কতাস রাজ মন্দির, প্রহ্লাদ মন্দির ও হিংলাজ মন্দিরের সংস্কার প্রয়োজন। এছাড়াও হিন্দু ও শিখ উপাসনা কেন্দ্রগুলির সংরক্ষণের জন্য ইটিপিবি আইনে সংশোধন আনার সুপারিশও করেছে কমিশন।

ডিসেম্বর মাসে খাইবার পখতুনখাওয়ার করক জেলার একটি হিন্দু মন্দির ধ্বংস করেছিল উত্তেজিত জনতা। তখন এই ঘটনার নেপথ্যে উঠে এসেছিল উলেমা-ই-ইসলাম পার্টির উসকানিও। এরপরই সুপ্রিম কোর্ট ইটিপিবিকে মন্দির ও গুরুদ্বার সম্পর্কে সম্পূর্ণ রিপোর্ট জমা করার নির্দেশ দিয়েছিল।

আরও পড়ুন: নতুন স্ট্রেনের বিরুদ্ধে কাজ করছে না অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন, চিন্তার ভাঁজ রিপোর্টে

রিপোর্টে ইটিপিবি জানিয়েছে, ৩৬৫টি হিন্দু মন্দিরের মধ্যে মাত্র ১৩টি মন্দির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে তারা। অভিযোগ, বাকি ১৩টি মন্দিরের দায়িত্ব থেকে নিজেদের সরিয়ে নিলেও আসলে জমি মাফিয়াদের হাতেই রয়ে গিয়েছে হিন্দুদের সিংহভাগ উপাসনা কেন্দ্র।